বরিশাল এক্স ক্যাডেটস অ্যাসোসিয়েশনের (বেক্সকা) বার্ষিক সাধারণ সভা এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২০ জুন পূর্বাচলের ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে নির্বাচনে ২০২৫-২০২৬ সালের কার্যনির্বাহী কমিটিতে সভাপতি পদে গোলাম রাব্বানি শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন শাহরিয়ার সাদাত।

নির্বাচনে, সহ সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোর্শেদুর রহমান সানি, এস.

এম. মাসুদ পারভেজ দীপু, মাহমুদ হাসান, মাহমুদুর রশীদ মজুমদার।

জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আরিফুর রহমান, ট্রেজারার পদে আসিফ খান শাকির, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি পদে কাজী আরিফুর রহমান এবং জয়েন্ট অর্গানাইজিং সেক্রেটারি পদে সিফাত মোহাম্মদ শরিফ, অফিস সেক্রেটারি পদে মাহিরুল ইসলাম, জয়েন্ট অফিস সেক্রেটারি পদে রাফিদ রহমান, ওভারসিজ সেক্রেটারি পদে সাব্বির আহমেদ, হেলথ সেক্রেটারি, পদে মো. মেহেদী হাসান নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন মো. মাহবুবুল আলম। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন, মতিউর রহমান, শরিফ মো. ফরহাদ হোসেন, মো. সাইফুল্লাহ তালুত, সুজল আহমেদ তালুকদার।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প র ব চল ন র ব চ ত হয় ছ ন র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘চোখের সামনে বসতবাড়ি ভাইঙ্গা নিল, পোলাপান লইয়া কই যামু’

চার সন্তানকে বুকে জড়িয়ে এক রাতে ঘর ছাড়তে বাধ্য হন শেরপুর সদর উপজেলার গৃহিণী নাজমা বেগম (৪৬)। চোখের সামনে নিজেদের শেষ আশ্রয়স্থলটি নদীতে বিলীন হতে দেখেন। এই অবস্থায় কোথায় যাবেন, কী করবেন—কিছুই বুঝতে পারছেন না। এমন অসহায়ত্ব প্রকাশ করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভাগলঘর গ্রামের এই বাসিন্দা বলেন, ‘চোখের সামনে বসতবাড়ি ভাইঙ্গা নিল (ব্রহ্মপুত্র নদ), পোলাপান লইয়া কই যামু?’

আপাতত দিনমজুর স্বামী আবদুল্লাহ ও সন্তানদের নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন নাজমা। তবে ভবিষ্যতে কোথায় যাবেন, এই ভেবে চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন। ব্রহ্মপুত্র নদে বসতভিটা হারানোর এই কষ্ট কিংবা অসহায়ত্ব শুধু নাজমা বেগমের একার নয়, চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাগলঘর গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের একই দুর্দশা। পরিবারগুলোর অভিযোগ, সরকারি উদ্যোগে ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে তারা।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে দক্ষিণ ভাগলঘর গ্রামের একাংশে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। গ্রামটির প্রায় ৫০০ মিটার এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যেই অনেকের বসতভিটা নদে পুরোপুরিভাবে বিলীন হয়ে গেছে। আবার কোথাও নদের পাড় ঘেঁষে থাকা শূন্য ভিটায় উঁকি দিচ্ছে বাঁশের খুঁটি। এগুলো এখন সেই দুঃসহ বাস্তবতার সাক্ষী যেন। অনেকে তড়িঘড়ি নিজেদের ঘর থেকে আসবাব সরিয়ে কোনোরকমে এখানে-সেখানে ছড়িয়ে রেখেছেন।

ব্রহ্মপুত্রের তীর থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে আছে ভাগলঘর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ ও সামাজিক কবরস্থান। ভাঙন রোধ করা না গেলে যেকোনো সময় এগুলো নদে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী। এর মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উদ্যোগে ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার জন্য বালু ভরার কাজ চলতে দেখা যায়।

নদের ভাঙনকবলিত স্থানে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ভাগলঘর গ্রামে

সম্পর্কিত নিবন্ধ