২,৩৬৯ জন নাগরিকের তথ্য বাংলাদেশকে জানিয়েছে ভারত
Published: 22nd, May 2025 GMT
বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী অন্য যেকোনো দেশের নাগরিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন।
বাংলাদেশের প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইতিমধ্যে ২ হাজার ৩৬৯ জন বাংলাদেশির তথ্য বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা ছিল যারা এখানে সংশোধনাগারে সাজা কাটছিলেন, এখন তা শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনকি কিছু মামলা ২০২০ সাল থেকে চলছে যা আজও নিষ্পত্তি হয়নি। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করব, তারা যত দ্রুত সম্ভব এই ব্যক্তিদের নাগরিক তথ্য যাচাই করে যেন দেশে ফিরিয়ে নেন ।
তিনি কক্সবাজারে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর মহড়া নিয়ে জানান, যখনই এ ধরনের কোনো সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয় সেক্ষেত্রে আমরা তা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখি ও পর্যালোচনা করি এবং প্রয়োজনে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয় ।
এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ তুরস্ককে কড়া বার্তা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “যেকোনো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তৈরি হয় পরস্পরের সমস্যাগুলো উপলব্ধি করার মাধ্যমে। ভারত-তুরস্কের সম্পর্ক দুই দেশের পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং একে অপরের উদ্বেগের প্রতি সংবেদনশীলতার ওপর নির্মিত।”
রণধীর বলেন, “ভারত আশা করে, তুরস্ক পাকিস্তানকে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদে সমর্থন বন্ধ করার এবং কয়েক দশক ধরে যে সন্ত্রাসী বাস্তুতন্ত্রকে আশ্রয় দিয়ে আসছে তার বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য ও যাচাইযোগ্য পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জোরালোভাবে অনুরোধ করবে।”
সুচরিতা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবককে গণধোলাই
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নে চাঁদা দাবির অভিযোগে আব্দুল জব্বার নামে এক যুবককে আটক করে গণধোলাই দিয়েছেন এলাকাবাসী। রবিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে ইউনিয়নের আসাদনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আসাদনগরের একটি নির্মাণাধীন ভবনে যান জব্বার। তিনি ভবন মালিকের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে এলাকাবাসী তাকে আটক করে গণপিটুনি দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জব্বারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় রফিকুল ও আরিফ নামে দুই ব্যক্তি জানান, জব্বার মনোহরদীর বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করেন। জুলাই বিপ্লবের পর তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনেও তার নেতৃত্বে একটি গ্যাং নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। তারা চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কাছ থেকেও বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ দাবি করে।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে জমিজমা বিরোধের জেরে শিশুকে বেদম প্রহার
‘উপজেলায় এখন কী কাজ’ বলেই সাবেক মেয়রের ছেলেকে মারধর
নরসিংদীর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, “অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ