আমার এই শৈল্পিক যাত্রা অব্যাহত থাকবে: বিপাশা
Published: 10th, May 2025 GMT
পরিবার নিয়ে অনেক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাস করে আসছেন নন্দিত অভিনেত্রী, লেখক ও চিত্রশিল্পী বিপাশা হায়াত। তাঁর ছেলেরা সেখানেই পড়াশোনা করছেন। অভিনয়ে তাঁকে পাওয়া না গেলে যুক্তরাষ্ট্রে বসে আঁকাআঁকি চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। সেখানে তাঁর আঁকা ছবির একক প্রদর্শনীও হয়েছে বেশ কয়েকটি। সেগুলো শিল্পমনস্ক মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
এবার তিনি যুক্ত হলেন, আন্তজার্তিক শিল্পকর্মের দল ‘দ্য আর্ট ডোম’ এর সঙ্গে। ‘আর্ট ডোম’ বিশ্বব্যাপী অনুপ্রেরণা জাগিয়ে তুলতে এবং শিল্প সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্য তৈরিকারীদের জন্য দরজা খুলে দিতে কাজ করে আসছে। এখন থেকে ওই দলের হয়ে কাজ করবেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে আর্ট ডোমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিপাশার ছবি শোভা পাচ্ছে।
দ্য আর্ট ডোমের সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে বিপাশা বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে এখন থেকে, আমার শৈল্পিক যাত্রা দ্য আর্ট ডোমের সঙ্গে অব্যাহত থাকবে। অত্যন্ত প্রতিভাবান, দূরদর্শী ব্যক্তিদের একটি দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। যারা শিল্পের মাধ্যমে এ পৃথিবীকে আরও ভালো জায়গা করে তোলার স্বপ্ন ভাগ করে নেয়।’
বিপাশ হায়াত যুক্তরাষ্ট্রে থাকলে মাঝেমধ্যে দেশে আসেন। সর্বশেষ গত বছরে দেশে এসেছিলেন তিনি। ওই সময় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বাবা নাট্যজন আবুল হায়াতের আত্মজীবনীমূলক বই ‘রবি পথ-কর্মময় ৮০’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জন্মের পর থেকেই সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছেন বিপাশা হায়াত।
আশির দশকে ‘খোলা দুয়ার’ নাটকে অভিনয় শুরু করেন তিনি। এরপর যুক্ত হন নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে। টিভি নাটকে প্রথমে আলোচনায় আসেন ‘অয়োময়’ ধারাবাহিক দিয়ে।
‘শঙ্কিত পদযাত্রা’, ‘রূপনগর’, ‘ছোট ছোট ঢেউ’, ‘অন্য ভুবনের ছেলেটা’, ‘চেনা অচেনা মুখ’, ‘থাকে শুধু ভালোবাসা’, ‘বীজমন্ত্র’, স্পর্শ, ‘শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই’, ‘বিপ্রতীপ’ তাঁর অভিনয় ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য নাটক। আলো ছড়িয়েছেন চলচ্চিত্রেও। তাঁর অর্জনের ঝুলিতে আছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর ট ড ম
এছাড়াও পড়ুন:
আশুলিয়ায় প্রাইভেটকার ছিনতাই, জিপিএস ট্র্যাকিংয়ে যেভাবে টঙ্গি থেকে উদ্ধার
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার বিকেলে আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানা থেকে তিন কর্মকর্তাকে নিয়ে প্রাইভেটকারে ঢাকায় ফিরছিলেন চালক মনিরুল ইসলাম। বেড়িবাঁধের পঞ্চবটিতে যানবাহনের চাপে ধীরে ধীরে চলছিল গাড়ি। তখন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। হঠাৎ প্রিমিও ব্রান্ডের প্রাইভেটকারের চালকের আসনের পাশ দিয়ে বাইরে থেকে রড ঢুকিয়ে দেয় এক দুর্বৃত্ত। এর পর গাড়ি সামনের দরজা খুলে আরও দু’জন চালককে মারধর করে বের করে আনেন। গাড়িতে থাকা বাকি তিন আরোহীকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা করে তারা। এরপর গাড়িটি ছিনতাই করে তারা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার সময় একই সড়কে একই কোম্পানির আরেকটি প্রাইভেটকার অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে আসছিলেন। সেই গাড়ির চালক রফিকুল ইসলাম ছিনতাইয়ের ঘটনাটি দেখতে পান। তখন নিজের প্রাইভেটকার রেখে দৌড়ে তিনি ছিনতাই হওয়া গাড়ির সামনের বনেটের ওপর লাফিয়ে উঠেন। তখন ছিনতাইকারী জোরে গাড়ি চালানোর পর বনেট থেকে তিনি ছিটকে পড়েন। তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান শারমিন গ্রুপের প্রাইভেটকার ছিনতাইয়ের এমন ঘটনাটি ফোনে চালক ও হামলার শিকার অন্যরা জানান অফিসের অন্য কর্মকর্তাদের। এটি জানার পর কামরুজ্জামান ও সাজিদুল ইসলাম সম্রাট নামে দুই কর্মকর্তা গাড়ির জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করেন। তাদের মধ্যে কামরুজ্জামান ছিলেন আশুলিয়ার কর্মস্থলে। আর সম্রাট উত্তরায় তার বাসার কাছাকাছি।
সম্রাট সমকালকে জানান, ট্র্যাকিং সিস্টেমে দেখা যায়–গাড়িটি বেরিবাঁধ উত্তরার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে গাজীপুরের দিকে যাচ্ছিল। এরপর সম্রাট মোটরসাইকেলে গাড়ির পিছু নেন। এক পর্যায়ে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানান। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ কল করেন। গাজীপুরের পুলিশ কমিশনারকে জানানো হয়। এর মধ্যে গ্রামীণ ফোনের সহায়তায় ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হয় গাড়ির ইঞ্জিন। তখন প্রাইভেটকারটি ছিল টঙ্গী কলেজ গেটের কাছাকাছি। ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার পর বিপাকে পড়েন ছিনতাইকারীরা। তারা রাস্তায় পাশে গাড়িটি রেখে পালিয়ে যান। এরপর শারমিন গ্রুপের লোকজন ও পুলিশ গিয়ে রাত সাড়ে ৯টায় গাড়িটি উদ্ধার করে।
শারমিন গ্রুপের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, কোম্পানির কয়েকজন একটি টিম হিসেবে কাজ করে। তারা গাড়ির গতিবিধির ওপর নজর রাখে, পরে তা উদ্ধার করা হয়েছে। গাজীপুরের পুলিশও সহযোগিতা করেছে। উদ্ধারের পর প্রাইভেটকারের মধ্যে চাপাতি, রডসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেছে। এর আগে প্রাইভেটকারে আমাদের প্রতিষ্ঠানের যে তিন কর্মকর্তা ছিলেন তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে তুরাগ থানায় জিডি করা হয়েছিল। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার সব ধরনের সহযোগিতা করেন।