কচুরিপানা ও দূষণে ধুঁকছে শাখা ধনাগোদা, পরিষ্কারের উদ্যোগ নেই
Published: 22nd, May 2025 GMT
একসময় নদীটি ছিল খরস্রোতা। নৌপথে স্থানীয় লোকজন সহজেই রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে চলাচল করত। আর নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন হাজারো জেলে। এখন সেসব কেবলই অতীত। ’৭৯ সালে বেড়িবাঁধ হওয়ার পর পাল্টে যায় শাখা ধনাগোদা নদীর এই দৃশ্যপট।
শাখা ধনাগোদা নদী ধীরে ধীরে কচুরিপানা ও শেওলার দখল–দূষণে মৃতপ্রায়। নদীটি বাঁচাতে প্রশাসন বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তেমন উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার লোকজন।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধের ভেতরে গাজীপুর থেকে কালীপুর পর্যন্ত শাখা ধনাগোদা নদীর অবস্থান। এটি প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও আনুমানিক ৪০০ থেকে ৫০০ ফুট প্রশস্ত। স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে এটি শাখা ধনাগোদা নামে পরিচিত।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই নদীর গাজীপুর, নবুরকান্দি, নয়াকান্দি, লুধুয়া, রসুলপুর, শাহাবাজকান্দি ও কালীপুরসহ কয়েকটি এলাকায় দেখা যায়, নদীটির অধিকাংশই কচুরিপানার দখলে। এখানে-সেখানে কচুরিপানার স্তূপ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে উঠেছে শেওলা। শেওলা ও কচুরিপানার দাপটে নদী থমকে আছে। অনেক স্থানে শেওলা ও কচুরিপানা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ ছাড়া স্থানীয় লোকজন ময়লা-আবর্জনা ফেলে কয়েকটি স্থানকে ভাগাড় বানিয়ে ফেলেছেন। নদীর তীরে বেড়ে গেছে মশা–মাছির উপদ্রব।
শাখা ধনাগোদা নদীর তীরে জমেছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। আজ সকালে উপজেলার গাজীপুর এলাকায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাবগুলো ডিজিএফআইয়ের, সাবেক ডিজি হামিদুলের নয়: দুদক
দুর্নীতির অনুসন্ধান চলমান থাকায় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হকের চারটি ব্যাংক হিসাব সোমবার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
আজ মঙ্গলবার দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবরুদ্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাবগুলো ডিজিএফআইয়ের, সংস্থাটির সাবেক মহাপরিচালক হামিদুল হকের নয়।
দুদক জানিয়েছে, ডিজিএফআইয়ের চারটি প্রাতিষ্ঠানিক হিসাব প্রতিষ্ঠানের নামে না হয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নামে হয়েছে। এ কারণে করণিক ত্রুটির কারণে ওই ব্যাংক হিসাবগুলো ব্যক্তিগত হিসেবে অবরুদ্ধ হয়েছে। এটি একটি তথ্যসূত্রগত ত্রুটি, যা সংশোধন করা হবে।
দুদক সোমবার লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছিল, হামিদুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। তিনি তার ব্যাংক হিসাবের টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন। হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করার আদেশ চায় দুদক। দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক নওশাদ আলী এ আবেদন করেন।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল হামিদুল ও তার স্ত্রী নুছরাত জাহান মুক্তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।