দিল্লি থেকে মুক্ত হয়েছি ওয়াশিংটনের গোলামির জন্য নয়: মামুনুল হক
Published: 17th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, “১৯৭১ সালে পিন্ডির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করা হয়েছে দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়। তেমনি ৫ আগস্ট দেশের মানুষ দিল্লির গোলামি এবং দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়েছে ওয়াশিংটনের গোলামি করতে নয়। বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার স্বকীয়তা নিয়ে নিজের পায়ে স্বনির্ভর হয়ে মাথা উঁচু করবে। কোনো ভিন দেশীদের স্বার্থে এ দেশের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।”
শনিবার (১৭ মে) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৌর মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, “১৯৭২ এর সংবিধান এর মধ্যদিয়ে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে প্রকৃত চেতনাকে ছিনতাই করা হয়েছে। মূলত ৭২ এর চেতনাকে ৭১ এর চেতনার নাম দিয়ে ভারতীয় দালালির চেতনাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে মার্কেটিং করেছে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ।”
আরো পড়ুন:
প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন: মামুনুল হক
বিচার হলে আ.
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান খেলাফত মজলিসের আমির। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন তিনি।
জুলাই গণহত্যা, শাপলা চত্বর গণহত্যাসহ সব গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান অগ্রগতি ছাড়া নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে না বলে জানান তিনি। মামুনুল হক বাংলাদেশকে রক্ষায় ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন রুখে দেওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যমতকে রক্ষা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় জেলা খলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজ খন্দকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ম ন ল হক
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় নারীকে ধর্ষণ ও নিগ্রহের প্রতিবাদে জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণ ও নিগ্রহের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে প্রতিবাদে মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ ঘুরে একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আমার বোন ধর্ষিতা কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’, ‘অবিলম্বে ধর্ষকদের বিচার কর’, ‘জানমালের নিরাপত্তা দাও, নইলে গদি ছেড়ে দাও’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। প্রতিবাদ মিছিল শেষে একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বরের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শামসুল আলম মারুফ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী সরকারের পতনের মাধ্যমে ইন্টেরিম (অন্তর্বর্তীকালীন) সরকার ক্ষমতায় বসল। কিন্তু এরপর আমরা দেখতে পেলাম নারীদের ওপর একাধিক নিপীড়ন, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনসহ বিগত কয়েক মাসে ঘটিত শত শত মব ভায়োলেন্সের ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।’
এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘সরকারের এমন আচরণ ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারা, পুলিশের কাঠামোগত সংস্কার না করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম জুলাই–আগস্টের শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব বলেন, ‘প্রতিদিন এই ধর্ষণের ঘটনাগুলো সংবাদের শিরোনামে দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি বললেও এই কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে প্রতিদিন হাটে-ঘাটে চলতে গিয়ে আমরাও সবাই অনেকখানি অনিরাপদ বোধ করছি। এটা হওয়ার কথা ছিল না। জুলাই অভ্যুত্থানে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ছিল হাসিনার আমলের সকল দুঃশাসন কাটিয়ে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অথচ একই রকম সংস্কৃতি এখনো বিদ্যমান।’
তাহসীব আরও বলেন, ‘আমরা বিচারের কথা বলি, যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পর আর কেউ এমন ঘৃণ্য কাজ করতে সাহস না পায়। যাতে এই সংস্কৃতি বন্ধ হয়। মুরাদনগরের সেই ধর্ষিতার চাচা বলেছিলেন কাল তাঁর ঘরের কারও সাথে এমনটা হবে না, সে নিশ্চয়তা কোথায়? আমরা সেই নিশ্চয়তার দাবিতে আজ দাঁড়িয়েছি। যতক্ষণ না সেটা নিশ্চিত হচ্ছে, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’