Prothomalo:
2025-08-17@01:07:56 GMT

কিসওয়া পরিবহনের পালকি

Published: 17th, May 2025 GMT

পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ, কিসওয়া, একসময় হজ কাফেলার সঙ্গে বিশেষভাবে পরিবহন করা হতো। এই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত রেশম কাপড়ে তৈরি গম্বুজ আকৃতির পালকিকে বলা হতো মাহমাল। মাহমাল কেবল কিসওয়া পরিবহনের মাধ্যমই ছিল না, বরং এটি খেলাফত বা সালতানাতের প্রশাসনিক প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হতো।

মাহমাল ছিল উন্নত মানের রেশম কাপড়ে তৈরি একটি পালকি, যার গায়ে স্বর্ণ ও রুপার প্রলেপ দেওয়া সুতা দিয়ে কোরআনের আয়াত এবং খলিফা বা সুলতানের নাম খোদিত থাকত। এর অভ্যন্তরে কিসওয়া ছাড়াও বিভিন্ন মূল্যবান উপহারসামগ্রী থাকত। মাহমাল মক্কার শরিফের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হতো। হজ কাফেলার সঙ্গে মাহমাল প্রেরণ ছিল প্রশাসনের মর্যাদা ও পবিত্রতার প্রতীক।

সৌদি আরব ও অন্যান্য রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্বে আরব উপদ্বীপ বিভিন্ন খেলাফত ও সালতানাতের অধীনে ছিল। তারা মক্কা ও মদিনার পবিত্র মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং হজ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করত। খলিফা বা সুলতানের তত্ত্বাবধানে হজ কাফেলার সঙ্গে নতুন কিসওয়া মক্কায় পাঠানো হতো এবং পুরোনো কিসওয়া ফেরত আনা হতো। মাহমাল এই পরিবহন–প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।

আরও পড়ুন মসজিদে নববি ভ্রমণ করা যাবে ঘরে বসেই৩০ জানুয়ারি ২০২৩কায়রোর মধ্য দিয়ে যাওয়া মাহমাল: ১৭৯১ সালের চিত্র, ইংরেজ খোদাইকারী রিচার্ড ডাল্টন।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর বহন ক সওয়

এছাড়াও পড়ুন:

‘হারানো দিন’ থেকে ‘আম্মাজান’—শবনমের পূর্ণতার যাত্রা

মাত্র ১৫ বছর বয়সে অভিনয় শুরু শবনমের। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মিলিয়ে টানা চার দশকের অভিনয়জীবন তাঁর। ২৬ বছর ধরে অভিনয়ে নেই তিনি। এরপরও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন আড্ডায় প্রাসঙ্গিক। আজ তাঁর জন্মদিন। শবনমকে নিয়ে লিখেছেন মনজুর কাদের

‘হারানো দিন’ সিনেমা দিয়েই শবনম সাড়া ফেলেন। এ সিনেমার ‘আমি রূপনগরের রাজকন্যা রূপের জাদু এনেছি, ইরান-তুরান পার হয়ে আজ তোমার দেশে এসেছি’ গানটি আজও যেন দর্শকের মুখে মুখে। গানটিতে পর্দায় ঠোঁট মিলিয়েছিলেন শবনম। অভিষেক সিনেমাই সুপারহিট। এরপর শুধুই এগিয়ে যাওয়া। মুস্তাফিজ পরিচালিত সিনেমাটি ১৯৬১ সালে মুক্তি পায়।

ষাট থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত বাংলাদেশ আর পাকিস্তান মিলিয়ে প্রায় ১৮৫টি সিনেমায় অভিনয় করেন শবনম। তিনিই একমাত্র অভিনেত্রী, যিনি পাকিস্তানি সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন মোট ১৬ বার। তাঁর এ রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেনি। এক বছর আগে পাকিস্তান সরকার দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার সিতারা-ই-ইমতিয়াজ দেন শবনমকে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মিলিয়ে বহু সম্মাননায় সমৃদ্ধ হয় তাঁর অর্জনের ঝুলি।

বরেণ্য অভিনয়শিল্পী শবনমের আসল নাম ঝর্ণা বসাক। ১৯৪৬ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার নবাবপুরে জন্ম। পরিচালক এহতেশামের ‘চান্দা’ সিনেমায় ১৯৬২ সালে অভিনয় করেন তিনি। এই নির্মাতা ‘হারানো দিন’ সিনেমায় তাঁকে শবনম নামটি দেন। ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে স্থায়ীভাবে বাস করতে থাকেন শবনম।

সত্তর দশকের শুরুতে শবনম পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করেন। ১৯৮৮ সালে শবনম ঢাকা ও লাহোরের সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করতে থাকেন। নব্বই দশকের শেষভাগে ঢাকায় এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সর্বশেষ তিনি অভিনয় করেন ‘আম্মাজান’ সিনেমায়। এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে সব বয়সী দর্শকের কাছে ‘আম্মাজান’ হিসেবে নতুন করে পরিচিতি পান।

শবনম বলেন, ‘ভাগ্য আমার এতটাই ভালো, আমার অভিনীত প্রথম ও শেষ সিনেমা ছিল আমার ক্যারিয়ারের সেরা ও হিট সিনেমা।’

শবনম

সম্পর্কিত নিবন্ধ