হত্যাসহ একাদিক মামলার আসামি হিসেবে মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গাজিপুর জেলার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে মমতাজ বেগমকে আদালতে আনা হয়।
আদালত পুলিশের ওসি আবুল খায়ের জানান, ২০১৩ সালে সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় মমতাজ বেগমকে তিন নম্বর আসামি করে ২০২৪ সালে ২৫ অক্টোবর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মো.
ওসি আরও জানান, আজ সকাল সাড়ে ১১টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মুহম্মদ আব্দুন নূর ও ৩ এর বিচারক আইভি আক্তারের আদালতে মমতাজ বেগমের শুনানি হবে।
এর আগে ঢাকায় বেশ কিছু থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় মমতাজ বেগম চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন। রিমান্ড শেষে মমতাজ বেগমকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছিল।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে ১০ মাস পর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
গাজীপুরে ১০ মাস পর আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) নেতা–কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে নগরের টঙ্গীর বনমালা রোডে ঝটিকা মিছিলের পর দ্রুত তাঁরা সটকে পড়েন। পরে ঝটিকা মিছিলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
গাজীপুর আওয়ামী পরিবারের ব্যানারে মিছিলটি বের করা হয়। ব্যানারে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা ছাড়া আহসান উল্লাহ মাস্টার ও গাজীপুর–২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলের ছবি ছিল। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে।’
ঝটিকা মিছিলের ২৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মিছিলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটির নেতা–কর্মীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়। মিছিলে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি কাজী মঞ্জুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকে দেখা যায়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী ও সমর্থক ওই এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে পালিয়ে যান। তাঁদের মধ্য থেকে পুলিশ তিনজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করতে এরই মধ্যে অভিযান শুরু করা হয়েছে।