রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, চরম দুর্ভোগ
Published: 11th, May 2025 GMT
রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। আজ রোববার বিকেল ৩টায় রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩১ শতাংশ। এর আগে শুক্রবার ৪০ ডিগ্রি এবং শনিবার সর্বোচ্চ ৪০.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।
নগরীর বাসিন্দারা জানান, তীব্র তাপদাহে মানুষের জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে চরম দুর্ভাগ। বাইরে বের হলেই আগুনের মতো তাপ লাগছে চোখে মুখে। এতে চোখমুখ পুড়ে যাওয়ার অনুভূতি হচ্ছে। গরমে ট্যাপের পানিও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। একটু স্বস্তির জন্য মানুষ ও পশু-পাখি গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। ৪২ ডিগ্রিদে উঠলে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
নগরীর বাসিন্দারা আরও জানান, তীব্র তাপদাহের কারণে চরম কষ্ট হচ্ছে। খেটে খাওয়া মানুষ গরমে পরিশ্রম করতে পারছেন না। বাইরে বের হয়েই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। প্রচণ্ড গরমের কারণে শহরের রাস্তাঘাট দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় রিকশা চালকরা যাত্রী পাচ্ছেন না।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী তারেক আজিজ সমকালকে বলেন, ‘তাপমাত্রা সবজায়গাতেই বেশি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রাও বাড়বে। বৃষ্টি হলেই কেবল তাপমাত্রা কমবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত ব র গরম
এছাড়াও পড়ুন:
মালয়েশিয়ায় আরো বাংলাদেশি কাজ করার সুযোগ পাবেন: আশা প্রধান উপদেষ্টার
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আরো অধিকসংখ্যক বাংলাদেশি কাজ করার সুযোগ পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মালয়েশিয়া সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে কুয়ালালামপুরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। এরপর দুই দেশের মধ্যে ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি সহযোগিতামূলক নোট বিনিময় স্বাক্ষর করা হয়।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় কাজ করছে। তারা উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠান, যা তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবনযাপন, সন্তানের লেখাপড়া এবং ভালো শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের জন্য এই দরজা খোলা থাকবে এবং আমাদের দেশের আরো অধিকসংখ্যক তরুণ-তরুণী এখানে কাজ করার সুযোগ পাবেন।”
বাংলাদেশের কর্মীদের মালয়েশিয়ায় কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, “মালয়েশিয়ার জনগণ তাদের সঙ্গে পরিবারের একজন সদস্য এবং বন্ধুর মত আচরণ করে। এতে তারা খুব খুশি। তারা অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি এখান থেকে অনেক কিছু শেখে, যা দেশে ফিরে যাওয়ার পর নিজের ব্যবসা দাঁড় করাতে সহায়ক হয়।”
মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে একটা উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আপনারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন এবং প্রযুক্তি নিয়ে আসুন। আমাদের মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে আপনারা পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারেন।”
একটা টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে বিনিয়োগ ও ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গত বছর ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমেছিল। আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক বিদায় নিয়েছে। এরপর নতুন সরকারের দায়িত্ব নিয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে আমরা সহযোগিতা খুঁজছিলাম, আর তখন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বন্ধুর মত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি আমাদের শক্তি জুগিয়েছিলেন। ”
বাংলাদেশে সঠিক পথ নিশ্চিত করতে দৃঢ় সংকল্পের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা দেশে শৃঙ্খলা ফেরাতে পেরেছি। অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করেছি।”
“ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবারও কার্যকর করা গেছে। যে কারণে এক বছরের মাথায় এসে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারছি।” আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট নিরসন এবং আসিয়ানের সদস্যপদ প্রাপ্তির জন্য মালয়েশিয়ার জোরালো সমর্থন চান।
সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম আশা প্রকাশ করে বলেন, “দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক উভয় দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে সহায়ক হবে।”
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/ইভা