মেসি বেছে নেবেন নিজের প্রিয় গোল, আপনার পছন্দের কোনটি
Published: 14th, May 2025 GMT
ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৮৬০টি গোল করেছেন লিওনেল মেসি। এত গোলের মধ্যে সব গোলের মান নিশ্চিতভাবে এক নয়। এমন অনেক গোল আছে, যা স্পর্শ করেছে নান্দনিকতার চূড়া, যা মেসিকে বানিয়েছে সেরাদের সেরা। আবার কোনো কোনো গোল একেবারেই সাদামাটা।
তবে সাদামাটা গোলও ম্যাচ ও পরিস্থিতির কারণে অমূল্যও হয়ে উঠতে পারে। বিশ্বকাপ ফাইনালে মেসি করা পেনাল্টি গোলটির মূল্য নিশ্চিতভাবে দুর্দান্ত কোনো ফ্রি-কিক গোলের চেয়েও এগিয়ে থাকবে। মূল কথা হচ্ছে, স্থান-কাল-পাত্রভেদে সেরার এই মাপকাঠি বদলেও যেতে পারে।
এরপরও এমন কিছু গোল আছে, মেসির প্রসঙ্গে সেসব গোলের ছবিই সবার আগে ভেসে ওঠে। যেমন ২০১৫ সালের কোপা দেল রে ফাইনালে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে তিনজনকে কাটিয়ে করা গোল, ২০১৮ সালের কোপা দেল রে সেমিফাইনালে হেতাফের বিপক্ষে ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে মনে করিয়ে দিয়ে করা গোল কিংবা ২০১০-১১ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দুর্দান্ত গোলটির কথাও কেউ কেউ চাইলে বলতে পারেন।
আরও পড়ুন২০২৬ বিশ্বকাপ: মেসি-রোনালদো-নেইমার, কে থাকবেন কে থাকবেন না২৩ এপ্রিল ২০২৫তালিকা করতে গেলে মেসির করা অসংখ্য গোলের কথা মনে পড়বে। এরপরও শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ভক্তদের দেখা যায় মেসির করা প্রিয় গোলটি বেছে নিতে। মেসির সেরা গোল নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পাওয়া যায় অসংখ্য ভিডিও। তবে এবার বোধহয় মেসির সেরা গোল বেছে নেওয়া কাজটা কিছুটা সহজ হতে যাচ্ছে।
কারণ, মেসি নিজেই এবার নিজের করা সেরা গোলটি বেছে নেবেন। ২২ মে বিশ্বকাপজয়ী এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা নিজের করা সবচেয়ে পছন্দের গোলটির কথা জানাবেন। এরপর সেই গোলটিকে চিত্রকর্মে রূপ দেওয়া হবে এবং সেই চিত্রকর্মকে চ্যারিটির জন্য নিলামে তোলা হবে। গোলের সেই চিত্রকর্মে মেসি এবং শিল্পী রেফিক আনাদোলের স্বাক্ষরও থাকবে। যা আগামী ১১ জুন নিলাম প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টির মাধ্যমে নিউইয়র্কে উন্মোচন করা হবে। নিলাম শেষ হবে আগামী ১১ জুলাই।
আরও পড়ুনবিশ্রামের ফাঁকে ফাঁকে খেলাটাই এখন মেসির নিয়তি০৯ অক্টোবর ২০২৪নিজের পছন্দের গোল বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে মেসি বলেছেন, ‘সব গোলের মধ্যে একটি গোল বেছে নেওয়া অনেক কঠিন। প্রতিটি গোল নিজের মতো করেই বিশেষ। কিছু আছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিংবা অসাধারণ কিছু স্মৃতি ফিরিয়ে আনে। তবে এই বিশেষ প্রকল্পকে সম্ভব করে তোলার জন্য প্রথমবারের মতো একটি প্রিয় গোলকে আলাদা করে তুলে ধরা—এটা সত্যিই মূল্যবান। এর পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য রয়েছে, আর আমি এর অংশ হতে পেরে খুবই আনন্দিত।’
মেসি তো তাঁর নিজের পছন্দের গোলের কথা জানাবেন। এখন আপনিও বেছে নিতে পারেনি মেসির করা আপনার প্রিয় গোলটি। এরপর ২২ মে মিলিয়ে দেখুন মেসির পছন্দের সঙ্গে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘শেষ ঠিকানার কারিগর’ মনু মিয়া আর নেই
কারো মৃত্যু সংবাদ পেলেই তড়িঘড়ি করে খুন্তি-কোদাল, দা, চাকু, স্কেল আর করাতসহ কবর খোঁড়ার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে ছুটে যেতেন ‘শেষ ঠিকানার কারিগর’ মনু মিয়া।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার ইটনা উপজেলার জয়সিদ্দি ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মনু মিয়ার চাচাতো ভাই আবদুর রউফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মনু মিয়া। গত ১৪মে তাকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই এক রকম মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা হয়েছিল তার। তারপর বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পর নিজ গ্রামে ফেরেন। এরপর ভালই ছিল, হঠাৎ তিনি আবারো অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন জানা যায় তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। এরপর আজ সকালে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মনু মিয়া কবর খোঁড়ার পর মৃত ব্যক্তির পরিবারের কারো কাছ থেকে কোন পারিশ্রমিক বা যাতায়াত খরচ নিতেন না। এমনকি খাবারের বেলায়ও ছিল তার একই নিয়ম। নিজের বাড়ি থেকে খেয়ে রওনা না হতে পারলে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েও খেতেন নিজ খরচে।
মনু মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্দি ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামে। তার জন্ম ১৯৫২ সালের ১৫ মার্চ। কবর খোঁড়ার কাজ শুরু করছিলেন ১৯৭২ সাল থেকে। এ পর্যন্ত ৩ হাজারেরও বেশি খবর খুঁড়েছেন তিনি। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মনু মিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেসময় মিঠামইন উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের হাসিমপুর এলাকায় রাস্তার পাশে ডোবায় মনু মিয়ার ঘোড়াটির মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন।
ধারণা করা হয়, ঘোড়াটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণে মারা যায় ঘোড়াটি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনু মিয়ার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে স্ত্রী ও স্বজনরা তার কাছে বিষয়টি গোপন রাখেন।
ঢাকা/রুমন/এস