‘নাটকটি দেখে চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব না’
Published: 1st, July 2025 GMT
পাঁচ দিন আগে ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে এক ঘণ্টার নাটক মাটির মানুষ। এই নাটক গ্রামে বড় হওয়া এক নারীর জীবন আশ্রয়ী গল্প। যে লেখালেখি করতে ভালোবাসে। অথচ বাবাকে হারিয়ে মা আর খালার পছন্দ করা চাকরিজীবী ছেলেকে বিয়ে করে। এক রকম বন্দিজীবন পায় পাখি। যেখানের তার নিজের কিছু বলার নাই। সে কেবলই আজ্ঞাবহ।
স্বামী শুরুতে তাকে রহস্যময়ী হিসেবে দেখে। তার সংলাপ ‘‘কারে পাইলাম তারতো রহস্যের অন্ত নাই’’। অন্তঃসত্ত্বা হয়। ভোগে বিশ্বাসী স্বামী অন্য নারীতে আসক্ত হয়ে পড়ে। সংসার ছেড়ে মায়ের কাছে চলে যায় পাখি। এক মেয়ের জন্ম দেয়। মেয়ে পরীকে নিয়েই তার দিন কাটে। দ্বিতীয় বিয়ের সময় মেয়ের পরিচয় গোপন করে পাখির মা আর খালা। ফলে মেয়েকে দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় পাখি।
দ্বিতীয় স্বামীও পোড় খাওয়া মানুষ। আগের স্ত্রী তাকে ধোকা দিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। ফলে পাখিকে সে যেমন বিশ্বাস করে তেমন অবিশ্বাসও করে। একদিন জানতে পারে পাখির মেয়ে আছে। দ্বিতীয় স্বামী মেয়েটিকে নিজের মেয়ে হিসেবে মেনে নয়। এর হৃদয়বিদারক দৃশ্যের ভেতর দিয়ে এগোনো এই নাটকের শেষে দেখা যায় এক সুন্দর মানসিকতার পুরুষকে। মা আর মেয়েও একসঙ্গে থাকার সুযোগ পায়। এই সুযোগটুকু পাঠকের মনে স্বস্তির জোয়ার হয়ে আসে।
আরো পড়ুন:
বুবলীর যে গুণে মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েছিলেন তাপস
রুনা লায়লার সারাদিন যেভাবে কাটে
পাঁচ দিনে নাটকের ভিউ হয়েছে পঁয়ষট্টি লাখ। কমেন্টের ঘরে একজন লিখেছেন, ‘‘ মায়ের কাছে তার সন্তান পৃথিবীর সবচেয়ে দামী এই নাটক দেখে বুঝতে পারলাম।’’
আরেকজন লিখেছেন, ‘‘নাটকটা এতোই সুন্দর যে চোখের পানি আর ধরে রাখা গেলো না। সাথী আপু, তামিম ভাইয়ার নাটক আরও চাই।’’
কেউ কেউ লিখেছেন, নাটকটা দেখে চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব না।
এইচডি নামের ইউটিউব চ্যানেলে ২৫ জুন প্রিয়ন্তী নাটকটি মুক্তি পায়। এর পর থেকেই আলোচনায় রয়েছে ‘মাটির মেয়ে’ নাটকটি। এই নাটকে অভিনয় করেছেন তামিম খন্দকার, শায়লা সাথী, ইন্তেখাব দিনার, সাবেরী আলম, আনোয়ার শাহী, সুচনা শিকদার প্রমুখ।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন টক ট ভ ন টক ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
‘হারানো দিন’ থেকে ‘আম্মাজান’—শবনমের পূর্ণতার যাত্রা
মাত্র ১৫ বছর বয়সে অভিনয় শুরু শবনমের। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মিলিয়ে টানা চার দশকের অভিনয়জীবন তাঁর। ২৬ বছর ধরে অভিনয়ে নেই তিনি। এরপরও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন আড্ডায় প্রাসঙ্গিক। আজ তাঁর জন্মদিন। শবনমকে নিয়ে লিখেছেন মনজুর কাদের
‘হারানো দিন’ সিনেমা দিয়েই শবনম সাড়া ফেলেন। এ সিনেমার ‘আমি রূপনগরের রাজকন্যা রূপের জাদু এনেছি, ইরান-তুরান পার হয়ে আজ তোমার দেশে এসেছি’ গানটি আজও যেন দর্শকের মুখে মুখে। গানটিতে পর্দায় ঠোঁট মিলিয়েছিলেন শবনম। অভিষেক সিনেমাই সুপারহিট। এরপর শুধুই এগিয়ে যাওয়া। মুস্তাফিজ পরিচালিত সিনেমাটি ১৯৬১ সালে মুক্তি পায়।
ষাট থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত বাংলাদেশ আর পাকিস্তান মিলিয়ে প্রায় ১৮৫টি সিনেমায় অভিনয় করেন শবনম। তিনিই একমাত্র অভিনেত্রী, যিনি পাকিস্তানি সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন মোট ১৬ বার। তাঁর এ রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেনি। এক বছর আগে পাকিস্তান সরকার দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার সিতারা-ই-ইমতিয়াজ দেন শবনমকে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মিলিয়ে বহু সম্মাননায় সমৃদ্ধ হয় তাঁর অর্জনের ঝুলি।
বরেণ্য অভিনয়শিল্পী শবনমের আসল নাম ঝর্ণা বসাক। ১৯৪৬ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার নবাবপুরে জন্ম। পরিচালক এহতেশামের ‘চান্দা’ সিনেমায় ১৯৬২ সালে অভিনয় করেন তিনি। এই নির্মাতা ‘হারানো দিন’ সিনেমায় তাঁকে শবনম নামটি দেন। ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে স্থায়ীভাবে বাস করতে থাকেন শবনম।
সত্তর দশকের শুরুতে শবনম পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করেন। ১৯৮৮ সালে শবনম ঢাকা ও লাহোরের সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করতে থাকেন। নব্বই দশকের শেষভাগে ঢাকায় এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সর্বশেষ তিনি অভিনয় করেন ‘আম্মাজান’ সিনেমায়। এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে সব বয়সী দর্শকের কাছে ‘আম্মাজান’ হিসেবে নতুন করে পরিচিতি পান।
শবনম বলেন, ‘ভাগ্য আমার এতটাই ভালো, আমার অভিনীত প্রথম ও শেষ সিনেমা ছিল আমার ক্যারিয়ারের সেরা ও হিট সিনেমা।’
শবনম