সিদ্ধিরগঞ্জে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তানভীর আহমেদ (২১) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকাবাসী ধর্ষককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক তানভীর সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকার জুলফিকার আলী জমাদ্দারের ছেলে।

ভিকটিমের পরিবার জানায়, সোমবার (২৩ জুন) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকার নাজমা উকিলের চারতলা ভবনের নিচতলায় খেলা করছিল। এরই কোনও এক ফাঁকে ভিকটিম শিশুটি আসামির বাসায় চলে যায়।

অভিযুক্ত তানভীর আহমেদ সেই সুযোগে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ভিকটিমের পরিবার তাকে না পেয়ে প্রতিবেশী খেলার সাথী এবং বান্ধবীর বাসায় গিয়ে শিশুটিকে দেখতে পায় এবং সেখান থেকে বাসায় নিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পরেই তার শরীরে প্রচন্ড জ্বর আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরের দিন সকাল থেকে ভিকটিমের প্রস্রাবের সাথে রক্ত যেতে দেখা যায়।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় নিকটস্থ ট্রাস্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড হসপিটালে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে ভিকটিম চিকিৎসককে জানায় তার বান্ধবীর চাচা তানভীর আহমেদ তাকে ব্যথা দিয়েছে। পরবর্তীতে মঙ্গলবার রাতে তানভীর আহমেদকে এলাকাবাসী আটক করে থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম জানান, আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ য বক ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

তিন দিন আগে বন্ধুর সঙ্গে ঢাকায় যান রংপুরের আশরাফুল, ড্রামে মিলল ২৬ টুকরা লাশ

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশরাফুল হক (৪২)। তিন দিন আগে বন্ধু জরেজ মিয়ার সঙ্গে ঢাকা যান তিনি। স্ত্রী লাকী বেগম গত বুধবার থেকে স্বামীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। তবে ফোন ধরেছেন জরেজ মিয়া। তিনি লাকীকে জানাতেন, আশরাফুল বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লাকী বেগম ভাইকে নিয়ে বদরগঞ্জ থানায় গেলে জানতে পারেন, ঢাকায় নীল রঙের একটি ড্রামের ভেতর থেকে ২৬ টুকরা অবস্থায় আশরাফুলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আঙুলের ছাপ মিলিয়ে শনাক্ত করা হয় লাশটি।

আশরাফুলের শ্যালক আবদুল মজিদ বলেন, ‘আশরাফুল তার বাবাকে হাসপাতালে রেখে মঙ্গলবার মালয়েশিয়াফেরত বন্ধু জরেজের সঙ্গে ঢাকা যায়। গত বুধবার বিকেল ৫টায় বোনের সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। তখন সে বোনকে বলেছে, “বাবাকে হাসপাতালে রিলিজ দিবে, টাকাপয়সা দিছি। বাবাক নিয়া আইসো।”এরপর থাকি আশরাফুলকে কল দিলে তার বন্ধু জরেজ ধরে। আর বলে, আশরাফুল ব্যস্ত আছে, কালেকশনে গেছে।’

আবদুল মজিদ আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে ফোন দিলে আবার জরেজ ফোন ধরে। কিন্তু আশরাফুলকে দেয় না। এ জন্য বোন জরেজের স্ত্রীর কাছে যায়। জরেজের স্ত্রী তাকে ফোন দিলে আশরাফুলের ফোন ধরে না কেন জানতে চাইলে জরেজ বলেন, আশরাফুলের ফোন ড্রেনে কুড়ায় পাইছে। এরপর বোনসহ থানায় আসি। এসে শুনি তাকে খুন করছে। তার লাশ উদ্ধার হইছে ঢাকায়। আমরা হত্যাকারীর বিচার চাই।’

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘নিহত আশরাফুল হকের স্ত্রী-স্বজনেরা থানায় এসেছিল। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়েছি। সেগুলো দিয়ে ওসি রমনা, শাহবাগকে সহযোগিতা করছি। এ ঘটনায় ঢাকায় মামলা হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার সেখানে যাচ্ছে।’ হত্যাকাণ্ডের কারণ ও জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ