বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ, ভ্যাপসা গরমে দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ
Published: 9th, May 2025 GMT
পটুয়াখালী জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। অস্বস্তিতে পড়েছে সকল শ্রেণির মানুষ।ভ্যাপসা গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যা ৬ টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭.
বলা হয়, গরমের তীব্রতা ২৪ ঘণ্টা অপরবর্তিত থাকতে পারে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে এবং তাপমাত্রা কিছুটা কমে পারে।
এদিকে তপ্ত রোদের কারণে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মৌসুমী সবজি চাষিসহ বিভিন্ন ফলের বাগানিরা। প্রখর রোদে গাছ থেকে ঝরে যাচ্ছে আম, আমরুল, জামরুল ও লিচুসহ বিভিন্ন ফল। অস্বাভাবিক গরমে হাসপাতাগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া ও চর্মজনিত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি।
পটুয়াখালী পৌর শহরের রিকশাচালক সামসুদ্দিন বলেন, “গত এক সপ্তাহ ধরেই রোদের তাপ অনেকটা বেড়ে গেছে। একটু বাতাসও নেই। দুপুরের সময় রিকশা চালানো তো দূরের কথা বাইরে থাকাই দায় হয়ে উঠেছে।”
একই এলাকার লঞ্চঘাট এলাকার শ্রমিক ইয়াসিন হোসেন বলেন, “রোদের তীব্রতা এত বেড়ে গেছে যে, একটু কাজ করলেই শরীর ঘেমে যাচ্ছে। দুপুরের সময়তো কাজই করা যায়না।”
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টা তাপমাত্রার তীব্রতা বাড়তে পারে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি সহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে এবং তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলে জায়গার উন্নয়ন ঘটে: সাখাওয়াত
নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, “নদীতে প্রতিবছর পলি জমে। এ জন্য নদীতে ড্রেজিং করা প্রয়োজন। ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলে যে কোনো জায়গা অনেক উন্নত হয়।”
শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে বরিশালের হিজলা উপজেলার মৌরভীরহাট খেয়াঘাট সংলগ্ন নদীতে বিআইডিব্লিউটিএ’র ড্রেজিং কার্যক্রম এবং বিকেলে বাবুগঞ্জ-মুলাদী সংযোগ ব্রিজের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় তার সঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে চায় সরকার: পার্বত্য উপদেষ্টা
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি: যমুনার সামনে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “এটা আমার জন্ম ভিটা, আগে এ নদী দিয়ে বড় বড় লঞ্চ, জাহাজ চলাচল করতো। এখন পলি জমে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। নদী খনন করে চ্যানেল তৈরির মাধ্যমে উন্নত লঞ্চ ঘাট করে দেওয়া হবে। এতে এলাকার উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হবে।”
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ