পাসওয়ার্ডবিহীন লগইন প্রযুক্তি ‘পাসকি’ ব্যবহার সহজ করতে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে গুগল। ‘অটোমেটিক্যালি ক্রিয়েট আ পাসকি টু সাইন ইন ফাস্টার’ নামের নতুন এ সুবিধা চালু হলে ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা অ্যাপে লগইনের সময় পাসওয়ার্ড ছাড়াই সরাসরি পাসকির মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারবেন। গুগল প্লে সার্ভিসের সর্বশেষ বেটা সংস্করণে (সংস্করণ ২৫.

১৯.৩১) নতুন এই সুবিধা শনাক্ত করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।

অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির তথ্যমতে, গুগলের নতুন এই সুবিধা চালু হলে ওয়েবসাইটে লগইনের সময় গুগল পাসওয়ার্ড ম্যানেজার নিজে থেকেই ব্যবহারকারীর অনুমতি নিয়ে পাসওয়ার্ডকে পাসকিতে রূপান্তর করে দেবে। যেসব ওয়েবসাইট ও অ্যাপ পাসকি সমর্থিত, কেবল সেগুলোতেই সুবিধাটি কাজ করবে। এরই মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের ওপর এ সুবিধার কার্যকারিতা পরীক্ষা করছে গুগল।

আরও পড়ুনগুগল অ্যাকাউন্টের জন্য পাসকি তৈরি করবেন যেভাবে০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

একবার পাসওয়ার্ড থেকে পাসকিতে রূপান্তর হয়ে গেলে ব্যবহারকারীরা সহজেই নিজেদের আঙুলের ছাপ ও চেহারার মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে লগইন করতে পারবেন। এর ফলে পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝামেলা যেমন কমবে, তেমনি অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তাও বাড়বে। তবে যাঁরা এখনো প্রচলিত পাসওয়ার্ড ব্যবস্থায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাঁরা সুবিধাটি বন্ধ রাখতে পারবেন।

পাসকি ব্যবস্থাকে ব্যবহারবান্ধব করতে নতুন আরেকটি সুবিধা আনতে কাজ করছে গুগল। এই সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা চাইলে নিজের পাসকি অন্য কোনো অ্যাকাউন্টে এক্সপোর্ট বা ইমপোর্ট করতে পারবেন। এতে এক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেকটিতে স্থানান্তর কিংবা পাসওয়ার্ড ম্যানেজার পরিবর্তন আরও সহজ হবে।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অ য ক উন ট ব যবহ র প রব ন প সওয

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ