দিনাজপুরে আমের বাম্পার ফলন স্বপ্ন দেখাচ্ছে
Published: 18th, May 2025 GMT
দিনাজপুর জেলাকে বলা হয় খাদ্য ভাণ্ডার। অনেকে ছড়া কেটে বলেন, ‘আম-লিচুতে ভরপুর, জেলার নাম দিনাজপুর।’ শুধু চাল নয়, আম লিচুর মতো মৌসুমী ফলের জন্যও এই জেলা বিখ্যাত। চলতি মৌসুমেও প্রতিবারের মতো দিনাজপুরে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে।
এবার জেলায় ৫ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে ন্যাংড়া ভোগ, আম্রপালি, নাগ ফজলি, হাঁড়িভাঙা, ফজলি উল্লেখযোগ্য। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আম বাজারজাত করবেন আমচাষীরা। ফলন ভালো হওয়ায় দাম নাগালের মধ্যে থাকবে বলে তারা আশা করছেন।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার আমবাগান ঘুরে দেখা যায় চলতি মৌসুমে শিলাবৃষ্টি না হওয়ায় আমের ক্ষতি হয়নি। বাগান মালিকরা আম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ঘোড়াঘাট উপজেলার উসমানপুর গ্রামের বাগান মালিক মন্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘৬ বিঘার উপরে আমার আমবাগান। বাগানে সব জাতের আম গাছ রয়েছে। এবার ফলন ভালো হয়েছে। আম ব্যবসায়ীরা বাগান কিনতে আসছেন। কয়েক দিনের মধ্যে বাগান বিক্রি করে দেব।’’
ঘোড়াঘাট উপজেলার কৃষি অফিসার মো.
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, ‘‘হাকিমপুর উপজেলায় ৪৭ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বাগান রয়েছে ১৪৮টি। ফলন ভালো হয়েছে।’’
দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘‘চলতি মৌসুমে এবার জেলায় মোট ৫ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে রয়েছে। জেলায় তেমন কোথাও শিলাবৃষ্টি হয়নি। ফলে আমের বাম্পার ফলন হবে।’’
মোসলেম//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ষ হয় ছ উপজ ল র ফলন
এছাড়াও পড়ুন:
অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাবগুলো ডিজিএফআইয়ের, সাবেক ডিজি হামিদুলের নয়: দুদক
দুর্নীতির অনুসন্ধান চলমান থাকায় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হকের চারটি ব্যাংক হিসাব সোমবার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
আজ মঙ্গলবার দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবরুদ্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাবগুলো ডিজিএফআইয়ের, সংস্থাটির সাবেক মহাপরিচালক হামিদুল হকের নয়।
দুদক জানিয়েছে, ডিজিএফআইয়ের চারটি প্রাতিষ্ঠানিক হিসাব প্রতিষ্ঠানের নামে না হয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নামে হয়েছে। এ কারণে করণিক ত্রুটির কারণে ওই ব্যাংক হিসাবগুলো ব্যক্তিগত হিসেবে অবরুদ্ধ হয়েছে। এটি একটি তথ্যসূত্রগত ত্রুটি, যা সংশোধন করা হবে।
দুদক সোমবার লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছিল, হামিদুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। তিনি তার ব্যাংক হিসাবের টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন। হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করার আদেশ চায় দুদক। দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক নওশাদ আলী এ আবেদন করেন।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল হামিদুল ও তার স্ত্রী নুছরাত জাহান মুক্তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।