কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কলেজ ছাত্র মোহাম্মদ আলী হত্যা মামলায় দুই নারীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা আক্তার স্বর্ণা রায় ঘোষণা করেন।

মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার মৃত শাফিল উদ্দিনের ছেলে মো.

সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দৌলতদিয়া গ্রামের কাইয়ুম সরকারের স্ত্রী মোছাম্মৎ সেলিনা বেগম এবং একই জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের মেয়ে শোভা।

আরো পড়ুন:

সাভারে লোকজনের সামনে গুলি করে হত্যা

নড়াইলে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন জানান, রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সেলিনা বেগম উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুই আসামি পালাতক।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ভৈরব হাজী আসমত কলেজের বিএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলীকে কলেজের গেটে দুষ্কৃতকারীরা ছুরিকাকাঘাতে আহত করে। এলাকাবাসী তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে যান। সেখানকার চিকিৎসক মোহাম্মদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা শামছুদ্দিন বাদী হয়ে ভৈরব থানায় নাম না জানা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্তের সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। 

২০০৮ সালের ৩০ মে ভৈরব থানার এসআই আ. আজিজ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিট দাখিলের পর এক আসামির মৃত্যু হয়। দীর্ঘ শুনানির পর আজ মঙ্গলবার তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আস ম ক শ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

২৫টি নতুন জিপ কেনার প্রস্তাব ফেরত, ১টিতে নীতিগত অনুমোদন

২৫টি জিপ কেনার প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়নি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, জিটুজি ভিত্তিতে গম ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন এবং পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৮৩ (১) (ক) অনুযায়ী আন্তর্জাতিক দরপত্রে ক্রয় প্রক্রিয়ায় সময় হ্রাসকরণের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ খাদ্য নিরাপত্তা বলয় ঠিক রাখার লক্ষ্যে জিটুজি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে গম আমদানি করা আবশ্যক। এ অবস্থায়, (ক) রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিএ ২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) এবং পিপিআর, ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুসরণে রপ্তানিকারক দেশ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয় এবং (খ) আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৪ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির লক্ষ্যে পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৮৩ এর (১) (ক) অনুযায়ী দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৭.২৫ লাখ মেট্রিক টন এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সভায় উপদেষ্টা/মন্ত্রী ও সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ব্যবহারের জন্য ২৫টি গাড়ি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়নি কমিটি।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ড্যাপ বাতিলের দাবিতে রাজউক ঘেরাও
  • বিধির অতিরিক্ত মূল্যে কেনার নীতিগত অনুমোদন মেলেনি
  • ভারত কেন যুদ্ধ করে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী বিরোধের সমাধান করতে পারবে না
  • ২৫টি নতুন জিপ কেনার প্রস্তাব ফেরত, ১টিতে নীতিগত অনুমোদন