সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে রয়্যাল টোবাকো কোম্পানীতে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব-১১ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ সিগারেট বাজারজাত করার অভিযোগে ওই কোম্পানীকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

এ ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে কোম্পানীর পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম (৪০) কে ১৪ দিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় ১৪ হাজার প্যাকেট অবৈধ সিগারেট সহ প্রায় ২১ লাখ রি-ইউজড স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়। দন্ডপ্রাপ্ত মো.

সাইফুল ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার মৃত ইসমাইল মিয়ার ছেলে। 

সোমবার (১৯ মে) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের ২ নম্বর গোদনাইল বাজারে এই কোম্পানীতে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন ও র‌্যাব-১১। বিকেলে র‌্যাব ১১ এর সিনিয়র এএসপি ও অপারেশন অফিসার গোলাম মোর্শেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের রয়্যাল টোবাকো কোম্পানীতে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-১১ ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক মোবাইল কোর্ট। এ সময় সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সিগারেট উৎপাদনের দায়ে প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। 

এই কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে কোম্পানীর পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এ সময় প্রায় ১৪ হাজার প্যাকেট অবৈধ সিগারেট এবং প্রায় ২১ লাখ রি-ইউজড স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়। এবং প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। 

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি ও অপারেশন অফিসার গোলাম মোর্শেদ এবং জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলাম সহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০২১ সাল থেকে চালুকৃত এই প্রতিষ্ঠানটি দৈনিক প্রায় ৬ লক্ষ টাকা করে মাসিক প্রায় ২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিল। ৫০ শতাংশ অর্জিনাল স্ট্যাম্প এবং বাকি ৫০ শতাংশ রিইউজড স্ট্যাম্প দিয়ে তারা সিগারেট বিক্রি করে আসছিল। 

এর আগে ২০২৩ সালে এই ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালিত হয় এবং একই অভিযোগে সিলগালা করা হয়। সিলগালার ৭ দিন পর পুনরায় চালু করা হয়েছিল।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ র অব ধ স গ র ট ল ইসল ম পর চ ল য ব ১১

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। 

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরো পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।” 

শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।

মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।

তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি।  ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।

ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ