দৌলতপুরে পরীক্ষা দিতে এসে হামলার শিকার ২ শিক্ষার্থী
Published: 22nd, May 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এসএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে বহিরাগতদের হামলার শিকার হয়েছেন দুই পরীক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে উপজেলার হোসেনাবাদ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, হোসেনাবাদ এলাকার মমুনুর রশিদের ছেলে মনোয়ার হোসেন রুদ্র (১৮) ও আতিক হাসানের ছেলে ফাহিম (১৮)। তারা দুজনেই হোসেনাবাদ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
আরো পড়ুন:
ডিআরইউয়ে সন্ত্রাসী জাকির গংয়ের হামলার শিকার সভাপতিসহ অনেক সাংবাদিক
অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলাচেষ্টা
এ ঘটনায় দুপুরে মনোয়ার হোসেন রুদ্র চারজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে কলেজে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কয়েকজন বহিরাগত যুবক কলেজ চত্বরে অনধিকার প্রবেশ করে তাদের মারধর করে। এতে রুদ্র ও তার বন্ধু ফাহিম মারাত্মকভাবে আহত হন।
আহত ফাহিম বলেন, “পরীক্ষা শেষ করে বাইরে আসতেই কলেজের গেটে আমাদের উপর হামলা চালায় কয়েকজন বহিরাগত।”
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান বলেন, “সামান্য একটি বিষয় নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “প্রতিষ্ঠানটিতে মারামারির খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়। এ বিষয়ে নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ দ লতপ র পর ক ষ কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রামে বসে ড্রোন বানান তরুণ আশির উদ্দিন
ছয় কক্ষের পুরোনো একটি একতলা ঘর। ঘরের পেছনের দিকের ১৫ বর্গফুটের একটি কক্ষ। সেই কক্ষজুড়ে ছড়িয়ে আছে উড়োজাহাজ ও ড্রোনের নানা আদল, বৈদ্যুতিক ডিভাইস ও তার। আছে ল্যাপটপ ও সাদা খাতা। সেই সাদা খাতায় আবার নানা নকশা আঁকা। কক্ষটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ল্যাব’।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার একেবারে দক্ষিণে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ পুঁইছড়ি গ্রামে অবস্থিত এই ল্যাব স্থানীয় তরুণ আশির উদ্দিনের। এই ল্যাব থেকেই একের পর এক ড্রোন বানিয়ে তাক লাগাচ্ছেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি উড়োজাহাজের নমুনা ও ২০ থেকে ২৫টি ড্রোন তৈরি করেছেন আশির উদ্দিন। সব কটিই সফলভাবে উড্ডয়ন ও অবতরণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বেশ কিছু ড্রোন বিক্রি করেছি। ১০ কেজি ওজনের একটি ড্রোনের দাম মানভেদে তিন থেকে চার লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের ড্রোন ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। একটি ড্রোন তৈরিতে ৬ জনের টিমের ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগেআশির উদ্দিন২০১৫ সালে এসএসসি পাস করেন আশির। এরপর চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি পলিটেকনিক থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষ করেন। আশির জানান, এসএসসি শেষ করার পর শখের বশে মোটর দিয়ে খেলনা নৌকা বানানো শুরু করেন তিনি। একদিন ছাদে বসে নৌকা বানানোর সময় দেখেন মাথার ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ যাচ্ছে। তখনই এর আদলে ছোট উড়োজাহাজ বানানোর কথা মাথায় আসে। জানান, এরপর অত্যাধুনিক সব উড়োজাহাজের নমুনা তৈরি করতে থাকেন। একপর্যায়ে শুরু করেন ড্রোন বানানো। এলাকার আকাশেই এসবের উড্ডয়ন ও অবতরণের পরীক্ষা করা হয়। তাঁর নির্মাণ করা ড্রোন গোয়েন্দা নজরদারি, যুদ্ধসহ নানা কাজে ব্যবহার করা যায় বলে জানান আশির।
আশির উদ্দিন বলেন, ‘এর মধ্যে বেশ কিছু ড্রোন বিক্রি করেছি। ১০ কেজি ওজনের একটি ড্রোনের দাম মানভেদে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের ড্রোন ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। একটি ড্রোন তৈরিতে ৬ জনের টিমের ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে।’
নিজের ল্যাবে তৈরি করা একটি ড্রোন নিয়ে আশির উদ্দিন