হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন বাংলাদেশিকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী।

সোমবার (২৬ মে) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন, কালেঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার জাকারিয়া।

খবর পেয়ে কালেঙ্গা ক্যাম্পে আসেন হবিগঞ্জ ৫৫ বিজিবি'র সহকারী পরিচালক (এডি) হাবিবুর রহমান ও চুনারুঘাটের সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম। 

রবিবার গভীর রাতের যেকোনো সময় কালেঙ্গা সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতারের গেইট খুলে ১৯ জন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়। 

এরা হলেন-লোকমান হোসেন (৬৫), স্ত্রী কিসমন (৫৪), ছেলে ইসলাম (২৬), ইসমাইল (২৪), মেয়ে আফরোজা (২৯), ছেলের  স্ত্রী জেসমিন (২৩), মেয়ে  রেশমা (৫), ছেলের স্ত্রী কাকলি বেগম (২২), ছেলে শাহজাহান (২), নিলুফা (১১), ওবায়দুর (৫০), ফাতেমা বেগম (৪৫), ইয়াসমিন (১৪), আবুল মিয়া (৫২),জাহানারা (৪০), আলম (১১), রবিউল (১৪) ও ছখিনা (৬০)।

এরা বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী ও নাগেশ্বরী উপজেলার বাসিন্দ। তারা ২০ বছর পূর্বে রুটি রুজির তাগিদে ভারতের হরিয়ানায় ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন বলে জানান। 

ঢাকা/মামুন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পুশইন নিয়ে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দেখতে চায় না জনগণ

বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ক্রমাগত ভারতীয় পুশইনের প্রতিবাদে এবং এসব লোকজনকে পুশব্যাক করার দাবিতে রাজধানীতে নাগরিক সমাবেশ হয়েছে।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের উদ্যোগে এ নাগরিক সমাবেশ হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিভিন্ন রাজ্যে বসবাসকারী কথিত ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ ধরতে অভিযান চলছে ভারতে। ‘অবৈধ অভিবাসী’ সন্দেহে বিভিন্ন রাজ্যে গ্রেপ্তার হওয়া মুসলমান এবং বাংলা ভাষাভাষীদের বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় এনে তাদের তুলে দেওয়া হয় বিএসএফের হাতে। আর বিএসএফ সময় ও সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় তাদের।

৭ মে প্রথম দফায় খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা ও পানছড়িতে ৬৬ এবং কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে আরও ৩৬ জনকে দিয়ে শুরু হওয়া ‘পুশইন’ এখনও অব্যাহত রয়েছে। তারা বলেন, শুধু মে মাসেই ১ হাজার ২২২ জনকে ঠেলে দিয়েছে ভারত। বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ২৪ দিনে মোট ১ হাজার ২২২ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারত।

বক্তারা বলেন, ভারতবিরোধী বড় বড় কথা বলে সস্তা বাহবা পাওয়া যেতে পারে। অথচ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতের জন্য বরাদ্দকৃত ভূমি বাতিল করা হয়নি, তিস্তা প্রকল্পের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না, ভেঙে পড়েছে সীমান্ত নিরাপত্তা, অবাধ বিচরণ করছে অবৈধ ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মতো নতজানু পররাষ্ট্রনীতিও লক্ষণীয়। এদেশের জনগণ আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দেখতে চায় না, দেশের মানুষ এখন স্বনির্ভর, জবাবদিহি ও স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির সম্পূর্ণ নতুন বাংলাদেশ চায়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খন্দকার ফরিদুল আকবরের সভাপতিত্বে এবং মো. মোস্তফা আল ইহযাযের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশ ও সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খায়রুল আহসান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান, লে. কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, মেজর (অব.) হারুন আর রশিদ, মুসলিম ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মাসউদুল হাছান, আরজেএফের জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সহসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রবিউল হোসেন রবি, ন্যাশনাল কৃষক শ্রমিক পার্টির আহ্বায়ক আব্দুল করিম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হত্যার আড়াই মাস পর মরদেহ ফিরিয়ে দিলো বিএসএফ
  • সুনামগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
  • ভারতে অনুপ্রবেশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আটক করে বিজিবিকে দিল বিএসএফ
  • প্রেমের টানে ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি তরুণী
  • দুই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
  • পুশইন নিয়ে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দেখতে চায় না জনগণ
  • সুনামগঞ্জে বিএসএফের গু‌লিতে এক বাংলাদেশি নিহত
  • পানিহাটা সীমান্ত দিয়ে আরও ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • শেরপুরে ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১০ বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ