ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি হলেও ক্রিকেটে আপাতত তা হচ্ছে না। এশিয়া কাপ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রত্যাহার করে নিতে চলেছে ভারত। বিষয়টি মৌখিকভাবে এসিসিকে (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) একটি সূত্র। তবে খবরটি অস্বীকার করেছেন বিসিসিআই সচিব দেবজিত শইকিয়া। এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে বোর্ডে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু পুরুষদের এশিয়া কাপ নয়, আগামী জুনে শ্রীলঙ্কায় হতে যাওয়া নারীদের ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকেও নাম তুলে নিচ্ছে ভারত। পুরুষদের এশিয়া কাপ সেপ্টেম্বরে ভারতে হবে। হাইব্রিড পদ্ধতির সেই আসরে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো শ্রীলঙ্কায় হওয়ার কথা রয়েছে। বিসিসিআইয়ের সূত্র জানিয়েছে, ‘ভারত এমন কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে পারে না, যার আয়োজক এসিসি এবং এর প্রধান একজন পাকিস্তানি মন্ত্রী।’
পরে বিসিসিআই সচিব শইকিয়া গণমাধ্যমটিকে বলেন, ‘সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় খবর হচ্ছে যে ভারত নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপ ও পুরুষ এশিয়া কাপ থেকে নাম তুলে নেবে। এ ধরনের খবরের কোনো সত্যতা নেই। বিষয়টি নিয়ে বোর্ডে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি এবং এসিসিকে কিছু জানানো হয়নি। এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য আইপিএলটা শেষ করা এবং এরপর ইংল্যান্ড সফর।’
আলোচনা না হলেও শইকিয়া কিন্তু এটিও স্পষ্ট করে বলেননি যে ভারত আগামী এশিয়া কাপ খেলবে। টুর্নামেন্টের বাকি মাত্র চার মাস। ভারত না খেললে কিন্তু বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে এসিসি। সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা আসবে সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান থেকে। ১৭ কোটি ইউএস ডলারে (২০৭১ কোটি টাকা) আগামী চার এশিয়া কাপের সম্প্রচার স্বত্ব কিনেছে সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্ক। তাতে শর্ত আছে, প্রতি আসরে অন্তত দুটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থাকতে হবে। ভারত না খেললে সনি কোনোভাবেই এসিসিকে এই অর্থ দেবে না।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাবগুলো ডিজিএফআইয়ের, সাবেক ডিজি হামিদুলের নয়: দুদক
দুর্নীতির অনুসন্ধান চলমান থাকায় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হকের চারটি ব্যাংক হিসাব সোমবার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
আজ মঙ্গলবার দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবরুদ্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাবগুলো ডিজিএফআইয়ের, সংস্থাটির সাবেক মহাপরিচালক হামিদুল হকের নয়।
দুদক জানিয়েছে, ডিজিএফআইয়ের চারটি প্রাতিষ্ঠানিক হিসাব প্রতিষ্ঠানের নামে না হয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নামে হয়েছে। এ কারণে করণিক ত্রুটির কারণে ওই ব্যাংক হিসাবগুলো ব্যক্তিগত হিসেবে অবরুদ্ধ হয়েছে। এটি একটি তথ্যসূত্রগত ত্রুটি, যা সংশোধন করা হবে।
দুদক সোমবার লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছিল, হামিদুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। তিনি তার ব্যাংক হিসাবের টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন। হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করার আদেশ চায় দুদক। দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক নওশাদ আলী এ আবেদন করেন।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল হামিদুল ও তার স্ত্রী নুছরাত জাহান মুক্তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।