কেমন একাদশ নিয়ে নেতৃত্ব শুরু করবেন মিরাজ
Published: 2nd, July 2025 GMT
কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান নেই। তামিম ইকবালের পর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ অবসর নিয়েছেন। ওয়ানডে নেতৃত্বের ভার পড়েছে মেহেদী মিরাজের কাঁধে।
নাজমুল শান্ত, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান এই দলের সিনিয়র সদস্য। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা না পাওয়া লিটন দাস নতুন এই যাত্রায় আবার একাদশে ফিরতে যাচ্ছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে অসাধারণ খেলার ফল পেয়ে একাদশে ঢুকে নাঈম শেখ জায়গা পেতে পারেন একাদশে।
নাঈম একাদশে ঢুকলে তিনে ব্যাট করা নাজমুল শান্তকে চারে নামিয়ে নেওয়া হতে পারে। যদিও সাদা বলের ক্রিকেটে ওই পজিশনে এখন পর্যন্ত শান্ত অভ্যস্ত নন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চারে ব্যাট করা মেহেদী মিরাজকে নেমে ছয়ে খেলতে পারেন।
স্পিন আক্রমণে মিরাজের সঙ্গে রিশাদ হোসেন বাংলাদেশের প্রথম পছন্দ হওয়ার কথা। সাদা বলে তিনি রান নিয়ন্ত্রণ এবং ব্রেক থ্রু দেওয়ার জন্য বেশ কার্যকর বোলার হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। তবে কলম্বোয় প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে তার খেলা অনিশ্চিত। জানা গেছে, তিনি জ্বরে ভুগছেন। রিশাদ খেলতে না পারলে বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইসলামকে খেলানো হতে পারে তার জায়গায়।
কলম্বোর উইকেট স্পিন সহায়ক হয়ে থাকে। লঙ্কান অধিনায়ক চারিথা আশালঙ্কা তা পরিষ্কার করলেও আশা করছেন, স্পোর্টিং উইকেট হবে। অর্থাৎ স্পিনারদের সঙ্গে ব্যাটাররাও রান পাবেন। এমন উইকেটেও বাংলাদেশ তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে নামতে পারে। তাসকিন ইনজুরি কাটিয়ে ফিরতে পারেন। তার সঙ্গে মুস্তাফিজুর রহমান থাকবেন। নাহিদ রানাকেও রাখা হতে পারে একাদশে। স্পিন সামলাবেন মিরাজের সঙ্গে রিশাদ বা তানভীরের একজন।
শ্রীলঙ্কা ওপেনিংয়ে পাথুম নিশাঙ্কার সঙ্গী নিয়ে কিছুটা চিন্তায় আছে। আভিস্কা ফার্নান্দো ও নিশাম মাদুশঙ্কার একজনকে নেবে তারা। পেস বোলিং আক্রমণে মহেশ থিকসানার সঙ্গে এসান মালিঙ্গা একাদশে ঢুকতে যাচ্ছেন। আসিথা ফার্নান্দো ও দিলশান মাদুশাঙ্কা একজন থাকবেন দলে। পেস ও অভিজ্ঞতার জন্য মাদুশাঙ্কা এগিয়ে থাকবেন।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: লিটন দাস, তানজিম সাকিব, নাঈম শেখ, নাজমুল শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী মিরাজ, জাকের আলী, তানভীর ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাহিদ রানা।
শ্রীলঙ্কার সম্ভাব্য একাদশ: নিশান মাদুষ্কা, পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, চারিথা আশালঙ্কা, কামিন্দু মেন্ডিস, জানিথ লিয়ানাগে, দুনিথ ভেল্লালাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহেশ থিকসানাম এসান মালিঙ্গা, দিলশান মাদুশাঙ্কা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে