ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন,বিগত দিনে নেতাকর্মীরাই ত্যাগ স্বীকার করে, অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়েছে।

যারা  এখন  অনেক বড় বড় কথা বলে, বক্তব্য , তখন তাদের অনেককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবুও রাজপথ ফাঁকা হয়নি, কারণ আমাদের সাহসী কর্মীরাই আন্দোলন টিকিয়ে রেখেছে।"

বৃহস্পতিবার বিকেলে ফতুল্লার পাগলা সিসিলি কমিউনিটি সেন্টারে ফতুল্লা থানা বিএনপির উদ্যোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

এ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু  বলেন,
“দলের ঊর্ধ্বে কেউ নয়, বিভ্রান্তিমূলক কথা বন্ধ করুন” বিএনপি'র বদনাম হবে, বিএনপি'র প্রতি মানুষ আস্থা হারাবে এমন কোন কাজ কেউ করবেন না।

এ সময় তিনি আরো বলেন, “কেউ এমন কিছু বলবেন না যাতে আমাদের নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। যারা বিগত দিনে জীবন বাজি রেখে রাজপথে ছিল, আজ তাদের দোষারোপ নয়, কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত।”

সভায় তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, "বিগত দিনে নেতাকর্মীরাই ত্যাগ স্বীকার করে, অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়েছে। যারা  এখন  অনেক বড় বড় কথা বলে, বক্তব্য , তখন তাদের অনেককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবুও রাজপথ ফাঁকা হয়নি, কারণ আমাদের সাহসী কর্মীরাই আন্দোলন টিকিয়ে রেখেছে।"

তিনি আরও বলেন, "কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দায় দল নেবে না। বিএনপি কারও ব্যক্তিগত প্ল্যাটফর্ম নয়। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। অতীত থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করে বিএনপির বদনাম করাবেন না। মানুষ এই দলকে বিশ্বাস করে, সেই আস্থার জায়গা নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।"

সভায় তিনি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী যথাযথভাবে পালনের জন্য সকল ইউনিট ও অঙ্গসংগঠনকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন। তিনি জানান, এ দিনটি শুধু স্মরণ নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর একটি সুযোগ। অসহায়, দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে সকলকে আহ্বান জানান তিনি।

ফতুল্লা থানা বিএনপি শহীদ রাষ্ট্রপতির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জনসম্পৃক্ত ও গঠনমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করবে বলে ঘোষণা দেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য একরামুল কবির মামুন,নাদিম হাসান মিঠু, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ সভপতি হাজী শহীদুল্লাহ,সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার,ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ সভাপতি শেখ হানিফ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মিথুন,বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সুমন আকবর,যুগ্ম আহনায়ক নজরুল প্রধান,কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি  নজরুল ইসলাম মাদবর, বিএনপির সাধারন সম্পাদক আরিফ মন্ডল,এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী,ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন,ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপু,কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আরিফ মন্ডল,  ফতুল্লা শিল্পাঞ্চল শ্রমিক দলের সভাপতি বাবুল আহমেদ সহ ফতুল্লা থানার  বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের বিএনপি সহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন ত কর ম র ব এনপ র স ন ব এনপ র কর ম র ই ল ইসল ম আম দ র র জপথ

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৭ বছর ধরে পুলিশের দখলে

ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কার্যালয় দখল করে পুলিশ তদন্তকেন্দ্র গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ৭ বছর ধরে পরিবার পরিকল্পনা সেবা মিলছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চিঠি দিলেও কোনো সমাধান আসছে না।

ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনের কাটখাল বাজারে কাটখাল ইউনিয়নে। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের চারতলা ভবনে ৭ বছর ধরে চলছে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র।

স্থানীয় বাসিন্দা খলিলুর রহমান জানান, এমনিতেই হাওর এলাকার মানুষ কোনো ধরনের চিকিৎসাসেবা সেভাবে পান না। তার ওপর এখানকার মানুষ অনেক অসচেতন। এ রকম একটি এলাকায় পরিবার কল্যাণকেন্দ্র তৈরি হয়েও চালু না হওয়ায় প্রজননসংক্রান্ত জ্ঞান ও সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

বিল্লাল মিয়া নামে একজন বলেন, ‘বাড়ির কাছেই একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র হয়েছে। সেটি দীর্ঘদিনেও চালু না হওয়ায় এলাকার মানুষকে কয়েক মাইল পাড়ি দিয়ে মিঠামইন সদরে অথবা কিশোরগঞ্জ শহরে গিয়ে সেবা নিতে হচ্ছে। এতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।’

কাটখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম রাজনৈতিক মামলার কারণে আত্মগোপনে। পরিবার কল্যাণকেন্দ্রের বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার কল করলেও তাঁর ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে প্যানেল চেয়ারম্যান জয়নাল মিয়া জানিয়েছেন, এ ইউনিয়নে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের বসবাস। এখানে যে পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটি রয়েছে, সেটি প্রায় ৭ বছর ধরে পুলিশ তদন্তকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কোনো কর্মী নেই, কোনো সেবাও দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর ভাষ্য, গণপূর্ত বিভাগ পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের জন্য নতুন একটি তিনতলা ভবন করেছে। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সমস্যার কারণে সেটি এখনও চালু হয়নি। পয়ঃনিষ্কাশন লাইনটি যেহেতু বাইরে নিতে হবে, সেই কারণে গণপূর্ত বিভাগ সেটি করতে পারছে না। তবে কর্তৃপক্ষ তহবিল দিলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সেটি করে দেওয়া যাবে।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় মিঠামইন থানার ওসি আলমগীর কবীরের সঙ্গে। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছেন তিনি। ওই এলাকায় পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের জন্য গণপূর্ত বিভাগ একটি তিনতলা ভবন করে দিয়েছে। পয়ঃনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে তদন্তকেন্দ্র স্থানান্তর করা যাচ্ছে না। 

এ ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে প্রশ্ন করলে বলেন, এ বিষয়ে পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে একটি চিঠি এসেছিল। মূল ভবন এলাকায় জলাবদ্ধতাসহ কোনো সমস্যা থাকলে তা সংস্কার ও সেটি গণপূর্ত বিভাগ করে দিতে পারে। পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পয়ঃনিষ্কাশনের লাইনটি অন্যের জায়গার ওপর দিয়ে নিতে হবে। এজন্য গণপূর্তের কাছে আলাদা কোনো তহবিল বরাদ্দ নেই। ইউনিয়ন পরিষদ যেহেতু পরিষেবা বিল নেয়, ফলে পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের।

ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ থাকার বিষয়ে কথা হয় কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক খন্দকার মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, তিনি এ জেলায় যোগদান করেছেন গত ৯ এপ্রিল। আগের কর্মকর্তারাও বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চিঠি লিখেছেন। তিনিও চিঠি লিখবেন। 

তবে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে জনবল সংকটের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এ জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ের ৬০ শতাংশ পদই শূন্য। নিয়োগ পরীক্ষা হলেও মামলার কারণে নিয়োগ বন্ধ হয়ে আছে। ২০১৪ সালে একটি নিয়োগ পরীক্ষা হয়। মামলার কারণে নিয়োগ বন্ধ হয়ে আছে। ২০২২ সালেও একটি নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। এবারও মামলার কারণে নিয়োগ বন্ধ। তিনি জানান, ইউনিয়নের সংখ্যা অনুযায়ী একেকটি উপজেলায় ৮ থেকে ১০টি পরিবার কল্যাণকেন্দ্র রয়েছে। জনবল সংকটের কারণে কোনো কোনো কর্মীকে একাধিক কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এসব কারণে প্রত্যাশামতো সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ