দীর্ঘ এক যুগ পর দেশের নিট গার্মেন্টস মালিকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) ২০২৫–২৭ সাল পর্যন্ত আগামী দুই বছর মেয়াদে পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ শনিবার সকাল ৯টায় উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। একটানা ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
রাজধানী ঢাকার বাংলামোটর ও নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় বিকেএমইএর নিজস্ব ভবনের দুটি কেন্দ্রে এই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। এর আগে ২০১২ সালে সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে এমন আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের আয়োজন হয়।
বিকেএমইএর এবারের নির্বাচনে ৫৭২ ভোটারের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ২৭২ জন, ঢাকায় ২২৪ ও চট্টগ্রামে ৭৬ জন রয়েছেন। ভোটাররা তাঁদের সুবিধামতো ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে যেকোনো কেন্দ্রে ভোট প্রদান করতে পারবেন।
এবারের নির্বাচনে ৩৫টি পরিচালক পদে ৩৮ প্রার্থী হলেও তাঁদের মধ্যে ৩৫ জন একই প্যানেলে রয়েছেন। প্রোগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্স প্যানেলের প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিকেএমইএর বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তাঁর নেতৃত্বে গত দুই দিন আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে প্রোগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্স। এই প্যানেলের বাইরে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। তাঁরা হলেন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও ইয়াং ফোর এভার টেক্সটাইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব চৌধুরী, জাহিন নিটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.
প্রোগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্স প্যানেল লিডার মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলে নতুন পরিচালনা পর্ষদ দেশের নিট রপ্তানি খাতের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে যা যা করণীয়, তা–ই করবে। বিগত দিনে তাঁর কর্মকাণ্ডের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা এবার প্যানেলের বিরুদ্ধে কেউ প্যানেল দেননি। এ কারণে ব্যবসায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন। নিট ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
না বুঝে ভোট দেওয়ার দিন শেষ : নূরুল হক নূর
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর বলেছেন, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ কোন পথে পরিচালিত হবে। আপনারা ভালো মানুষকে ভোট দিলে দেশে সুন্দর হবে। আর যদি না বুঝে, না দেখে স্লোগান দিতে থাকেন-তাহলে জেনে রাখুন, না বুঝে ভোট দেওয়ার দিন শেষ।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর গণ অধিকার পরিষদের ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক সমাবেশে’ অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মাদক, সন্ত্রাস চাঁদাবাজ মুক্ত আগামীর সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশ পড়ার প্রত্যয় নিয়ে চাষঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সামাবেশের আয়োজন করা হয়।
নূর বলেন, এখনো আমরা কারো সঙ্গে জোট করিনি। দেশের পরিবর্তন, চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিষয়ে তাদের অবস্থান কী হবে-এগুলো স্পষ্ট হওয়ার পর আমরা জোট করবো। তার বাইরে জোট করব না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত ৫০ বছরে শহীদদের রক্ত অনেক ক্ষেত্রেই বিফলে গেছে। আমরা চাই সহনশীলতা ও সম্প্রীতির নতুন রাজনীতি। আমরা চাই একটি নিরাপদ বাংলাদেশ। তাই আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
নূর বলেন, আগেও গণ অধিকার পরিষদের দুটি সমাবেশ নারায়ণগঞ্জে হয়েছে। সমাবেশে তিনি তরণদের কাছে প্রশ্ন রাখেন,যে স্বপ্নের জন্য আপনারা জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছিলেন, সে স্বপ্ন কি পূরণ হয়েছে ? তা হয়নি। আমরা আর রক্ত দেব না। শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গঠন করব।
যুব অধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি শেখ সাব্বির রাজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শুভর সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির গৃহায়ন ভূমি ও পূনর্বাসন সম্পাদক আবুল খায়ের শান্ত, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি প্রকৌশলী নাহিদ,সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি প্রকৌশলী আরিফ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক রাহুল আজিম ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির আহ্বায়ক আল মাহমুদ শরীফ প্রমুখ।