শুল্কহার বাড়ল, নড়েচড়ে বসেছে সব দেশ
Published: 9th, July 2025 GMT
গত ৯ জুলাই শুল্ক–যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলে কী হবে, তা নিয়ে বেশ কদিন থেকেই জল্পনা-কল্পনা ছিল। ট্রাম্প নিজেই তার অবসান ঘটালেন। গত সোমবার ১৪টি দেশকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দিলেন, আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে চাইলে কী হারে শুল্ক দিতে হবে।
এ ঘোষণার পর ট্রাম্প জানান, তিনি এই সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন, যদিও শতভাগ অনড় থাকবেন না, সে কথাও বলেছেন। সোমবারের এ ঘোষণায় দেখা যাচ্ছে, গত ২ এপ্রিলের ঘোষিত শুল্কের চেয়ে এবার কিছুটা কমেছে। যাদের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তারাও বসে নেই। সবাই আগে থেকেই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন নতুন করে আবার আলোচনা করবে তারা। খবর সিএনএন।
দেখা যাচ্ছে, সোমবারের ঘোষণায় বাংলাদেশের পণ্যে ৩৫ শতাংশ, বসনিয়া হার্জেগোভিনার পণ্যে ৩০ শতাংশ, কম্বোডিয়ার পণ্যে ৩৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার পণ্যে ৩২ শতাংশ, জাপানের পণ্যে ২৫ শতাংশ, কাজাখস্তানের পণ্যে ২৫ শতাংশ, লাওসের ৪০ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ২৫ শতাংশ, মিয়ানমারের ৪১ শতাংশ, সার্বিয়ায় ৩৫ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ার ২৫ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ৩৬ শতাংশ ও তিউনিসিয়ার পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এপ্রিলের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, বেশির ভাগ দেশের ক্ষেত্রেই শুল্কহার কিছুটা কমানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে কেবল মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে শুল্কহার অপরিবর্তিত আছে।
এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশের মূল প্রতিযোগী দেশ নেই। বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে চীন ও ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কাঠামোগত চুক্তি হয়েছে আরও আগেই। ভিয়েতনামের পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের শুল্কহার এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
চিঠিতে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, যদি কোনো দেশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর আরও বেশি শুল্ক বসাবে।চিঠিতে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, যদি কোনো দেশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর আরও বেশি শুল্ক বসাবে। এসব শুল্কহারের সঙ্গে খাতভিত্তিক শুল্ক আলাদা থাকবে, যেমন গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ যে শুল্ক আছে, তার সঙ্গে নতুন শুল্ক যোগ হবে না, এটি হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে। ভবিষ্যতে অন্য খাতে আলাদা শুল্ক এলেও তার ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে বারবার শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেও তাদের উদ্দেশে চিঠি পাঠানো হয়নি বলে ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র ওলোফ গিল বলেন, ‘যে চিঠি আমরা এখনো হাতে পাইনি, তা নিয়ে মন্তব্য করব না।’
আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী সায়মন হ্যারিস জানান, ‘আমার ধারণা, এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর মধ্যে পারস্পরিকভাবে লাভজনক সমঝোতা চূড়ান্ত করতে ১ আগস্ট পর্যন্ত স্থিতাবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।’
যেসব দেশ চিঠি পেয়েছে, তারা সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা গতকাল মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রিসভার টাস্কফোর্স বৈঠকে বসেন। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ ও শুল্কহার বাড়ানোর ঘোষণায় জাপান দুঃখ প্রকাশ করছে। তিনি বলেন, উভয় দেশের জন্য লাভজনক দ্বিপক্ষীয় চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। তবে বাজারে অতি অস্থিরতা দেখা দিলে সরকার ‘তাৎক্ষণিকভাবে দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে’। যদিও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা খোলাসা করা হয়নি।
থাইল্যান্ড এখনো ৩৬ শতাংশ শুল্কের সম্মুখীন। তবে দেশটির অর্থমন্ত্রী পিচাই চুনহাভাজিরা বলেন, শুল্কের হার আরও প্রতিযোগিতামূলক করা যাবে; এ নিয়ে আলোচনা সম্ভব। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
মালয়েশিয়া জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘সুষম ও পারস্পরিক লাভজনক’ চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেন, ‘কূটনৈতিক উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে’। একই সঙ্গে তিনি দেশীয় উদ্যোক্তাদের বৈচিত্র্যময় বাজার গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন। রামাফোসার ভাষায়, দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ‘ভুল বাণিজ্য তথ্যের ভিত্তিতে’।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, যে ১৪টি দেশকে সোমবার চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাদের কাছ থেকে গত বছর ৪৬৫ বিলিয়ন বা ৪৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ২৮০ বিলিয়ন বা ২৮ হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে।
এই শুল্ক বৃদ্ধি সরাসরি মার্কিন ভোক্তাদের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান থেকে আমদানি করা শীর্ষ পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে গাড়ি, গাড়ির যন্ত্রাংশ, চিপস, ওষুধ ও যন্ত্রপাতি। এর অনেকগুলোর ওপর ট্রাম্প এরই মধ্যে শুল্ক আরোপ করেছেন বা করতে যাচ্ছেন।
এপ্রিল মাসে জাপানকে ২৪ শতাংশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। এখন উভয়ের জন্যই ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য দেশের রপ্তানির পরিমাণ তুলনামূলক কম হলেও তারা অনেক সময় নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের প্রধান সরবরাহকারী।
দক্ষিণ আফ্রিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্লাটিনামের প্রধান উৎস। গত বছর আমদানি করা প্লাটিনামের প্রায় অর্ধেকই এসেছে সেখান থেকে। তাদের পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিপ সরবরাহকারী। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ১৮ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৮০০ ডলারের চিপ আমদানি করেছে মালয়েশিয়া থেকে। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো ট্রাম্পের চিঠিতে ৩৬ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই হার এপ্রিলের হারের চেয়ে ১৩ শতাংশীয় পয়েন্ট কম।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র মন ত র আমদ ন র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
শুল্কহার বাড়ল, নড়েচড়ে বসেছে সব দেশ
গত ৯ জুলাই শুল্ক–যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলে কী হবে, তা নিয়ে বেশ কদিন থেকেই জল্পনা-কল্পনা ছিল। ট্রাম্প নিজেই তার অবসান ঘটালেন। গত সোমবার ১৪টি দেশকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দিলেন, আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে চাইলে কী হারে শুল্ক দিতে হবে।
এ ঘোষণার পর ট্রাম্প জানান, তিনি এই সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন, যদিও শতভাগ অনড় থাকবেন না, সে কথাও বলেছেন। সোমবারের এ ঘোষণায় দেখা যাচ্ছে, গত ২ এপ্রিলের ঘোষিত শুল্কের চেয়ে এবার কিছুটা কমেছে। যাদের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তারাও বসে নেই। সবাই আগে থেকেই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন নতুন করে আবার আলোচনা করবে তারা। খবর সিএনএন।
দেখা যাচ্ছে, সোমবারের ঘোষণায় বাংলাদেশের পণ্যে ৩৫ শতাংশ, বসনিয়া হার্জেগোভিনার পণ্যে ৩০ শতাংশ, কম্বোডিয়ার পণ্যে ৩৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার পণ্যে ৩২ শতাংশ, জাপানের পণ্যে ২৫ শতাংশ, কাজাখস্তানের পণ্যে ২৫ শতাংশ, লাওসের ৪০ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ২৫ শতাংশ, মিয়ানমারের ৪১ শতাংশ, সার্বিয়ায় ৩৫ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ার ২৫ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ৩৬ শতাংশ ও তিউনিসিয়ার পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এপ্রিলের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, বেশির ভাগ দেশের ক্ষেত্রেই শুল্কহার কিছুটা কমানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে কেবল মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে শুল্কহার অপরিবর্তিত আছে।
এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশের মূল প্রতিযোগী দেশ নেই। বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে চীন ও ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কাঠামোগত চুক্তি হয়েছে আরও আগেই। ভিয়েতনামের পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের শুল্কহার এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
চিঠিতে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, যদি কোনো দেশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর আরও বেশি শুল্ক বসাবে।চিঠিতে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, যদি কোনো দেশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর আরও বেশি শুল্ক বসাবে। এসব শুল্কহারের সঙ্গে খাতভিত্তিক শুল্ক আলাদা থাকবে, যেমন গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ যে শুল্ক আছে, তার সঙ্গে নতুন শুল্ক যোগ হবে না, এটি হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে। ভবিষ্যতে অন্য খাতে আলাদা শুল্ক এলেও তার ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে বারবার শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেও তাদের উদ্দেশে চিঠি পাঠানো হয়নি বলে ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র ওলোফ গিল বলেন, ‘যে চিঠি আমরা এখনো হাতে পাইনি, তা নিয়ে মন্তব্য করব না।’
আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী সায়মন হ্যারিস জানান, ‘আমার ধারণা, এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর মধ্যে পারস্পরিকভাবে লাভজনক সমঝোতা চূড়ান্ত করতে ১ আগস্ট পর্যন্ত স্থিতাবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।’
যেসব দেশ চিঠি পেয়েছে, তারা সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা গতকাল মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রিসভার টাস্কফোর্স বৈঠকে বসেন। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ ও শুল্কহার বাড়ানোর ঘোষণায় জাপান দুঃখ প্রকাশ করছে। তিনি বলেন, উভয় দেশের জন্য লাভজনক দ্বিপক্ষীয় চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। তবে বাজারে অতি অস্থিরতা দেখা দিলে সরকার ‘তাৎক্ষণিকভাবে দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে’। যদিও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা খোলাসা করা হয়নি।
থাইল্যান্ড এখনো ৩৬ শতাংশ শুল্কের সম্মুখীন। তবে দেশটির অর্থমন্ত্রী পিচাই চুনহাভাজিরা বলেন, শুল্কের হার আরও প্রতিযোগিতামূলক করা যাবে; এ নিয়ে আলোচনা সম্ভব। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
মালয়েশিয়া জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘সুষম ও পারস্পরিক লাভজনক’ চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেন, ‘কূটনৈতিক উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে’। একই সঙ্গে তিনি দেশীয় উদ্যোক্তাদের বৈচিত্র্যময় বাজার গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন। রামাফোসার ভাষায়, দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ‘ভুল বাণিজ্য তথ্যের ভিত্তিতে’।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, যে ১৪টি দেশকে সোমবার চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাদের কাছ থেকে গত বছর ৪৬৫ বিলিয়ন বা ৪৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ২৮০ বিলিয়ন বা ২৮ হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে।
এই শুল্ক বৃদ্ধি সরাসরি মার্কিন ভোক্তাদের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান থেকে আমদানি করা শীর্ষ পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে গাড়ি, গাড়ির যন্ত্রাংশ, চিপস, ওষুধ ও যন্ত্রপাতি। এর অনেকগুলোর ওপর ট্রাম্প এরই মধ্যে শুল্ক আরোপ করেছেন বা করতে যাচ্ছেন।
এপ্রিল মাসে জাপানকে ২৪ শতাংশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। এখন উভয়ের জন্যই ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য দেশের রপ্তানির পরিমাণ তুলনামূলক কম হলেও তারা অনেক সময় নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের প্রধান সরবরাহকারী।
দক্ষিণ আফ্রিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্লাটিনামের প্রধান উৎস। গত বছর আমদানি করা প্লাটিনামের প্রায় অর্ধেকই এসেছে সেখান থেকে। তাদের পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিপ সরবরাহকারী। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ১৮ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৮০০ ডলারের চিপ আমদানি করেছে মালয়েশিয়া থেকে। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো ট্রাম্পের চিঠিতে ৩৬ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই হার এপ্রিলের হারের চেয়ে ১৩ শতাংশীয় পয়েন্ট কম।