দীর্ঘদিন ধরেই মাদক কারবার, সেবন ও বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের কাজে স্থানীয় পর্যায়ে দাপট দেখিয়ে আসছিলেন নবীগঞ্জের জিয়াপুর এলাকার বাসিন্দা রায়েছ মিয়া। প্রশাসনের বার বার চেষ্টার পরও বাগে আনা সম্ভব হচ্ছিল না পরিবার নিয়ে গ্রামে মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তোলা রায়েছকে। অবশেষে অবৈধ মাদকের ডেরা ভাঙতে সেনাবাহিনীর চালানো বিশেষ অভিযানে ধরা পড়েছে চক্রের প্রধান।

মাদকের কারবার বিস্তৃত করতে ও স্থানীয় পর্যায়ে আধিপত্য ধরে রাখতে নিজের গোটা পরিবারকে মাদক কারবারে যুক্ত করেন রায়েছ।

স্থানীয়দের ভাষ্য, বিভিন্ন সময় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও অসৎ প্রশাসনিক ব্যক্তিদের সহায়তায় প্রশাসনের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যেতেন তিনি। রায়েছ ও তার পরিবারের কারণে গোটা গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মাদকের ভয়াবহতা।

২ জুলাই সেনাবাহিনী রায়েছ আলীকে মাদকের চালানসহ আটকের পর বেরিয়ে আসে তার সপরিবারে মাদক কারবারে জড়ানোর বিস্তারিত তথ্য। এ ছাড়া তার মা খাদিজা বেগমের দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওতে তিনি জানান, তার ছেলে একা নয়; বাড়ির সবাই মাদক কারবারে জড়িত।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) হবিগঞ্জের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রায়েছ ও তার পরিবারের নাম। অধিদপ্তর বলছে, রায়েছের বাবা ও এক ভাই বহুবার মাদক কারবারে জড়িত থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। বাবার মৃত্যুর পর তার স্থানে আসেন রায়েছ।

২ জুন রায়েছ সেনাবাহিনীর কাছে ২৯ কেজি গাঁজা ও নগদ ১ লাখ ৬ হাজার ১০০ টাকাসহ আটক হওয়ার পর পরই তার পারিবারিক দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। ধারণা করা হয়, বার বার আইনের চোখে ধুলা দেওয়া রায়েছ সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে তারই ছোট ভাই কয়েছ আলী ইমনের সহায়তায়। এ ব্যাপারে ইমন বলেন, তিনি এসবের সঙ্গে জড়িত নন।

রায়েছের স্ত্রী রুপনা বলেন, রায়েছের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া গাঁজা ইমনের। মুনাফার ভাগ না দেওয়ার জন্য কৌশলে সে ধরিয়ে দিয়েছে রায়েছকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

কর ফাঁকির দায়ে আনচেলত্তির এক বছরের কারাদণ্ড

কর ফাঁকির দায়ে ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন স্পেনের একটি আদালত। পাশাপাশি প্রায় চার লাখ ইউরো আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে তাঁকে।

৬৬ বছর বয়সী আনচেলত্তি মে মাসে ব্রাজিল কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন। এর আগে ২০১৩ থেকে ২০১৫ ও ২০২১ থেকে ২০২৫ সময়ে দুই দফায় স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের কোচ ছিলেন তিনি।

স্পেনের কর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল, ইতালিয়ান এই কোচ ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ইমেজ স্বত্ব ও অন্যান্য উৎস থেকে যে অর্থ আয় করেছিলেন, তা গোপন করে ১০ লাখ ইউরোর বেশি কর বিভাগকে পরিশোধ করেননি।  

এপ্রিলে বিচার কার্যক্রম শুরু হলে আনচেলত্তি আদালতকে বলেছিলেন, বেতনবহির্ভূত আয়ের বিষয়গুলো দেখভালের দায়িত্ব তিনি তাঁর ব্রিটিশ উপদেষ্টা ও ক্লাব কর্তৃপক্ষের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। ‘প্রতারণা হয়ে থাকতে পারে’ এমন কিছু তিনি কখনোই করেননি। বিপরীতে স্পেনের কর কর্তৃপক্ষ আনচেলত্তিকে দোষী অভিযোগ করে তাঁর ৪ বছর ৯ মাস কারাদণ্ডের আবেদন করে।

আরও পড়ুনক্লাব বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে এগিয়ে যে দুজন০৭ জুলাই ২০২৫

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বুধবার স্পেনের আদালত আনচেলত্তিকে ২০১৪ সালের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছেন। ‘কর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অপরাধ’–এর দায়ে আনচেলত্তিকে ১২ মাসের কারাদণ্ড ও ৩ লাখ ৮৬ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। তবে ২০১৫ সালের অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

তবে স্পেনের আইন অনুযায়ী যেসব অপরাধ হিংসাত্মক নয় এবং অপরাধী আগে কখনো দণ্ডিত হননি, তাঁদের ক্ষেত্রে দুই বছরের নিচের কারাদণ্ড সাধারণত জেলে কাটাতে হয় না। ফলে আনচেলত্তিকে কারাভোগ করতে হবে না।

আরও পড়ুনআর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, ইংল্যান্ডের কোচরা কে কত টাকা বেতন পান১৫ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ