‘দীপ্ত স্টার হান্ট’ গ্র্যান্ড ফিনালে আজ,থাকছে জমকালো আয়োজন
Published: 9th, May 2025 GMT
রিয়েলিটি শো ‘দীপ্ত স্টার হান্ট’-এর গ্র্যান্ড ফিনালে আজ। সেরা ছয় পারফর্মার নিয়ে গ্র্যান্ড ফিনালের এই আয়োজন দীপ্ত টিভি প্রচার করবে আজ রাত ১০টায়। এ ছাড়া দর্শক পুরো অনুষ্ঠানটি দেখতে পাবেন দীপ্ত প্লে ও দীপ্ত ডিজিটালের অন্যান্য মাধ্যমে। চূড়ান্ত পর্বের জমকালো এ আয়োজনে থাকছে সেরা ছয় প্রতিযোগীর নাচ, কমেডি স্কিট এবং সন্ধির সংগীতায়োজনে মেসাপ গানের পরিবেশনা। সেখানে পারফর্ম করবেন কণ্ঠশিল্পী ও সংগীতায়োজক সন্ধি, সভ্যতা ও কর্নিয়া। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন এই রিয়েলিটি শোর সম্মানিত জুরি নন্দিত অভিনেতা তারিক আনাম খান, নির্মাতা শিহাব শাহীন এবং মডেল ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। তারা বিজয়ীদের নাম ঘোষণার পাশাপাশি তাদের হাতে তুলে দেবেন আকর্ষণীয় সব পুরস্কার।
সুপারস্টার হওয়ার পথে সেরা প্রতিযোগীদের সুযোগ
দীপ্ত স্টার হান্টের বিজয়ীরা পাবেন বড় পর্দার সিনেমা, ওয়েব ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ ও টিভি সিরিজে অভিনয়ের সুযোগ। কাজী মিডিয়া লিমিটেড বিজয়ীদের সঙ্গে দুই বছরের এক্সক্লুসিভ চুক্তি করবে, যেখানে তারা নিয়মিতভাবে অভিনয়ের বিভিন্ন মাধ্যমে কাজের সুযোগ পাবেন।
দীপ্ত স্টার হান্টের গ্র্যান্ড ফিনালের আয়োজনের সঞ্চালনা করছেন রাফসান সাবাব এবং ইসমাত জেরিন চৈতি। নির্বাহী প্রযোজনার দায়িত্বে আছেন সাইফুর রহমান সুজন। পরিচালনায় রয়েছেন ওয়াহিদুল ইসলাম শুভ্র।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা
পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন
সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”
সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”
তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী