মানবদেহে রক্তের গ্রুপ নির্ধারণকারী সবচেয়ে পরিচিত পদ্ধতির নাম এবিও সিস্টেম। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার এ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এ পদ্ধতিতে প্রধান চারটি গ্রুপ হচ্ছে—‘এ’, ‘বি’, ‘এবি’ এবং ‘ও’। এদের মধ্যে ‘ও’ ব্লাড গ্রুপ অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এই গ্রুপের রক্তকে সর্বজনীন দাতা বলা হয়।

রক্তের গ্রুপ সাধারণত নির্ধারিত হয় লোহিত রক্তকণিকার পৃষ্ঠে উপস্থিত নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন এবং রক্তরস বা প্লাজমায় উপস্থিত অ্যান্টিবডির ওপর ভিত্তি করে। অ্যান্টিজেন এমন প্রোটিন, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে সক্রিয় করতে পারে। ‘এ’ গ্রুপের রক্তের লোহিত রক্তকণিকায় ‘এ’ অ্যান্টিজেন থাকে এবং প্লাজমায় অ্যান্টিবডি ‘বি’ থাকে।

‘বি’ গ্রুপের লোহিত রক্তকণিকায় ‘বি’ অ্যান্টিজেন থাকে এবং প্লাজমায় অ্যান্টিবডি ‘এ’ থাকে। ‘এবি’ গ্রুপের লোহিত রক্তকণিকায় ‘এ’, ‘বি’ উভয় অ্যান্টিজেন থাকলেও প্লাজমায় কোনো অ্যান্টিবডি থাকে না। ‘ও’ গ্রুপের লোহিত রক্তকণিকায় কোনো ‘এ’ বা ‘বি’ অ্যান্টিজেন থাকে না। তবে এর প্লাজমায় ‘এ’, ‘বি’ উভয় অ্যান্টিবডিই উপস্থিত থাকে। অ্যান্টিজেন না থাকায ‘ও’ নেগেটিভ রক্তকে সর্বজনীন দাতা বলা হয়। ‘ও’ নেগেটিভ লোহিত রক্তকণিকায় কোনো ‘এ’, ‘বি’ বা আরএইচ অ্যান্টিজেন থাকে না। আর তাই এ রক্ত যেকোনো রক্ত গ্রুপের রোগীকে নিরাপদে দেওয়া যেতে পারে।

রক্তের গ্রুপ অজানা থাকলে অস্ত্রোপচারের সময় ‘ও’ নেগেটিভ গ্রুপের রক্তকে সাধারণ রক্তের গ্রুপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে ‘ও’ নেগেটিভ রক্তের গ্রুপের ব্যক্তিরা শুধু ‘ও’ নেগেটিভ রক্তই গ্রহণ করতে পারে। পৃথিবীর জনসংখ্যার মাত্র ৭ শতাংশ ব্যক্তির রক্তের গ্রুপ ‘ও’ নেগেটিভ হলেও ‘ও’ পজিটিভ রক্তের গ্রুপ রয়েছে ৩৮ শতাংশ ব্যক্তির। রেডক্রসের তথ্যমতে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের বেশি মানুষের রক্তের গ্রুপ পজিটিভ। তারা ‘ও’ পজিটিভ রক্ত গ্রহণ করতে পারে।

সূত্র: সায়েন্স ও সায়েন্স ফোকাস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প র রক ত রক ত র গ র প ট ভ রক ত

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে রূপান্তরিত সাঁতারুর পদক

দ্বিতীয় দফা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণের পর পররাষ্ট্রনীতিতে আরও কড়াকড়ি আরোপের মতো ক্রীড়াঙ্গনেও কঠোর নীতি চালু করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার মধ্যে একটি হলো মেয়েদের খেলায় রূপান্তরিত (ট্রান্সজেন্ডার) ক্রীড়াবিদদের নিষিদ্ধ করা।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের খড়্গ নেমে এসেছে লিয়া টমাসের ওপর। যুক্তরাষ্ট্রের এই রূপান্তরিত সাঁতারুর ব্যক্তিগত অর্জন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে তাঁর রেকর্ড মুছে ফেলার পাশাপাশি শিগগিরই পদক কেড়ে নেওয়া হবে।

রূপান্তরিত সাঁতারু লিয়া টমাসের পদক কেড়ে নেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ