ও গ্রুপের রক্তকে সর্বজনীন দাতা বলা হয় কেন
Published: 2nd, July 2025 GMT
মানবদেহে রক্তের গ্রুপ নির্ধারণকারী সবচেয়ে পরিচিত পদ্ধতির নাম এবিও সিস্টেম। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার এ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এ পদ্ধতিতে প্রধান চারটি গ্রুপ হচ্ছে—‘এ’, ‘বি’, ‘এবি’ এবং ‘ও’। এদের মধ্যে ‘ও’ ব্লাড গ্রুপ অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এই গ্রুপের রক্তকে সর্বজনীন দাতা বলা হয়।
রক্তের গ্রুপ সাধারণত নির্ধারিত হয় লোহিত রক্তকণিকার পৃষ্ঠে উপস্থিত নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন এবং রক্তরস বা প্লাজমায় উপস্থিত অ্যান্টিবডির ওপর ভিত্তি করে। অ্যান্টিজেন এমন প্রোটিন, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে সক্রিয় করতে পারে। ‘এ’ গ্রুপের রক্তের লোহিত রক্তকণিকায় ‘এ’ অ্যান্টিজেন থাকে এবং প্লাজমায় অ্যান্টিবডি ‘বি’ থাকে।
‘বি’ গ্রুপের লোহিত রক্তকণিকায় ‘বি’ অ্যান্টিজেন থাকে এবং প্লাজমায় অ্যান্টিবডি ‘এ’ থাকে। ‘এবি’ গ্রুপের লোহিত রক্তকণিকায় ‘এ’, ‘বি’ উভয় অ্যান্টিজেন থাকলেও প্লাজমায় কোনো অ্যান্টিবডি থাকে না। ‘ও’ গ্রুপের লোহিত রক্তকণিকায় কোনো ‘এ’ বা ‘বি’ অ্যান্টিজেন থাকে না। তবে এর প্লাজমায় ‘এ’, ‘বি’ উভয় অ্যান্টিবডিই উপস্থিত থাকে। অ্যান্টিজেন না থাকায ‘ও’ নেগেটিভ রক্তকে সর্বজনীন দাতা বলা হয়। ‘ও’ নেগেটিভ লোহিত রক্তকণিকায় কোনো ‘এ’, ‘বি’ বা আরএইচ অ্যান্টিজেন থাকে না। আর তাই এ রক্ত যেকোনো রক্ত গ্রুপের রোগীকে নিরাপদে দেওয়া যেতে পারে।
রক্তের গ্রুপ অজানা থাকলে অস্ত্রোপচারের সময় ‘ও’ নেগেটিভ গ্রুপের রক্তকে সাধারণ রক্তের গ্রুপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে ‘ও’ নেগেটিভ রক্তের গ্রুপের ব্যক্তিরা শুধু ‘ও’ নেগেটিভ রক্তই গ্রহণ করতে পারে। পৃথিবীর জনসংখ্যার মাত্র ৭ শতাংশ ব্যক্তির রক্তের গ্রুপ ‘ও’ নেগেটিভ হলেও ‘ও’ পজিটিভ রক্তের গ্রুপ রয়েছে ৩৮ শতাংশ ব্যক্তির। রেডক্রসের তথ্যমতে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের বেশি মানুষের রক্তের গ্রুপ পজিটিভ। তারা ‘ও’ পজিটিভ রক্ত গ্রহণ করতে পারে।
সূত্র: সায়েন্স ও সায়েন্স ফোকাস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প র রক ত রক ত র গ র প ট ভ রক ত
এছাড়াও পড়ুন:
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা: বিদেশি শিক্ষার্থীদের ২২৪ আসন বরাদ্দ
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আসন পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এ বছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ২২৪টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ২২৪ আসনের মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে ১৮৪ এবং বিডিএস কোর্সের জন্য ৪০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২২৪ আসনের মধ্যে ১২৫টি সার্ক দেশগুলোর জন্য এবং ৯৯টি আসন নন-সার্ক দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত। সার্ক ও নন-সার্ক কোটা সম্পূর্ণ আলাদা রাখা হয়েছে। নন-সার্ক কোটা সংরক্ষিত আসনে কোনো সার্ক দেশের শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হবে না।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেলোশিপ, ৬ খাতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ৪ ঘণ্টা আগেসার্ক দেশের আসন বণ্টনে ভারতের জন্য এমবিবিএসে ২২ ও বিডিএসে ২টি, পাকিস্তানের জন্য এমবিবিএসে ২১টি ও বিডিএসে ২টি, নেপালের জন্য এমবিবিএসে ১৯ ও বিডিএসে ৩টি, শ্রীলঙ্কার জন্য এমবিবিএসে ১৩ ও বিডিএসে ২টি, ভুটানের জন্য এমবিবিএসে ৩টি ও বিডিএসে ১টি, মালদ্বীপের জন্য এমবিবিএসে ৬টি ও বিডিএসে ১টি এবং আফগানিস্তানের জন্য এমবিবিএসে ৩টি ও বিডিএসে ১টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে সার্ক দেশের জন্য এমবিবিএসে মোট ১১২ ও বিডিএসে ১৩, অর্থাৎ সর্বমোট ১২৫টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনমেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা : দেখে নিন আবেদনের নিয়মাবলি১৩ নভেম্বর ২০২৫নন-সার্ক দেশের আসন বণ্টনে সার্ক দেশের মতো একই বৃত্তির আওতায় মিয়ানমারের জন্য এমবিবিএসে ৫টি ও বিডিএসে ২টি, ফিলিস্তিনের জন্য এমবিবিএসে ১৮ ও বিডিএসে ৩টি এবং অন্য সব দেশের জন্য এমবিবিএসে ৪৯ ও বিডিএসে ২২টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। সব মিলিয়ে নন-সার্ক দেশের জন্য এমবিবিএসে ৭২ ও বিডিএসে ২৭টি, অর্থাৎ মোট ৯৯টি আসন রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুননিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যে নতুন সুযোগ দিল ১৬ নভেম্বর ২০২৫