Samakal:
2025-07-07@14:39:54 GMT

মজার আইসক্রিম

Published: 20th, May 2025 GMT

মজার আইসক্রিম

আইসক্রিম সব ঋতুতেই জনপ্রিয়। তবে গরমের দিনে আইসক্রিম খেতে একটু বেশি মজা লাগে। কাঠি আইসক্রিম হোক বা কাপ আইসক্রিম মুখে দিলেই শান্তি। বাড়িতে তৈরি করতে পারেন এমন কয়েকটি মজার স্বাদের আইসক্রিমের রেসিপি দিয়েছেন মিতা আজহার

লেমন আইসক্রিম 
উপকরণ:  ৩  কাপ পানি, ১ কাপ চিনি, ১ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ লেমন রাউন্ড, চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ লবণ ও লেমন কালার ১ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে চুলায় একটি প্যান বসিয়ে পানি ও চিনি দিয়ে জ্বাল করুন। একে একে বাকি সব উপকরণ দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে মোল্ডে ঢেলে ফয়েল পেপার দিয়ে ঢেকে দিন। চাকুর মাথা দিয়ে একটু কেটে কাঠি দিন। এবার ১০-১২ ঘণ্টা রেখে দিন। জমে গেলে পরিবেশন করুন মজাদার লেমন ললি আইসক্রিম।

ম্যাঙ্গো আইসক্রিম 
উপকরণ: পাকা আমের রস ২ কাপ, ঘন দুধ ২ কাপ, চিনি ২ টেবিল চামচ, আইসক্রিম সিরাপ ২ চা চামচ, কর্ন ফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে দুধ, চিনি জ্বাল করে নিন। কর্ন ফ্লাওয়ার পানি দিয়ে গুলে জেলি মিশিয়ে নিন। এবার আমের রস জ্বাল করে ছেঁকে নিন। দুধের মিশ্রণে মিশিয়ে জ্বালিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে আইসক্রিমের ডাইসে ঢেলে মাঝখানে কাঠি দিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখ দিন। 
১২ ঘণ্টা পর পরিবেশন করুন। 

চকলেট আইসক্রিম 
উপকরণ: গুঁড়া দুধ ১ কাপ, পানি ৩ কাপ, চিনি পরিমাণ মতো, কর্ন ফ্লাওয়ার ২ টেবিল চা চামচ, আইস জেল ২ চা চামচ। 
লেয়ারের জন্য: কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ, বাটার ১ কাপ, কোকো পাউডার আধা কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি: পানি, চিনি, দুধ ও বাকি সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে চুলায় জ্বাল করে ঘন করে নিন। ঠান্ডা হলে মোল্ডে ঢেলে ফয়েল দিয়ে ঢেকে কাঠি দিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন ১২ ঘণ্টা। লেয়ারের জন্য রাখা উপকরণগুলো একত্রে মিশিয়ে ২ মিনিট জ্বাল করে চকলেট লেয়ার বানিয়ে নিন। একটি লম্বা গ্লাসে ঢেলে নিন। এবার ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম বের করে চকলেটে ডিপ করে নিন। তৈরি হয়ে গেল মজাদার চকলেট আইসক্রিম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইসক র ম আইসক র ম জ ব ল কর চকল ট

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষুধা আর ভয়ের মধ্যে বর্ণমালা শিখছে গাজার শিশুরা

২০২৩ সালের ৬ অক্টোবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার ফুফু দোয়া, যিনি গাজার একজন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের জন্য নতুন কিছু পাঠ্য কার্যক্রম প্রস্তুতির কাজ শেষ করেছিলেন। পরদিন সকালে শিশুদের কাছ থেকে সেই কাজগুলোর প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য তিনি ছিলেন ভীষণ উচ্ছ্বসিত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, পরদিন ৭ অক্টোবর যেন সব স্বাভাবিক জীবনের সমাপ্তি টেনে নিল। শুরু হলো এমন এক যুদ্ধ, যা সবকিছু চূর্ণবিচূর্ণ করে দিল।

সেই দিন থেকে, ইসরায়েলি বিমান হামলা গাজার প্রতিটি কোনায় আঘাত হানতে শুরু করে—বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল, এমনকি কিন্ডারগার্টেনের শ্রেণিকক্ষও রেহাই পায়নি। আমার ফুফুর বাড়িটিও মাটির সঙ্গে মিশে যায়, যেখানে চাপা পড়ে যায় তাঁর পাঠদানের উপকরণ আর সেই খেলনাগুলো—যেগুলো তিনি তাঁর প্রিয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য কিনেছিলেন, যেসব শিশুর বেঁচে থাকার পূর্ণ অধিকার ছিল।

গত শীতে, যখন ইসরায়েলি বাহিনী তাঁদের পাড়া ছেড়ে সরে যায়, তখন দোয়া স্মৃতির চিহ্ন খুঁজতে ধ্বংসস্তূপে ফিরে আসেন। ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এবং পাঠদানের উপকরণ, গানের খাতা, জ্যামিতির আকৃতি ও পশুর মূর্তিগুলো খুঁজে পাওয়ার আশা নিয়েই তিনি ফিরে আসেন। শেষমেশ তিনি শুধু একটি বর্ণমালার বই আর কিছু চিত্রসমৃদ্ধ গল্পের বই খুঁজে পান। সেগুলো তিনি একটি ছোট বাক্সে তুলে রাখেন, উদ্ধার করা কিছু পোশাক আর রান্নার সামগ্রীর পাশে। যেন সেগুলো নিঃশব্দে তাঁকে বলছিল, ‘হাল ছেড়ো না। এখনো আশা বেঁচে আছে।’

দোয়ার ঘরের মতোই, ইসরায়েলি বোমা তার কিন্ডারগার্টেনের শ্রেণিকক্ষকেও ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল। তবে কয়েক মাস পর, শিক্ষার প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং গাজার শিশুদের অজ্ঞতার অন্ধকারে ডুবে যেতে না দেওয়ার দৃঢ় সংকল্প থেকে, দোয়া আবার নতুন করে শুরু করেন। তিনি মাজাজি শরণার্থী শিবিরের একটি পাড়ায় ছোট একটি কক্ষ জোগাড় করেন।

পড়াশোনার জন্য ঘরটি আদর্শ ছিল না। তবু দোয়া পরিশ্রমে কোনো কমতি রাখেননি সে জায়গাটিকে শিশুদের জন্য নিরাপদ শিক্ষাস্থানে রূপ দিতে। তিনি রঙিন ওয়ালপেপার ঝুলিয়েছেন, একটি ব্ল্যাকবোর্ড বসিয়েছেন এবং গাজার অবরোধ ও জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হওয়া সত্ত্বেও শিশুদের মানসিকভাবে শান্ত রাখতে রং, লেখার উপকরণ ও অনুপ্রেরণাদায়ী গান চালানোর জন্য স্পিকার সংগ্রহ করেছেন।

মাত্র ১৩ জন শিক্ষার্থী, যারা সবাই আশপাশ থেকে এসেছে, দোয়ার স্কুলে ভর্তি হয়। অনেক অভিভাবক, যাঁরা দৈনিক বোমাবর্ষণের আতঙ্কে থাকেন এবং গাজার ভেঙে পড়া যোগাযোগব্যবস্থার কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন, তাঁরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে সাহস পান না। যুদ্ধের আগে শিশুরা বাসে করে স্কুলে যেত এবং নিরাপদে বাড়ি ফিরত। কিন্তু সেই সামান্য নিরাপত্তাটুকুও এখন নিখোঁজ—প্রতিদিনের সন্ত্রাসে ছিন্নভিন্ন।

যারা দোয়ার স্কুলে আসে, তারা বড় ভাই–বোন বা মা–বাবার সঙ্গে আসে। তারা ফিসফিস করে সতর্ক করে দেয়—‘কোয়াডকপ্টার’ ড্রোন ঘোরাঘুরি করছে এমন রাস্তা এড়িয়ে চলতে। এই ক্ষুদ্র, মারাত্মক ড্রোনগুলো কখনো সাহায্যের জন্য চিৎকার বা অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের মতো শব্দ করে, যাতে মানুষ ভুল করে এগিয়ে গিয়ে হামলার শিকার হয়।

ক্লাস চলাকালে হঠাৎ বিস্ফোরণে শিশুদের হাত থেকে কলম পড়ে যায়, তারা কানে হাত চাপা দিয়ে বসে পড়ে। দোয়া তাদের খেলা ও সান্ত্বনার মাধ্যমে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন, যদিও যুদ্ধের ক্ষত তাদের মনে গভীরভাবে বসে গেছে। তিনি লক্ষ করেছেন—এই যুদ্ধ শিশুদের মনোজগৎ বদলে দিয়েছে। রং করার বই, রংপেনসিলের বদলে তারা এখন আলোচনা করে রাজনীতি, আটা কিংবা জিনিসপত্রের দাম নিয়ে। এই বাস্তবতায় পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের অক্ষর শেখানো যে অনেক কঠিন, দোয়া আমাকে সেটি বলেছেন।

আমি যখন দোয়াকে জিজ্ঞেস করি, শিক্ষার্থীরা তাঁকে সবচেয়ে কঠিন কী প্রশ্ন করেছে। তিনি বলেন, এক শিশু তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিল, যুদ্ধ কবে শেষ হবে? তারা এমন বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন করে, যেন তাদের শিক্ষকই এর উত্তর জানেন। দোয়া আশা দেন, ‘খুব শিগগির আমরা আমাদের সুন্দর স্কুলে ফিরে যাব।’ তবে তিনি জানেন, কিছু শিশুর চোখে সন্দেহ রয়েই যায় আর সেটাই তাঁর হৃদয়কে সবচেয়ে বেশি ভারাক্রান্ত করে।

দোয়ার স্কুলের ১৩টি শিশুর প্রত্যেকের জীবনে আছে একটি করে অনন্য বেদনার গল্প। কেউ বসবাস করছে তাঁবুতে, কারণ তাদের ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। পুষ্টিহীনতা ও ক্ষুধার কারণে কেউ ভাঙা দাঁত, দুর্বল শরীর নিয়ে দিন পার করছে। আবার অনেকেই হারিয়েছে পরিবারের প্রিয়জনদের।

ইসরায়েলের গণহত্যা ও দখলদারত্বের নিষ্ঠুরতার মাঝেও দোয়া আঁকড়ে ধরে আছেন তাঁর অক্ষর চেনার বই এবং সেই একগুঁয়ে আশাকে—যে আশায় তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁর শিক্ষার্থীরা একদিন মৃত্যু ও যুদ্ধের বাইরেও শব্দ শিখবে।

এই শিশুদের পক্ষ থেকে দোয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয় গাজার শিশুদের রক্ষায়, নিশ্চিত করে তাদের নিরাপদ শিক্ষা পাওয়ার অধিকার। তারা যেন একটি এমন বিশ্ব গড়ে তোলে, যেখানে শিশুদের শৈশব বিকশিত হতে পারে আর কোমল ডানাগুলো পাখা মেলতে পারে স্বপ্নের আকাশে।

গাদা আবু মুয়ালেক গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক এবং একজন ফ্রিল্যান্স লেখক

মিডল ইস্ট আই থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্তাকারে অনূদিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষুধা আর ভয়ের মধ্যে বর্ণমালা শিখছে গাজার শিশুরা
  • আশির দশকের ফেরিওয়ালারা
  • ঝুঁকির মুখে প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পের বিকাশ, সংকুচিত হবে কর্মসংস্থান