বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী অন্য যেকোনো দেশের নাগরিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন।

বাংলাদেশের প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইতিমধ্যে ২ হাজার ৩৬৯ জন বাংলাদেশির তথ্য বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা ছিল যারা এখানে সংশোধনাগারে সাজা কাটছিলেন, এখন তা শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনকি কিছু মামলা ২০২০ সাল থেকে চলছে যা আজও নিষ্পত্তি হয়নি। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করব, তারা যত দ্রুত সম্ভব এই ব্যক্তিদের নাগরিক তথ্য যাচাই করে যেন দেশে ফিরিয়ে নেন ।

তিনি কক্সবাজারে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর মহড়া নিয়ে জানান, যখনই এ ধরনের কোনো সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয় সেক্ষেত্রে আমরা তা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখি ও পর্যালোচনা করি  এবং প্রয়োজনে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয় ।

এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ তুরস্ককে কড়া বার্তা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “যেকোনো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তৈরি হয় পরস্পরের সমস্যাগুলো উপলব্ধি করার মাধ্যমে। ভারত-তুরস্কের সম্পর্ক দুই দেশের পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং একে অপরের উদ্বেগের প্রতি সংবেদনশীলতার ওপর নির্মিত।”

রণধীর বলেন, “ভারত আশা করে, তুরস্ক পাকিস্তানকে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদে সমর্থন বন্ধ করার এবং কয়েক দশক ধরে যে সন্ত্রাসী বাস্তুতন্ত্রকে আশ্রয় দিয়ে আসছে তার বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য ও যাচাইযোগ্য পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জোরালোভাবে অনুরোধ করবে।”

সুচরিতা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সঞ্চয়ের টাকা ফেরত

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের দুস্থ গোষ্ঠী উন্নয়নের (ভিজিডি) কর্মসূচির ১৬০ কার্ডধারী নারী তাদের সঞ্চয়ের অর্থ ফেরত পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘিলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মুনাফাসহ ১৬০ নারীর সঞ্চয়ের অর্থের চেক বিতরণ করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কার্যালয় পরিচালিত ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঘিলাছড়া ইউনিয়নের ১৬০ নারীকে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। এর বিপরীতে ২০০ টাকা করে তাদের ব্যাংক হিসাবে সঞ্চয় হিসাবে জমা করা হতো। ভিজিডি কর্মসূচির সুবিধাভোগী নারীদের নিজেদের টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা করার কথা ছিল। কিন্তু ব্যাংকে যাতায়াতের ভোগান্তি ও অর্থ সাশ্রয়ে নারীরা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ে মাঠকর্মী শারমিন আক্তারের কাছে টাকা জমা দিতেন। 

গত ১৪ মে ভিজিডি কর্মসূচির চাল বিতরণ কার্যক্রম শেষ হলে পরদিন নারীরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে তাদের সঞ্চয়ের অর্থ নিতে চাইলে এ সময় তাদের ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়। পরে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় যোগাযোগ করে তারা জানতে পারেন, তাদের সঞ্চয়ের অর্থ ব্যাংকে জমা হয়নি। এ সময় মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ের মাঠকর্মী শারমিন আক্তারের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ের টনক নড়ে। গত বুধবার বিকেলে নারীদের দুই বছরের সঞ্চয় ও মুনাফার অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখায় জমা করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘিলাছড়া ইউপি কার্যালয়ে মুনাফাসহ ১৬০ নারীর সঞ্চয়ের অর্থের চেক বিতরণ করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ের মাঠকর্মী শারমিন আক্তারের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। শারমিনের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।  

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খাদিজা খাতুন জানান, সঞ্চয়ের অর্থ সময়মতো ব্যাংকে জমা না দেওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ইউএনও মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, উপকারভোগী হতদরিদ্র নারীদের সঞ্চয়ের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ