বেখাপ্পা রসিকতা, চিত্রনাট্যের গোঁজামিল—জেমস গানের রিবুট ‘সুপারম্যান’ নিয়ে অনেক সমালোচনাই আছে। এরপরও সিনেমাটি উপভোগ্য। ‘ডেডপুল’ বা গানের ‘গার্ডিয়ানস অব দ্য গ্যালাক্সি’ ছাড়া সাম্প্রতিক অন্য কোনো সুপারহিরো সিনেমায় এই ‘উপভোগ্য’ ব্যাপারটা নেই। তাই বড় পর্দায় দেখতে বসে এসব ভুলত্রুটি ভুলে সুপারম্যানকে পয়সা উশুল সিনেমা মনে হবে। আর সে কারণেই হয়তো অনেক দিন পর কোনো সুপারহিরো সিনেমা নিয়ে বিশ্বজুড়ে এতটা মাতামাতি হলো। জেমস গান এবার কেবল পরিচালকই নন, বরং ডিসির নতুন ইউনিভার্সের সহস্রষ্টাও। ‘নতুন শুরু’তে নিজের নায়ককে তিনি গতানুগতিক সুপারহিরোর সব উপাদান যেমন দিয়েছেন, তেমনই যোগ করেছেন কিছু মানবিক উপাদান।

একনজরে
সিনেমা: ‘সুপারম্যান’
ধরন: সুপারহিরো
পরিচালনা: জেমস গান
অভিনয়ে: ডেভিড কোরেন্সওয়েট, নিকোলাস হল্ট, র‍্যাচেল ব্রোসনাহান
দৈর্ঘ্য: ২ ঘণ্টা ৯ মিনিট

‘সুপারম্যান’-এর পরিচিত সেই ক্ল্যাসিক গল্প এবার বাদ গেছে। ক্রিপটন নেই। বরং ঠিক মাঝপথে সুপারম্যানের (ডেভিড কোরেন্সওয়েট) প্রথম হারের দৃশ্য দিয়ে শুরু হয় গল্প। এক আন্তর্জাতিক সংকটে জড়িয়ে পড়ে সুপারম্যান। জাহরানপুর নামের একটি দেশকে বাঁচিয়েছে বরাভিয়ার আক্রমণ থেকে, যেটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র। পেন্টাগন তাকে সন্দেহ করে। সুযোগ বুঝে তাকে শেষ করে দিতে চায় লেক্স লুথার (নিকোলাস হল্ট)। নিজের মেটা হিউম্যান বাহিনীকে ব্যবহার করে সুপারম্যানকে দমন করতে চায় সে। তবে সুপারম্যানের পাশে আছে সাধারণ মানুষের সমর্থন আর ‘জাস্টিস গ্যাং’ নামের জনপ্রিয় একটি প্রাইভেট টিম। এরই মধ্যে সামনে আসে সুপারম্যানের ‘গোলমেলে’ অতীত। একদিকে পৃথিবীকে রক্ষা, অন্যদিকে পরিচয়সংকট—সুপারম্যানকে এবার দুই–ই সামলাতে হবে।

এ সিনেমার সুপারম্যানের সবচেয়ে বড় শক্তি তার হৃদয়। ব্র্যান্ডন রাউথের ‘সুপারম্যান রিটার্নস’ কিংবা টেলিভিশনের টাইলার হেকলিন বাদ দিলে, বহুদিন পর এমন এক সুপারম্যান পেলেন দর্শক; যে ক্লার্ক কেন্ট ও ‘সুপারম্যান’—দুই সত্তাকে একসঙ্গে ধারণ করে।

সদ্য মুক্তি পাওয়া সুপারম্যান সিনেমার একটি দৃশ্য।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প রহ র

এছাড়াও পড়ুন:

কপিলের রেস্তোরাঁয় বন্দুকধারীদের হামলা, সালমানের সঙ্গে কাজ করলেই হত্যার হুমকি

এক মাসের ব্যবধানে ভারতীয় অভিনেতা কপিল শর্মার কানাডার রেস্তোরাঁয় আবারও হামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে সারে শহরে কপিলের রেস্তোরাঁ কপ'স ক্যাফেতে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা গুলি চালায়। রেস্তোরাঁটির দিকে প্রায় ২৫টি গুলি চালানো হয়, যার মধ্যে অন্তত ছয়টি গুলি দেয়াল ও জানালায় লাগে। তবে কেউ আহত হননি। এক অডিও বার্তায় হামলার দ্বায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। সালমান খানের সঙ্গে কপিলের ঘনিষ্টতার কারণেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’–এর তৃতীয় সিজনের প্রথম পর্বে অতিথি ছিলেন সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ