যেকোনো ধরণের মানসিক চাপ আমাদের মনে এক ধরণের অসহায়ত্ব তৈরি করে। বিশেষ করে যে বিষয়গুলো আমাদের ভালো থাকার জন্য এক ধরণের হুমকি স্বরূপ সেগুলো আমাদের মনে চাপ তৈরি করে।
মনোবিদরা বলেন, ‘‘সাধারণত বাহ্যিক যেকোন কিছুকে আমরা চাপ হিসেবে দেখতে পারি, যদি আমরা সেগুলোকে ভালো থাকার জন্য হুমকি মনে করি। আমাদের প্রতিদিনের কিছু সমস্যা, যেমন—জ্যামে আটকে থাকা, কাজের সহকারী আসলো কি আসলো না, সংসারের কাজগুলো গুছিয়ে করতে পারলাম কি না, বাসায় হয়তো কোনো গেস্ট আসবে; এগুলোও আমাদের মনে চাপ সৃষ্টি করে। এ ছাড়া, আর্থিক সমস্যা, সম্পর্কের জটিলতা, পেশাগত কোনো সমস্যাও আমাদের মনে চাপ তৈরি করে। আর কিছু জিনিস আমাদেরকে অবশ্যই চাপে ফেলে যেগুলোতে আমরা অসহায়ত্ব বোধ করি। ’’
ডা.
আরো পড়ুন:
পদত্যাগ করবেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও ডা. মাহমুদুল
সারাদিন সুস্থ থাকতে সকালে যে সাতটি কাজ করতে পারেন
ডা. মেখলা সরকার আরও বলেন, ‘‘বডি ইমেজ, ওয়েট নিয়ে ওভার কনসার্ন, কেমন লাগছে আমাকে দেখতে; এই ধরণের ভাবনাও আমাদেকে চাপে ফেলে থাকে। ’’
মানসিক চাপ কমানোর জন্য ব্যায়াম করলে ভালো উপকার পেতে পারেন। নিরাময় হসপিটালের তথ্য, ‘‘মানসিক চাপ কমানোর উপায় হিসেবে ব্যায়াম অনেক ভালো একটা পদ্ধতি। ব্যায়াম যেমন মানসিক চাপ কমায় তেমনই শারীরিক দিক থেকেও উন্নতি সাধন করে। যেমন—হাঁটা, সাইক্লিং, জগিং, ইয়োগা, মেডিটেশন।’’
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর যত ন ও আম দ ধরণ র
এছাড়াও পড়ুন:
কাকরাইলে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ওপর পুলিশের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
চাকরিতে পুনর্বহালসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নেওয়া চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা-সংলগ্ন ওই এলাকায় এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছিলেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। পুলিশ তাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও তারা তাতে সাড়া দেননি। পরে তাদের ওপর জলকামানে পানি এবং ছয়টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ আন্দোলনকারীদের কয়েকজন আহত হন। এছাড়াও আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
পরে আন্দোলনকারীদের ধীরে ধীরে মৎস্য ভবনের দিকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এর আগে, বেলা পৌনে ১২টার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে একটি মিছিল নিয়ে কাকরাইলমুখী হন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। কাকরাইল মসজিদ মোড়ে পুলিশ তাদের মিছিল আটকে দিলে তারা সেখানেই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার আগে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম আন্দোলনকারীদের একজন প্রতিনিধিকে যমুনায় পাঠানোর প্রস্তাব দেন এবং সেখান থেকে সরে যেতে ১০ মিনিটের আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলে পুলিশ বলপ্রয়োগে তাদের সরিয়ে দেয়।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের তিন দফা দাবি হলো- ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহাল করা; পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত গঠিত তদন্ত কমিশনের বিতর্কিত ধারা বাতিল ; এবং বিডিআর নাম পুনর্বহাল এবং কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তি।