রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অমীমাংসিত সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে গণশুনানি আয়োজনের অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বরাবরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান আজ বুধবার এ চিঠি পাঠান। তিনি বলেছেন, গণশুনানি আয়োজনের অনুরোধ জানিয়ে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে দুপুরে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে এ আইনজীবী বলেছেন, তিনি গভীরভাবে লক্ষ করছেন যে জাতীয় স্বার্থে গঠিত ঐকমত্য কমিশন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করে একটি সমন্বিত সংস্কার পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবিত সংস্কারবিষয়ক আলোচনায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনো কোনো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

আরও পড়ুনজুলাইয়ের মাঝামাঝি একটা অবস্থানে পৌঁছার ব্যাপারে আশাবাদী আলী রীয়াজ৪৭ মিনিট আগে

এসব অমীমাংসিত ইস্যুর মধ্যে নির্বাচনপদ্ধতির পরিবর্তন, সংসদীয় ক্ষমতার ভারসাম্য, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা, রাজনৈতিক অর্থায়নের স্বচ্ছতা, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, এসব ইস্যু দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাববাহী। কিন্তু শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সমঝোতার অভাবে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনির্ধারিত থাকলে তা একদিকে যেমন গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে, অন্যদিকে তেমনি সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা পূরণেও ঘাটতি থাকবে।

এ প্রেক্ষাপটে দেশের নাগরিক সমাজ, পেশাজীবী সংগঠন, আইনজীবী সমাজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক জনগণের মতামত সংগ্রহের উদ্দেশ্যে একটি বিস্তৃত গণশুনানি প্রক্রিয়া পরিচালনা করা জরুরি বলে বিশ্বাস করেন চিঠিদাতা এ আইনজীবী।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ক গণশ ন ন আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান প্রশ্নে রুল শুনানিতে ৭ অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ

রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে স্পিকারের শপথ পড়ানো–সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনীর বিধান প্রশ্নে রুল শুনানিতে মতামত জানাতে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে শীর্ষস্থানীয় সাত আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে শুনানির জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সাত আইনজীবীর নাম ঘোষণা করে শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে মনোনীত সাত আইনজীবী হলেন—জয়নুল আবেদীন, প্রবীর নিয়োগী, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, শাহদীন মালিক, আহসানুল করিম, মুস্তাফিজুর রহমান খান ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

রাষ্ট্রপতিকে দেশের প্রধান বিচারপতির শপথ পাঠ করানো-সংক্রান্ত বাহাত্তরের সংবিধানের বিধান পুনর্বহালে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জী গত ১০ মার্চ রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১১ মার্চ হাইকোর্ট রুল দেন।

‘রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতি শপথবাক্য পাঠ করাবেন’ বাদ দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর স্পিকারের পড়ানো-সংক্রান্ত বিধান কেন বায়াত্তরের মূল সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং সংশোধনীর অংশটুকু কেন বাতিল (শুরু থেকেই) হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

আইনসচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়। আজ রিটটি আদালতের কার্যতালিকায় ২৫ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ওমর ফারুক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদি হাসান।

পরে আইনজীবী ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘রুলের ওপর আংশিক শুনানি হয়েছে। রিট আবেদনকারীর পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে মতামত দিতে আজ আদালত শীর্ষস্থানীয় সাতজন আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছেন। রুল শুনানির জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদের খসড়া দলগুলোর কাছে
  • নতুন সংবিধানের দাবি পাশ কাটিয়ে গেছেন অধ্যাপক ইউনূস: আখতার হোসেন
  • সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে বিতর্কিত হতে পারে: বদিউল আলম
  • কাগজের লেখা রাজনৈতিক দলগুলো কতটা মানবে
  • ঐকমত‍্য কমিটি গঠনের পর
  • আদালত প্রাঙ্গণে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদক বহনে নিষেধাজ্ঞা
  • দুদকের নতুন আইনজীবী শাহদীন মালিক
  • রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান প্রশ্নে রুল শুনানিতে ৭ অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ
  • আইনে যা-ই থাকুক, প্রাধান্য পাবে জুলাই সনদের প্রস্তাব
  • পাথর তোলায় রাজনৈতিক দলের ‘ঐকমত্য’, পরে লুট, ঘটল কীভাবে