টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণায় বিরাট কোহলি লিখেছেন, ‘ফিরে তাকালে সব সময়ই একটা হাসি ফুটে উঠবে মুখে।’ ১৪ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে হাসি ফুটে ওঠার মতো কী করেছেন বা দর্শকদের কী দিয়ে গেলেন, সেটিই দেখার চেষ্টা সংখ্যায় সংখ্যায়।১

টেস্টে মোট ৭টি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন কোহলি। যা ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। ডাবল সেঞ্চুরিতে কোহলি শীর্ষে বিশ্ব ক্রিকেটেও—তাঁর অভিষেকের পর আর কোনো ব্যাটসম্যান এত বেশি ২০০‍+ ইনিংস খেলতে পারেননি।

ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কোহলি চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের (৯২৩০) মালিক। সেঞ্চুরি করেছেন ৩০টি, এটিও ভারতীয়দের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ।

১০০০

টানা দুটি পঞ্জিকাবর্ষে ৭৫ বা এর বেশি গড়ে ১০০০ রান করেছেন কোহলি। টেস্ট ইতিহাসে এমন কীর্তি আর কারও নেই।

ভারতকে যে ৬৮ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাতে সেঞ্চুরি করেছেন ২০টি। অধিনায়ক হিসেবে এর চেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি আছে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথের, যদিও নেতৃত্বও দিয়েছেন প্রায় দ্বিগুণ ম্যাচ—১০৮ টেস্টে।

অধিনায়ক থাকা ম্যাচে কোহলির রান ৫৮৬৪। যা দলের রানের ১৬.

৪৫ শতাংশ। যে ১৮ অধিনায়ক ৫০ বা এর বেশি টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের মধ্যে কোহলির সামনে শুধু ইংল্যান্ডের জো রুট (১৬.৬৭%)।৪০

কোহলির অধিনায়কত্বে ৬৮ টেস্টের ৪০টিতেই জিতেছে ভারত। যা ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ (ধোনি ৬০-এ ২৭)। এমনকি ২০১০ সালের পর থেকে অন্তত ৫০ টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া আর কোনো দেশের অধিনায়কই এত বেশি টেস্ট জিততে পারেননি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফুড পয়জনে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল: পিন্টু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু বলেছেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দি অবস্থায় ছিলেন। তিনি কারাগারের অভ্যন্তরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েছেন। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি। ডাক্তাররা বার বার তাকে বিদেশ পাঠানোর চেষ্টা করেছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য কিন্তু দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। কারাগারে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফুড পয়জনে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্র কাজ হয়নি। মহান আল্লাহ তাআলা এখনো উনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।”

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। 

আব্দুস সালাম পিন্টু বলেন, “আমাদের নেত্রীকে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিদেশ যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নেত্রী বলেছিলেন, এই দেশ ছাড়া অন্য কোন জায়গায় আমাদের ঠিকানা নেই। তিনি দেশেই ছিলেন। শেখ হাসিনা তখন বিদেশে গিয়ে ষড়যন্ত্রের পর ষড়যন্ত্র করেছেন। দেশে ফিরে সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত করে ক্ষমতায় বসেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অন্যের কাছে তুলে দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। কিন্তু আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও জনগণের ইজ্জত অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়ে ক্ষমতা চাননি।” 

তিনি আরও বলেন, “এই ১৭ বছর আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা ও দেশ নায়ক তারেক রহমান সংগ্রাম করেছেন এদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, বিদেশি আগ্রাসন থেকে রক্ষা করার জন্য, এই দেশের মুসলমানদের মান ইজ্জত সম্মান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আজ সেই কাজের ফসল হিসেবে আমরা মুক্তি লাভ করেছি।”

সমাবেশে ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান গিয়াসসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা/কাওছার/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ