কোহলি টেস্টে কী করে গেলেন, কী রেখে গেলেন
Published: 12th, May 2025 GMT
টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণায় বিরাট কোহলি লিখেছেন, ‘ফিরে তাকালে সব সময়ই একটা হাসি ফুটে উঠবে মুখে।’ ১৪ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে হাসি ফুটে ওঠার মতো কী করেছেন বা দর্শকদের কী দিয়ে গেলেন, সেটিই দেখার চেষ্টা সংখ্যায় সংখ্যায়।১
টেস্টে মোট ৭টি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন কোহলি। যা ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। ডাবল সেঞ্চুরিতে কোহলি শীর্ষে বিশ্ব ক্রিকেটেও—তাঁর অভিষেকের পর আর কোনো ব্যাটসম্যান এত বেশি ২০০+ ইনিংস খেলতে পারেননি।
৪ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কোহলি চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের (৯২৩০) মালিক। সেঞ্চুরি করেছেন ৩০টি, এটিও ভারতীয়দের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ।
১০০০টানা দুটি পঞ্জিকাবর্ষে ৭৫ বা এর বেশি গড়ে ১০০০ রান করেছেন কোহলি। টেস্ট ইতিহাসে এমন কীর্তি আর কারও নেই।
২ভারতকে যে ৬৮ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাতে সেঞ্চুরি করেছেন ২০টি। অধিনায়ক হিসেবে এর চেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি আছে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথের, যদিও নেতৃত্বও দিয়েছেন প্রায় দ্বিগুণ ম্যাচ—১০৮ টেস্টে।
অধিনায়ক থাকা ম্যাচে কোহলির রান ৫৮৬৪। যা দলের রানের ১৬.৪৫ শতাংশ। যে ১৮ অধিনায়ক ৫০ বা এর বেশি টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের মধ্যে কোহলির সামনে শুধু ইংল্যান্ডের জো রুট (১৬.৬৭%)।৪০
কোহলির অধিনায়কত্বে ৬৮ টেস্টের ৪০টিতেই জিতেছে ভারত। যা ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ (ধোনি ৬০-এ ২৭)। এমনকি ২০১০ সালের পর থেকে অন্তত ৫০ টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া আর কোনো দেশের অধিনায়কই এত বেশি টেস্ট জিততে পারেননি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
‘প্রত্যেকটা জেলায় শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য যেমন হাসপাতাল আছে তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সিনেমা হল থাকা দরকার। সুস্থ বিনোদন থাকলে মানুষ নেশা, হানাহানি ও মব জাস্টিস থেকে দূরে থাকবে। আমাদের যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান দরকার তেমনি বিনোদনের জন্য সিনেমা হল দরকার।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘উৎসব’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী শেষে কথাগুলো বলছিলেন নন্দিত অভিনেতা জাহিদ হাসান।
‘উৎসব’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান। চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। শুটিংয়ের বহুদিন পেরিয়ে গেলেও জাহাঙ্গীর চরিত্রের মধ্যে থেকে এখনো বের হতে পারেননি বলেন জানালেন এই অভিনেতা।
জাহিদ হাসান বলেন, ‘এখনো আমি এই চরিত্রটার মধ্যে ডুবে আছি। সিনেমার আমার চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। আসলে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে জাহাঙ্গীর লুকিয়ে আছে। কারণ, আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের মাঝে হিরোইজম আছে, ভিলেন আছে। আছে উপলব্ধি করার ক্ষমতা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের সেই রিয়েলাইজেশনের সময়টা আছে। কখন মৃত্যু হয় আমরা জানি না। এই রিয়েলাইজ যদি আমাদের মধ্যে থাকে তাহলে আজ আমরা যারা জাহাঙ্গীরের মত আছি, কাল আমরা ভালো হয়ে যাবো।’
ঈদের সিনেমা মানেই এখন যেন অ্যাকশন অথবা থ্রিলার। গত কয়েক বছরে ঈদে বাজিমাত করা সিনেমাগুলোর দিকে তাকালে এমনটাই মনে হতে পারে। সেসব থেকে বেরিয়ে হাস্যরস পরিবার এবং সম্পর্কের গল্পে এবার ঈদে বাজিমাত করেছে ‘উৎসব’। এই সফলতার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করলেন প্রত্যেক শিল্পীর সততাকে।
জাহিদ হাসানের কথায়, ‘প্রডাক্টশন বয় থেকে শুরু করে এই সিনেমার সঙ্গে আমরা যারা যুক্ত ছিলাম তারা প্রত্যেকেই অনেক সৎ ছিলাম। অভিনয় নিয়ে কোনো অসৎ অবস্থার মধ্যে আমরা যাইনি। এটাই মনে হয় আমাদের সফলতার বড় বিষয়। এই সিনেমার প্রত্যেকটি দৃশ্যের সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে।’
করোনা মহামারির পর অভিনয়ে খুব একটা দেখা যায়নি জাহিদ হাসানকে। নির্মাতাদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে খুব একটা কথা হয়নি তার। কারোনার পর ‘উৎসব’-ই তার প্রথম সিনেমা।
তার ভাষ্য, ‘করোনার পর খুব একটা অভিনয় করা হয়নি। আমাকে অভিনয়ে নেওয়া বা না নেওয়াটা নির্মাতাদের দায়িত্ব। বলতে গেলে গত কয়েকবছর সেভাবে সুযোগও আসেনি। ‘উৎসব’ সিনেমার মধ্যে সেই সুযোগটা এলো। অভিনয় করলাম। দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝেছি অনন্ত ফেল করিনি।’
সিনেমার হলের সংখ্যা কম হওয়ায় দেশের সিনেমা সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছচ্ছে না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন জাহিদ হাসান। সেইসঙ্গে জেলা প্রশাসকদের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।
জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমার বাড়ি সিরাজগঞ্জ। আমার বোন ফোন করে বললেন এখানে তো সিনেমা হলে নেই। তাই আমরা সিনেমা দেখতে পারছি না। এই কথা শুনে কষ্ট পেয়েছি। এটা সত্য সিরাজগঞ্জের মত দেশের অনেক বড় শহরে সিনেমা হল নেই। জেলা প্রশাসকসহ দায়িত্বশীল পর্যায়ে যারা আছে তাদের সবাইকে অনুরোধ করবো তারা যেন প্রত্যেকটি জেলায় সিনেমা হলের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়ে তার বাস্তবায়ন করেন।’