কিশোরগঞ্জে ছাত্র হত্যা মামলায় দুই নারীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
Published: 20th, May 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কলেজ ছাত্র মোহাম্মদ আলী হত্যা মামলায় দুই নারীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা আক্তার স্বর্ণা রায় ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার মৃত শাফিল উদ্দিনের ছেলে মো.
আরো পড়ুন:
সাভারে লোকজনের সামনে গুলি করে হত্যা
নড়াইলে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন জানান, রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সেলিনা বেগম উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুই আসামি পালাতক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ভৈরব হাজী আসমত কলেজের বিএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলীকে কলেজের গেটে দুষ্কৃতকারীরা ছুরিকাকাঘাতে আহত করে। এলাকাবাসী তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে যান। সেখানকার চিকিৎসক মোহাম্মদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা শামছুদ্দিন বাদী হয়ে ভৈরব থানায় নাম না জানা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্তের সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
২০০৮ সালের ৩০ মে ভৈরব থানার এসআই আ. আজিজ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিট দাখিলের পর এক আসামির মৃত্যু হয়। দীর্ঘ শুনানির পর আজ মঙ্গলবার তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
ঢাকা/রুমন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আস ম ক শ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ