কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও ট্রাকে করে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত।

টিসিবির ট্রাক থেকে বিক্রি করা হচ্ছে—চিনি, সয়াবিন তেল ও ডাল। এবার প্রতিটি পণ্যের দামই আগের তুলনায় বেড়েছে। এতে হতাশ হয়েছেন নিম্নআয়ের মানুষরা।

টিসিবি দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতবার চিনি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৭০ টাকায়, এবার সেটি দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকায়। মসুরের ডালের দাম ছিল ৬০ টাকা, এবার বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা লিটার দরে, আগে তা ছিল ১০০ টাকা।

মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভোক্তাদের মধ্যে দেখা গেছে ক্ষোভ ও হতাশা। অনেকেই বলছেন, বাজারমূল্যের সঙ্গে টিসিবির পণ্যের দামের ব্যবধান খুব একটা না থাকলে এ পণ্য আর নিম্নআয়ের মানুষের কোনো উপকারে আসবে না।

বৃহস্পতিবার রাজশাহীর হজরত শাহ মখদুম (রহ.

) মাজার গেট এলাকায় টিসিবির পণ্য কিনতে আসা মালেকা খাতুন বলেন, “আগে টিসিবির মালামাল কম দামে পেতাম। এখন এসে দেখি, সবকিছুর দাম বেশি। এতে আমাদের মতো গরিব মানুষের কষ্টই বাড়বে। বাজার আর টিসিবির মধ্যে এখন তো তেমন পার্থক্য নেই। হঠাৎ এভাবে দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি।”

আরেক ক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, “সরকার তো আমাদের সঙ্গে ব্যবসা করছে না। টিসিবির মাল বিক্রির উদ্দেশ্যই হচ্ছে সাধারণ মানুষকে একটু স্বস্তি দেওয়া। তাহলে এই দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা কোথায়? আমরা এটা আশা করিনি।”

টিসিবির রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আতিকুর রহমান বলেছেন, “বাজারে সব পণ্যের দামই বেড়েছে। তাই, আগের দামে পণ্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে, তারপরও প্রচণ্ড ভিড়। আমরা সবাইকে ধৈর্য্য ধরে পণ্য নিতে বলছি।”

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ১০টি পয়েন্টে প্রতিদিন (শুক্রবার ও শনিবারসহ) এই ট্রাকসেল চলবে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত। প্রতিটি পয়েন্ট থেকে ৪০ জন করে মোট ৪ হাজার পরিবার ৫১৫ টাকার প্যাকেজে টিসিবির পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। ঈদ উপলক্ষে এ বিশেষ ট্রাকসেলের পাশাপাশি প্রতি মাসে টিসিবি কার্ডধারীদের মাঝেও নিয়মিতভাবে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ