সরকারের নীতি-সহায়তা ও স্থানীয় উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় এক সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠছে হোম অ্যাপ্লায়েন্স শিল্প। গত কয়েক বছরে এ খাতে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এতে অন্তত এক লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। শতভাগ আমদানি-নির্ভরতা কাটিয়ে এখন রপ্তানি বাজারেও প্রসার ঘটছে। ফলে এক যুগের ব্যবধানে পাল্টে গেছে এ খাতের পুরো চিত্র।
এ খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশের হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যবাজারের ৮০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার ছিল বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর দখলে। স্থানীয় উৎপাদনকারীদের প্রচেষ্টায় ২০২৩ সালে এসে এ চিত্র পুরোপুরি উল্টো। এখন মাত্র ২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর দখলে। বাকি ৮০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার স্থানীয় দেশি ব্র্যান্ডগুলোর। ক্রেতার নাগালে দাম, গুণগত মান বজায় রাখা, কিস্তিতে কেনার সুযোগসহ নানা সুবিধার কারণে এর বাজার বড় হচ্ছে। এতে শহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিন দিন মফস্বলেও এসব পণ্যের শোরুমের সংখ্যা বাড়ছে।
সরকার বিভিন্ন সময়ে দেশি উৎপাদন বাড়াতে শুল্ককর অব্যাহতি দিয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও লেনদেনে ভারসাম্য আনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়, রপ্তানি বাজার সৃষ্টি, দেশজ পণ্য ব্যবহারে দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ ও বিদেশে দেশকে ব্র্যান্ডিং করাসহ অনেক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এয়ারকন্ডিশনার, কম্পিউটার, মোটরসাইকেল, গাড়ি, মোবাইল ফোন ইত্যাদি খাত বিকশিত করে আত্মনির্ভরশীল ও রপ্তানিমুখী খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার এসব খাতের কাঁচামাল আমদানি ও স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে বছর বা মেয়াদভিত্তিক বিশেষ শুল্ক ও কর রেয়াত সুবিধা দিয়ে আসছে। সরকারের নীতি-সহায়তায় উৎসাহিত হয়ে স্থানীয় উদ্যোক্তারা আমদানি করে বেচাকেনা থেকে উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানা স্থাপনে মনোযোগী হয়েছেন। সরকার এসব নীতি-সহায়তা দেওয়ায় কয়েক বছরে এসব খাতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ হয়েছে। পাশাপাশি দেশে এসেছে নানা ধরনের উন্নত প্রযুক্তি। শিল্পের প্রসার বাড়ার কারণে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক মানুষের।
অর্থনৈতিক উন্নতি ও চাহিদা পরিবর্তনের
পরিপ্রেক্ষিতে বৈদ্যুতিক এসব গৃহস্থালি পণ্য এখন সবার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে জায়গা
করে নিয়েছে। তা ছাড়া দেশব্যাপী বিদ্যুতায়ন এবং মানুষের জীবনযাপনে পরিবর্তনের ফলেও কদর বেড়েছে প্রযুক্তিপণ্যের। এতে গত এক দশকে ইলেকট্রনিকস হোম অ্যাপ্লায়েন্স শিল্প খাতে বড় ধরনের অগ্রগতি দেখা গেছে।
এলডিসি-পরবর্তী প্রতিযোগিতা মোকাবিলায় অনেক খাতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে হবে। বিশ্ব রপ্তানি বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা বাতিল হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্থানীয় শিল্পকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের দেওয়া নীতি-সহায়তা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ এখন রেফ্রিজারেটর উৎপাদন শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিশ্বের সর্বাধুনিক রেফ্রিজারেটর এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে। নতুন প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী পণ্য এখন দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রেফ্রিজারেটর রপ্তানি হচ্ছে অনেক দেশে। ফলে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে রেফ্রিজারেটর আমদানির তেমন প্রয়োজন হচ্ছে না। রেফ্রিজারেটর খাতে রপ্তানির সুফল পেতে দীর্ঘ সময়ের জন্য নীতি-সহায়তা প্রয়োজন।
ইলেক্ট্রো মার্টের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) নুরুল আফসার জানান, বর্তমানে সরকারের নীতি ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট অনুকূল। তবে এ শিল্পের জন্য সরকারের নীতির ধারাবাহিকতা ও দীর্ঘস্থায়িত্ব থাকা দরকার। সে জন্য কর ও অন্যান্য সুবিধা ১০ বছর পর্যন্ত রাখা দরকার। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবেন। স্থানীয় শিল্পও টেকসই হবে।
তারা আরও বলেন, চীন একসময় অনেক বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছিল। বিভিন্ন কারণে বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা চীন থেকে সরে আসছেন। এখন বাংলাদেশের ব্যাপারে তারা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। যথাযথ নীতি ধারাবাহিকতা থাকলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসবেন। কারণ, শ্রমিক সংকটের কারণে চীনসহ ইউরোপের দেশগুলো এসব শিল্পে সুবিধা করতে পারছে না। ফলে এ সুবিধা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের সামনে।
হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যের বাজার নিয়ে তেমন গবেষণা দেখা যায় না। বেসরকারিভাবে পরিচালিত বিভিন্ন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে টেলিভিশন, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বাজার এক লাখ কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র র ন ত র জন য উৎপ দ আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কোনোভাবেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হবে না
আগামী ২ জুন নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট দেওয়ার আগে সমকালের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তাঁর কথায় আগামী বাজেটের মূল দর্শন, অগ্রাধিকার, সংস্কার, করনীতি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান, এলডিসি থেকে উত্তরণসহ নানা প্রসঙ্গ উঠে আসে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মেসবাহুল হক
সমকাল: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেটের মূল দর্শন কী হবে?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: এবারের বাজেট গতানুগতিক হবে না। বাস্তবায়ন করা যায় এমন বাজেট দেওয়া হবে। আইএমএফসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে বাজেটে সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। সহায়তা না পাওয়া গেলে বাজেট দেওয়া কঠিন হয়ে যেত। তবে যথাসম্ভব অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ থাকবে। বাজেটের লক্ষ্য থাকবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন।
আগে ৭ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা বলা হলেও সাধারণ মানুষ এর সুফল পায়নি। আগামী বাজেটের মাধ্যমে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে চেষ্টা করা হবে। সমতাভিত্তিক এবং কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ থাকবে। এবারের বাজেটের অন্যতম চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি। এখন ৯ শতাংশের কাছাকাছি মূল্যস্ফীতি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সাড়ে সাত বা আট শতাংশে নামিয়ে আনতে পারব। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো হবে। বাজারে কিছু মধ্যস্বত্বভোগীর প্রয়োজন, কিন্তু আমাদের এখানে অনেক বেশি। একটি অংশ চাঁদা আদায় করে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ কিন্তু অর্থনৈতিক ব্যাপার নয়, আইনশৃঙ্খলার ব্যাপার। রাজনীতির ব্যাপারও রয়েছে।
সমকাল: ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য কী কী উদ্যোগ থাকবে?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: আমাদের মূল লক্ষ্য ব্যবসা আরও সম্প্রসরিত করা। এটি করা গেলে প্রত্যেক মানুষ সুবিধা পাবে। ‘অলিগার্ক’ প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে অন্যরা সুবিধা পায় না। ছোট ছোট ফার্ম আসবে। এতে গুণগত মান বাড়বে। এসএমই ডেটাবেইজ তৈরি করা হবে। ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তায় বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল আছে। প্রয়োজনে তহবিল বাড়ানো হবে।
সমকাল: আপনি আগে বলেছিলেন, আইএমএফের ঋণ ছাড়াই বাজেট দেবেন। এখন কেন তাদের ঋণ ছাড়া বাজেট দেওয়া কঠিন হতো বলে মনে করছেন?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: আমাদের অবস্থান ছিল মুদ্রাবিনিময় হারে আইএমএফ যেভাবে চাইছে, নমনীয়তা দেখাব না। পরে আলোচনায় একটা সমঝোতা হয়েছে। আইএমএফের অর্থ না পাওয়া গেলে অন্যান্য সংস্থার বাজেট সহায়তা পাওয়া যেত না। এতে করে বাজেট আরও ছোট করতে হতো। অথবা আরও বেশি ট্রেজারি বিল-বন্ড ইস্যু করার প্রয়োজন হতো। এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এসব চিন্তা করে অর্থ নেওয়া হয়েছে।
সমকাল: আইএমএফও কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। কর আদায় বাড়াতে গিয়ে নিম্ন-মধ্য আয়ের মানুষের ওপর কোনো চাপ বাড়বে বলে মনে করেন?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: আমি মনে করি, চাপ বাড়বে না। জনগণ যে কর দেয় তার একটা অংশ সরকারি কোষাগারে জমা হয় না। আদায়কারী করকর্তাদের পকেটে চলে যায়। ক’দিন আগে একজন কমিশনার ১০০ কোটি টাকা করের মধ্যে ৬০ কোটি টাকা ছাড় দেখিয়েছে। এর মধ্যে কত নিজে তিনি নিয়েছেন, তিনিই ভালো জানেন। বিষয়টি জানতে পেরে আমি এনবিআর চেয়ারম্যানকে বলেছি, আগে ‘সাসপেন্ড’ করো, তারপর পুলিশে দাও। এগুলো বন্ধ করার পাশাপাশি কর ফাঁকি বন্ধেরও উদ্যোগ থাকবে। তাছাড়া করছাড়ও কমিয়ে আনা হবে। এসব উদ্যোগে জনগণের ওপর আর চাপ দেওয়া লাগবে না।
সমকাল: বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা সাদা করার কোনো সুযোগ থাকবে কী?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: কোনো খাতেই কোনোভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হবে না। কালো টাকার উৎস বন্ধে আমি চেষ্টা করছি, যে দামে জমি কেনাবেচা হয়, সে দামেই হবে জমির নিবন্ধন বা দলিল। এক্ষেত্রে করও কমানো হবে। এত তাড়াতাড়ি করা সম্ভব হবে কিনা জানি না। গুলশানে প্রতি কাঠা জমি ১৫ কোটি টাকায় বিক্রি হলেও দলিল হয় ৫ কোটি টাকায়। এভাবে কেনাবেচায় দু’পক্ষই বিপদে পড়েছে। অনেকে ঘুষটুষ দিয়ে এখান থেকে পার পাচ্ছে। আমরা এ প্রবণতা বন্ধ করতে চাই।
সমকাল: জ্বালানি সংকটসহ নানা সমস্যা নিয়ে উদ্যোক্তারা উদ্বেগ জানিয়ে আসছেন। বাজেটে বিনিয়োগকারীদের জন্য কী বার্তা দেবেন?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: এ সরকার আসার পরই সবাই দাবি-দাওয়া নিয়ে আসছে। অনেক দাবি যে যৌক্তিক, তাও নয়। তবে সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিনিয়োগ বাড়াতে যেভাবেই হোক জ্বালানি নিশ্চিত করা হবে। সার ও জ্বালানি বিষয়ে কোনো আপস করা হবে না। যত টাকা লাগবে, দেওয়া হবে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হবে না। তবে সিস্টেম লস কমিয়ে ভর্তুকি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সমকাল: অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আগামী বাজেটে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। এসব বিষয়ে কী থাকছে বাজেটে?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: দেশের দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ বা অবসায়নসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ’ জারি করা হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও নীতি প্রণয়নে আলাদা বিভাগ প্রতিষ্ঠায় আলাদা নতুন আইন হয়েছে। আমানতকারীদের বহু টাকা বেহাত হয়ে গেছে। কীভাবে তাদের অর্থ পরিশোধ করা যায়, সে বিষয়ে বাংলাদেশ পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতোমধ্যে ৬টি ব্যাংকের প্রকৃত খেলাপি ঋণ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাকিগুলোও করা হবে। যাদের বড় বড় আমানত যেমন– ১০ কোটি টাকা চাইলেই হুট করে দেওয়া সম্ভব হবে না। ছোট ছোট আমানত দেওয়া সঙ্গে সঙ্গেই দেওয়া হবে। বড় আমানতের ক্ষেত্রে ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার হওয়ার ‘অপশন’ দেওয়া হবে। কাউকে বন্ড বা শেয়ার দেওয়া হতে পারে। এসবের জন্য আলাদা একটি তহবিল গঠন করবে সরকার।
সমকাল: এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কর্মকর্তারা আন্দোলন করছেন। তারা কলমবিরতিতে রয়েছেন। এর সমাধান কীভাবে হবে?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও নীতি করতে আলাদা বিভাগ করায় এনবিআরের লোকজন হইচই করছেন। আমরা এখানে ‘কম্প্রোমাইজ’ করব না। ২০০৮ সালে চেষ্টা করা হয়েছিল। তখন কর্মকর্তারা করতে দেননি। সচিব পদ নিয়ে এনবিআরের কর্মকর্তারা ভুল ধারণায় আন্দোলন করছেন। অধ্যাদেশের কোনো জায়গায় বলা হয়নি যে, সচিব নির্দিষ্ট ক্যাডার থেকে নেওয়া হবে। ব্যবস্থাপনায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে কর এবং কাস্টমসকে। তারা এতেও সন্তুষ্ট নন।
সমকাল: সার্বিকভাবে নতুন বাজেটে অগ্রাধিকার কী থাকছে?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: সার্বিকভাবে বাজেটে মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান, মানুষের জীবনমান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষায় বাড়তি নজর থাকবে। স্বাস্থ্যসেবায় টাকা কম দেওয়া হয় তা নয়, কিন্তু বাস্তবায়ন খুব খারাপ। যন্ত্রপাতি পড়ে থাকে, নষ্ট হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু মৌলিক বিষয় পরিচালন বাজেটে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সার্বিকভাবে প্রকল্পনির্ভর না হয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে পরিচালন বাজেট বড় হবে। ইতোমধ্যে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের দেনাপাওনাসহ অনেক বকেয়া ইস্যু সমাধান করা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতা কিছুটা বাড়ানো হবে।
সমকাল: বাজেটে কর কাঠামোতে বড় কোনো পরিবর্তন থাকছে?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: সরকারের আয় বাড়াতে বাজেট ব্যবসাবান্ধব করা হবে। আগের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান সুবিধা পাবে এমনটি হবে না। সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে। এর আগে মুষ্টিমেয় কিছু প্রতিষ্ঠান বাড়তি সুবিধা পাওয়ায় অনেক ভালো উদ্যোক্তা পিছিয়ে পড়েছেন। এবার তা হবে না।