বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব নুরুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে মামলা করেছেন একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমাইয়া আক্তার।

গতকাল বুধবার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলার অন্য তিন আসামি হলেন জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সালমান আহমদ ওরফে খুরশেদ (২৭), যুগ্ম সদস্যসচিব ফখরুল হাসান (২৫) ও রেদোয়ার মুনসি (২৬)।

মামলার বাদী সুমাইয়া আক্তার অভিযোগ করেন, ৭ মে আসামিরা তাঁকে অপহরণ, খুন ও ধর্ষণের হুমকি দেন। পরে ১০ মে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনি সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে তিনি আদালতে মামলা করেন।

বাদীর আইনজীবী ওয়াহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শককে (তদন্ত) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মামলায় যে চারজনকে আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রেদোয়ার মুনসি আমাদের কমিটির কেউ নন। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মামলা যে কেউ করতে পারেন, কিন্তু প্রমাণ তো করতে হবে। এ অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। সামাজিকভাবে হেনস্তা করতেই বাদী এমনটি করেছেন।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস যসচ ব কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে অস্ত্র-মাদকসহ ২৮ মামলার আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, মাদক, অপহরণসহ ২৮ মামলার পলাতক আসামি ও ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে ( ৪৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নুরুল হুদা হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি সদস্য নুরুল হুদা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক পাচারকারী। টেকনাফে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন মাদক পাচারকারীর মধ্যে নুরুল হুদাও ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ১৬টি মাদক, একটি অপহরণ, ৩টি অস্ত্র, একটি বিশেষ ক্ষমতা আইন, চারটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলাসহ মোট ২৮টি মামলা রয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি এলাকায় এসে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। গোপন সংবাদের ভিত্তিকে গতকাল রাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

পুলিশ জানায়, আজ শনিবার বিকেলে ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বুধবার রাতে পুলিশ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারছড়া গ্রামের বাসিন্দা ও একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইউপি সদস্য রশিদ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, মানব পাচার, বিস্ফোরক ও নাশকতার পাঁচটি মামলা রয়েছে। তিনি টেকনাফ উপজেলার যুবলীগের সদস্য ছিলেন।

পৃথক অভিযানে টেকনাফের দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) অলক বিশ্বাস। তিনি বলেন, সরকার মাদক চোরাচালান দমনে কঠোর অবস্থানে। মাদক ও মানব পাচারকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেকনাফে অস্ত্র-মাদকসহ ২৮ মামলার আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার