রোববার নিবন্ধনের আবেদন জমা দেবে এনসিপি
Published: 19th, June 2025 GMT
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন গ্রহণের শেষ দিন ২২ জুন (রোববার)। শেষ দিনেই ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন জমা দেবে দলটি। এখন চলছে দলটির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
ইসিতে নিবন্ধনের জন্য কোনো দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সক্রিয় কেন্দ্রীয় অফিস থাকা, অনূর্ধ্ব এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় জেলা অফিস এবং অন্যূন ১০০টি উপজেলা বা ক্ষেত্রমতে মেট্রোপলিটন থানায় অফিস (যার প্রতিটিতে সদস্য হিসেবে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত হতে হবে) থাকার শর্ত পূরণ করতে হয়। পাশাপাশি দলের গঠনতন্ত্রে কিছু বিষয় উল্লেখ থাকতে হয়।
১ জুন ঢাকা মহানগর উত্তরে সমন্বয় কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে জেলা–উপজেলা পর্যায়ে এনসিপির কমিটি গঠন শুরু হয়। গতকাল বুধবার পর্যন্ত দেশের ৩৩টি জেলা ও ১২৭টি উপজেলায় সমন্বয় কমিটি করেছে এনসিপি। এই কমিটিগুলোর মাধ্যমে পরে জেলা–উপজেলা পর্যায়ে দলটির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হবে। অবশ্য দলের গঠনতন্ত্র এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
খসড়া গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে কেউ তিন মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না। দলীয় প্রধানকে তিন বছর পরপর কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে।কমিটি গঠনের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ও স্থাপন করছে এনসিপি। এ ছাড়া জেলা–উপজেলা পর্যায়ে সদস্য ফরমও পাঠানো হয়েছে। এখন জেলা–উপজেলা পর্যায় থেকে দলীয় কার্যালয়ের চুক্তিপত্র, কমিটির সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পূরণকৃত সদস্য ফরমসহ বিভিন্ন তথ্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠাচ্ছেন নেতা–কর্মীরা। ইসিতে জমা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে এগুলো যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে খসড়া গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করেছে এনসিপি। ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪—এই তিন ঐতিহাসিক ঘটনার সমন্বয়ে একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বনির্ভর রাষ্ট্র গঠন করতে চায় এনসিপি। তাদের লক্ষ্য দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। পাশাপাশি তারুণ্যনির্ভর বিকেন্দ্রীভূত গভর্ন্যান্সের (শাসন) মাধ্যমে তারা একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে চায়।
খসড়া গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে কেউ তিন মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না। দলীয় প্রধানকে তিন বছর পরপর কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে।
১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪—এই তিন ঐতিহাসিক ঘটনার সমন্বয়ে একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বনির্ভর রাষ্ট্র গঠন করতে চায় এনসিপি। তাদের লক্ষ্য দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। পাশাপাশি তারুণ্যনির্ভর বিকেন্দ্রীভূত গভর্ন্যান্সের (শাসন) মাধ্যমে তারা একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে চায়।আগামী রোববার নিবন্ধনের আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই দলীয় গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করবে এনসিপি। সেই লক্ষ্যে আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সভা হতে যাচ্ছে।
ওই সভায় এনসিপির গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা হবে বলে গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। মাঝে দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শেষ দিনে (রোববার) ইসিতে এনসিপির পক্ষ থেকে ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গঠনতন ত র এনস প র র বব র পর য য় উপজ ল র গঠন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
২৮ জুন বিকল্প স্থানে কাউন্সিলের আহ্বান শীর্ষ নেতাদের
হল বরাদ্দ বাতিলের অজুহাতে ২৮ জুন জাতীয় পার্টির কাউন্সিল স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে দলীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
তারা দলীয় গঠনতন্ত্র ও প্রেসিডিয়ামের সিদ্ধান্ত মেনে ২৮ জুন বিকল্প স্থান হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই কাউন্সিল আয়োজন করতে চেয়ারম্যানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুই নেতা যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন:
ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় জাপা চেয়ারম্যানের শোক
প্রস্তাবিত বাজেট নব্য ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দর্শনের প্রতিফলন: জিএম কাদের
তারা বলেন, “জাতীয় পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সঙ্গে কোনো পূর্ব আলোচনা ছাড়াই আগামী ২৮ জুন নির্ধারিত দলের দশম জাতীয় সম্মেলন স্থগিত করেছেন। এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অনভিপ্রেত।”
“আমরা মনে করি, ২৮ জুনের জাতীয় সম্মেলন দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলীয় গঠনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং নির্বাচন কমিশনের গঠনতন্ত্র ও আরপিও অনুযায়ী বৈধতা নিশ্চিতের প্রেক্ষিতে এই সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম।এই সম্মেলনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে গণতান্ত্রিকভাবে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা দলীয় গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ,” বলেও মনে করেন তারা।
দুই নেতা বলেন, “গত ২০ মে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, কোনো কারণবশত বরাদ্দকৃত সম্মেলন স্থল না পাওয়া গেলে বিকল্পভাবে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের (৬৬ পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইল, রমনা, ঢাকা-১০০০।) সামনে উন্মুক্ত স্থানে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সিদ্ধান্ত এখনো বহাল আছে।”
“এককভাবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া দলীয় গঠনতন্ত্র, প্রেসিডিয়ামের সম্মান এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী। আমরা এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত ও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
নেতারা আরো বলেন, “আমরা আশা করি, পার্টির চেয়ারম্যান গঠনতন্ত্র ও প্রেসিডিয়ামের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে ২৮ জুন বিকল্প স্থান হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই দশম জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন নিশ্চিত করবেন।”
জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল উল্লেখ করে তারা বলেন, “গঠনতন্ত্রের প্রতি সম্মান ও অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চাই হোক আমাদের এগিয়ে চলার প্রধান শক্তি।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ