রিয়েলিটি শো ‘দীপ্ত স্টার হান্ট’-এর গ্র্যান্ড ফিনালে আজ। সেরা ছয় পারফর্মার নিয়ে গ্র্যান্ড ফিনালের এই আয়োজন দীপ্ত টিভি প্রচার করবে আজ রাত ১০টায়। এ ছাড়া দর্শক পুরো অনুষ্ঠানটি দেখতে পাবেন দীপ্ত প্লে ও দীপ্ত ডিজিটালের অন্যান্য মাধ্যমে। চূড়ান্ত পর্বের জমকালো এ আয়োজনে থাকছে সেরা ছয় প্রতিযোগীর নাচ, কমেডি স্কিট এবং সন্ধির সংগীতায়োজনে মেসাপ গানের পরিবেশনা। সেখানে পারফর্ম করবেন কণ্ঠশিল্পী ও সংগীতায়োজক সন্ধি, সভ্যতা ও কর্নিয়া। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন এই রিয়েলিটি শোর সম্মানিত জুরি নন্দিত অভিনেতা তারিক আনাম খান, নির্মাতা শিহাব শাহীন এবং মডেল ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। তারা বিজয়ীদের নাম ঘোষণার পাশাপাশি তাদের হাতে তুলে দেবেন আকর্ষণীয় সব পুরস্কার। 
সুপারস্টার হওয়ার পথে সেরা প্রতিযোগীদের সুযোগ
দীপ্ত স্টার হান্টের বিজয়ীরা পাবেন বড় পর্দার সিনেমা, ওয়েব ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ ও টিভি সিরিজে অভিনয়ের সুযোগ। কাজী মিডিয়া লিমিটেড বিজয়ীদের সঙ্গে দুই বছরের এক্সক্লুসিভ চুক্তি করবে, যেখানে তারা নিয়মিতভাবে অভিনয়ের বিভিন্ন মাধ্যমে কাজের সুযোগ পাবেন।
দীপ্ত স্টার হান্টের গ্র্যান্ড ফিনালের আয়োজনের সঞ্চালনা করছেন রাফসান সাবাব এবং ইসমাত জেরিন চৈতি। নির্বাহী প্রযোজনার দায়িত্বে আছেন সাইফুর রহমান সুজন। পরিচালনায় রয়েছেন ওয়াহিদুল ইসলাম শুভ্র। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ