মিনিস্টার রেফ্রিজারেটরে উন্নতমানের কম্প্রেসার এবং এনার্জি সেভিং ইনভার্টার টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়। এর ফলে বিদ্যুৎ খরচ ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় হয়। মিনিস্টার রেফ্রিজারেটর কম্প্রেসারে দিচ্ছে ১২ বছরের গ্যারান্টি

সমকাল: এ বছর ফ্রিজের চাহিদা কেমন? আপনাদের ব্র্যান্ড কেমন সাড়া পাচ্ছে?
মনিরুল হাসান স্বপন: এ বছর রেফ্রিজারেটরের চাহিদা বেশ ভালো। বর্তমানে ঈদুল আজহা ঘিরে ফ্রিজ ও ফ্রিজারের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ঈদুল আজহা উপলক্ষে মাংস সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজারের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। এ সময়ে অনেক পরিবার নতুন ফ্রিজ বা ফ্রিজার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে বিক্রি অনেক বেড়ে যায়। এবারের ঈদুল আজহায় আমরা লক্ষাধিক ইউনিট রেফ্রিজারেটর বিক্রির আশা করছি। 
সমকাল: ঈদুল আজহা সামনে রেখে আপনারা কী কী অফার দিচ্ছেন?
মনিরুল হাসান স্বপন: মিনিস্টার সম্মানিত গ্রাহকদের জন্য পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিয়ে এসেছে ‘ফ্রিজ কিনুন, হাম্বা জিতুন– অফার, সিজন-২’। গত বছরের পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে অফারটি সম্মানিত গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। গ্রাহকদের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার জন্য এ বছরে নিয়ে এসেছি সিজন-২। এ অফারে গ্রাহকরা ফ্রিজ কিনলেই পাবেন স্ক্র্যাচ কার্ড আর কার্ড ঘষলেই গ্রাহক পেতে পারেন ফ্রি গরু অথবা ফ্রিজ কিনে ফ্রিজ ফ্রি, নিশ্চিত বিশাল মূল্যছাড় এবং আকর্ষণীয় উপহার। এছাড়া গ্রাহকদের জন্য আমাদের রয়েছে সহজ কিস্তি সুবিধা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে ইএমআই সুবিধা। 
সমকাল: আপনাদের ব্র্যান্ডের নতুন কোন কোন মডেল এসেছে? এগুলোর বিশেষত্ব কী? 
মনিরুল হাসান স্বপন: এ বছর আমরা বাজারে এনেছি বেশ কিছু নতুন মডেলের ফ্রিজ ও ফ্রিজার, যেগুলোতে ডিজাইন ও রঙের দিক থেকে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন বৈচিত্র্য। আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজনে মডেলগুলো আরও উন্নত এবং টেকসই হয়েছে। প্রতিটি মডেলেই আমরা চেষ্টা করেছি গ্রাহকের প্রয়োজন ও রুচির প্রতিফলন ঘটাতে। মিনিস্টার রেফ্রিজারেটরে উন্নতমানের কম্প্রেসার এবং এনার্জি সেভিং ইনভার্টার টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়। এর ফলে বিদ্যুৎ খরচ ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় হয়। মিনিস্টার রেফ্রিজারেটর কম্প্রেসারে দিচ্ছে ১২ বছরের গ্যারান্টি। 
টেম্পার্ড গ্লাস ডোর হওয়ায় বছরের পর বছর ব্যবহারেও আমাদের রেফ্রিজারেটরে মরিচা পড়ে না। একই সঙ্গে প্রতিটি ফ্রিজে যুক্ত করা হয়েছে ভিটামিন প্রটেকশন প্রযুক্তি; যার ফলে সব খাবারের জন্য উপযুক্ত সঠিক তাপমাত্রা বজায় থাকে। এর ফলে হিমায়িত খাবারের ভিটামিন দীর্ঘসময় সঠিকভাবে বজায় থাকে এবং খাবার সতেজ রাখে। মিনিস্টার রেফ্রিজারেটরে ‘আর ৬০০ এ’ রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস ব্যবহার করা হয়; যা ওজোন স্তরের ক্ষতি করে না এবং পরিবেশবান্ধব। ‘বিল্ট ইন ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার’ আছে আমাদের সকল রেফ্রিজারেটরে। তাই আলাদা ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারের প্রয়োজন হয় না। মিনিস্টার রেফ্রিজারেটরে রয়েছে ওয়াইড ভোল্টেজ রেঞ্জ। সিক্স-এ কুলিং সিস্টেম থাকায় খাবার দ্রুত ঠান্ডা হয়। ন্যানো হেলথকেয়ার টেকনোলজি এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ডোর গ্যাসকেট থাকায় মিনিস্টার রেফ্রিজারেটরে খাবার থাকে সতেজ, ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাসমুক্ত। 
সমকাল: আমাদের দেশে ফ্রিজের চাহিদার কতটুকু স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে পূরণ হয়? আমদানি হয় কত শতাংশ? 
মনিরুল হাসান স্বপন: পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে ফ্রিজের বাজার এখন প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি; যার বার্ষিক চাহিদা ৩৫ লাখ ইউনিটেরও বেশি। আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশে ফ্রিজের বাজারের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হারে। গত কয়েক বছরে মিনিস্টারের মার্কেট শেয়ারও বেড়েছে অনেকাংশে। রেফ্রিজারেটরের চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশই বর্তমানে পূরণ হয় দেশীয় কোম্পানির রেফ্রিজারেটর দ্বারা। বাকি ১০ শতাংশ আমদানির ওপর নির্ভর করে।
সমকাল: স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে সরকার কী কী সহযোগিতা দিচ্ছে? বাজেটে আরও কিছু করণীয় রয়েছে?
মনিরুল হাসান স্বপন: বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় ফ্রিজ উৎপাদন খাতকে উৎসাহিত ও সম্প্রসারিত করতে বিভিন্ন নীতিসহায়তা ও প্রণোদনা দিচ্ছে। এসব উদ্যোগের ফলে দেশীয় উৎপাদকরা বাজারের প্রায় ৯০ শতাংশ দখল করতে সক্ষম হয়েছে, যা একসময়ে আমদানিনির্ভর ছিল। সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা হলো– আগামী অর্থবছরসহ পরবর্তী কয়েক বছর চলমান কর সুবিধা অব্যাহত রাখা। কাস্টমস শুল্কায়ন এবং ভ্যাট বিভাগের রাজস্ব প্রক্রিয়া আরও সহজ করলে আমাদের মতো যারা ব্যবসায়ী রয়েছেন তাদের জন্য ব্যবসা করার ক্ষেত্রে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে। এছাড়া স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে রেফ্রিজারেটর উৎপাদন শিল্পে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যহারে শুল্ক কমানো উচিত। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করছি। দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বিকাশে সুবিধা আরও কয়েক বছর অব্যাহত থাকলে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে। 
সমকাল: ফ্রিজের রপ্তানি সম্ভাবনা কেমন? রপ্তানি বাড়াতে কী কী পদক্ষেপ দরকার?
মনিরুল হাসান স্বপন: বাংলাদেশ থেকে ফ্রিজ রপ্তানি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশে ইলেকট্রনিকস খাত, বিশেষ করে ফ্রিজ উৎপাদনশিল্প গত এক দশকে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি, দক্ষ জনশক্তি এবং সরকারের সহায়ক নীতির ফলে দেশীয় ফ্রিজ এখন শুধু দেশের চাহিদা পূরণ করেই নয়, বহির্বিশ্বেও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এ সম্ভাবনা পূর্ণতা দিতে হলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডিং জোরদার করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রচার চালাতে হবে। পণ্য দ্রুত এবং নিরাপদে পৌঁছাতে কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজ করা ও শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া গেলে রপ্তানি বাড়বে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র কম প র স র গ র হকদ র ব যবহ র আম দ র র জন য এ বছর বছর র সমক ল আমদ ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির সঙ্গে কোনো দলের দ্বন্দ্ব নেই: ফকির মাহবুব 

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন বলেছেন, “বিএনপির সঙ্গে অন্য কোনো দলের দ্বন্দ্ব নেই। তবে, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবেই।” 

শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে উপজেলা ও পৌর বিএনপির বর্ধিত সভার আগে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ফকির মাহবুব আনাম স্বপন বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ভালো। তারেক রহমান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে হওয়া মিটিং মোতাবেক আশা করছি, আগামী ফেব্রুয়াবির মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। নির্বাচন হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেশে রয়েছে।” 

আরো পড়ুন:

এই দেশ রক্ষায় বিএনপির কোনো বিকল্প নাই: আব্দুস সালাম

‘নির্বাচন হলেই তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন’

তিনি বলেন, “সব দল নির্বাচন চায়। বাংলাদেশ মানুষ নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছে। নির্বাচন যত তাড়াতাড়ি এবং যত তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে, ততই দেশের জন্য মঙ্গল।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশ ভালোই চালাচ্ছেন। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি ভালোই আছে। অধ্যাপক ইউনূস কবে নাগাদ বলবেন সিইসিকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা যায়। বিএনপি আশা করছে, দ্রুতই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।” 

ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন-বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান সুরুজ, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল।

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ