২৫টি নতুন জিপ কেনার প্রস্তাব ফেরত, ১টিতে নীতিগত অনুমোদন
Published: 20th, May 2025 GMT
২৫টি জিপ কেনার প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়নি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, জিটুজি ভিত্তিতে গম ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন এবং পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৮৩ (১) (ক) অনুযায়ী আন্তর্জাতিক দরপত্রে ক্রয় প্রক্রিয়ায় সময় হ্রাসকরণের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ খাদ্য নিরাপত্তা বলয় ঠিক রাখার লক্ষ্যে জিটুজি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে গম আমদানি করা আবশ্যক। এ অবস্থায়, (ক) রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিএ ২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) এবং পিপিআর, ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুসরণে রপ্তানিকারক দেশ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয় এবং (খ) আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৪ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির লক্ষ্যে পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৮৩ এর (১) (ক) অনুযায়ী দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৭.
সভায় উপদেষ্টা/মন্ত্রী ও সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ব্যবহারের জন্য ২৫টি গাড়ি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়নি কমিটি।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ট র ক টন প রস ত ব দরপত র মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
‘লোকদেখানো’ টেন্ডার, অনিয়মের অভিযোগ জনসংযোগ প্রশাসকের বিরুদ্ধে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের দেয়াল ও টেবিল ক্যালেন্ডার (এক পৃষ্ঠা করে) মুদ্রণের টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দরপত্র গ্রহণের পরদিনই সেই ক্যালেন্ডারের মুদ্রণ কপি বিভিন্ন দপ্তরে বিতরণ করা হয়েছে। তবে দরপত্রের কোটেশন (ঠিকাদারদের দামের প্রস্তাব) বাক্স এখনো খোলাই হয়নি। দরপত্র যাচাই-বাছাই না করেই ‘পছন্দের’ ঠিকাদারকে আগেই কাজ দিয়েছেন বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক আখতার হোসেন মজুমদারের বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর দেয়াল ও টেবিল ক্যালেন্ডার (এক পৃষ্ঠা করে) মুদ্রণের দরপত্র আহ্বান করে একটি কোটেশন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৩০ জুন বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। ওই দিনই বেলা ১২টায় দরপত্রদাতাদের উপস্থিতিতে (যদি কেউ থাকেন) কোটেশন খোলার কথা ছিল। তবে সেই টেন্ডারের বাক্স এখন পর্যন্ত খোলা হয়নি। অথচ মুদ্রিত ক্যালেন্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে বিতরণ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ দপ্তরের উপরেজিস্ট্রার মো. আনোয়ারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিবছর জুলাই মাসের শুরুতে ক্যালেন্ডার বিতরণ করা হয়। এবার ক্যালেন্ডার মুদ্রণে দরপত্র জমা দেওয়ার ও ঠিকাদার নির্বাচনের শেষ সময় ছিল ৩০ জুন। প্রতিবার সাধারণত আরও আগে দরপত্র আহ্বান করা হয়। জনসংযোগ দপ্তরকে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও তাঁরা সাড়া দেয়নি। সেই দরপত্র জমার বাক্স এখনো আমাদের দপ্তরে পড়ে আছে।’ টেন্ডারের বাক্স না খুলে এবং যাচাই-বাছাই না করেই কীভাবে কাজ শেষ হলে—এই প্রশ্নের জবাবে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করতে বলেন।
দরপত্রের বাক্স না খুলেই পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বাক্সটি পড়ে আছে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে