জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সক্ষমতা জোরদারে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত সামরিক ও পুলিশ ইউনিটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার (১৪ মে) বার্লিনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের সমাপনী দিনের বক্তব্যে তিনি এই নতুন প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছেন।

বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী  শান্তিরক্ষী মোতায়েন, একটি এআই-ইন্টিগ্রেটেড ক্যাম্প সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম বাস্তবায়ন এবং বিদ্যমান মিশনে ১ দশমিক ৮ মেগাওয়াট সৌর প্যানেল স্থাপন।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের উপ-নেতা প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল  আব্দুল হাফিজ একটি  অধিবেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন।  তিনি  প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার এবং শান্তিরক্ষীদের কাঠামোগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ওপর জোর দেন। তিনি শান্তিরক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দায়িত্বশীল ব্যবহারের আহ্বান জানান।

মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা লাইবেরিয়া, পানামা, ইসওয়াতিনি, গিনি, চেক প্রজাতন্ত্র এবং কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির মহাপরিচালক এবং ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের উপ-মহাসচিবের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

সরকার নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে: মির্জা আব্বাস 

সরকার নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। 

তিনি বলেন, ‍“নানা ফন্দি-ফিকির করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তবে, বিএনপি আবারো আন্দোলনে নামবে এবং দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবে।”

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে সিলেট নগরের পাঠানটুলায় সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপি আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে বিএনপি চাঁদা তোলে না’

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ইস্যু তুলে ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে ‘স্লো পয়জনিংয়ের’ মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে অসুস্থ করা হয়েছে। যখন বিদেশে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, তখন সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তা আটকে দেয়। এটা শুধু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেই নয়, এটি ছিল দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হরণের এক গভীর ষড়যন্ত্র।”

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার নির্বাচন এড়াতে চায় বলে দাবি করেন তিনি। বিএনপির এই নেতা বলেন, “তারা একবার বলছে এখনই নির্বাচন নয়, আবার বলছে, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। তারা নিজেরাই জানে না পিআর পদ্ধতি কী। বিশ্বে ৮০টির মতো দেশে এই পদ্ধতি থাকলেও, প্রতিটি দেশের প্রক্রিয়া ভিন্ন। আমাদের দেশে পূর্বপুরুষদের প্রচলিত পদ্ধতিতেই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে কোনো সমস্যা নেই।”

মির্জা আব্বাস বলেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই খালেদা জিয়া জেলে গেছেন। তারেক রহমান আজও বিদেশে অসুস্থ অবস্থায় আছেন। সরকারিভাবে থাকা আমলারা এমনভাবে কাজ করছে, যেন এই সরকার আর নির্বাচন দিতে না পারে। কিন্তু আমরা সব চক্রান্ত প্রতিহত করব।”

ঢাকা/নূর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ