হাতুড়ি নিয়ে যুবদল নেতাকে যুবলীগ নেতার ধাওয়া
Published: 8th, August 2025 GMT
ঢাকার ধামরাইয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা মো. মিজানুর রহমান। বিষয়টি জানতে পেরে বাঁধা দিতে গেলে ধস্তাধস্তি হয় স্থানীয় যুবদল নেতা লিটন মাহমুদ মুরাদের সঙ্গে। একপর্যায়ে তাকে পরবর্তীতে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন ওই যুবলীগ নেতা।
পর দিন আগেই ওৎ পেতে থেকে লিটনকে আসতে দেখে তাকে হাতুড়িসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া দেন মিজানুর তার ভাই ও ভাগ্নে। সেখান থেকে পালিয়ে একটি বসতবাড়িতে আশ্রয় নেন লিটন। এরপর স্থানীয়রা গিয়ে লিটনকে উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে খবর পেয়ে পুলিশ এলে তাদের সামনেই লিটনকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলেন, “ওর হাত-পা ভাইঙ্গা তারপর জেলে যামু।” সেখানে থাকা পুলিশ তাকে আটক করে পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ধামরাইয়ের আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়।
গত ২২ জুলাই ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের তেলিগ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ধামরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। পরবর্তীতে তিনি যুবলীগে যোগ দেন। ধামরাই উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলামের অনুসারী ছিলেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ এক নেতাও। মিজানুরের ফেসবুক আইডিতেও আওয়ামী লীগের পক্ষে নানা পোস্ট দেখা যায়।
ভুক্তভোগী লিটন মাহমুদ মুরাদ ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের তেলিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তিনি বালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেকসহ দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) তেলিগ্রাম এলাকায় গিয়ে কথা হয় এলাকাবাসীর সঙ্গে। তারা জানান, ২০০৬ সালের দিকে ঘোষিত বালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন মো.
লিটন মাহমুদ মুরাদের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই তেলিগ্রামের ব্রিজের পাশে একটি স্থানে মিজানুর রহমানসহ আরও ৮-১০ জন বৈঠক করেন। তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে একটি মিছিলের প্রস্তুতি নেন। বিষয়টি জানতে পেরে সেখান যান লিটনসহ আরও কয়েকজন। তারা মিজানুরদের বাঁধা দিতে গেলে একপর্যায়ে সেখানে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।
পরে আশপাশের লোকজন এসে তাদের থামিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। তবে মিজানুর সেসময় লিটনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এর পরের দিন বিকেলের দিকে তেলিগ্রাম স্ট্যান্ডের দিকে আসার সময় তিনি দেখতে পান আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা মিজানুর রহমান, তার ভাই মতিয়ার রহমান মুক্তার ও ভাগ্নে স্বপন হোসেন হাতুড়ি নিয়ে তার দিকে ধেয়ে আসছেন।
আতঙ্কিত হয়ে তিনি দৌড়ে পার্শ্ববর্তী আক্কাস নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। পরে তিনি ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতেই মিজানুর রহমান লিটনকে হত্যার হুমকি দেন। একপর্যায়ে পুলিশ মিজানুরকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। পরে তারা মিজানুরের আওয়ামী লীগের মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন ও লিটনকে হাতুড়িসহ ধাওয়া দেওয়ার বিষয়টিও জানতে পারেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে ধামরাই থানায় আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
লিটনকে হাতুড়িসহ ধাওয়া দেওয়ার ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী তেলিগ্রাম স্ট্যান্ডের মুদি দোকানি আব্দুর রশিদ। তিনি বলেন, “আমি দোকানে ছিলাম। হঠাৎ লিটনকে রাস্তায় আসতে দেখে হাতুড়ি হাতে নিয়ে তাকে মিজান তার ভাই ও ভাতিজা ধাওয়া দেয়। পুলিশ আসার পরও মিজানুর তাকে হুমকিধামকি দিচ্ছিল।”
লিটনকে আশ্রয় দেওয়া আক্কাস আলীর স্ত্রী পঞ্চাশোর্ধ জোসনা বেগম বলেন, “লিটন দৌড়ায়া আসছে, তারে মিজানুর, তার ভাই ও ভাগ্নে হাতুড়ি দিয়ে মারতে আসছে। আমরা লিটনকে দরজা বন্ধ করে বাঁচাই। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাকে নিয়া যায়।”
এদিকে এ ঘটনায় এখনও আতঙ্কগ্রস্ত ভুক্তভোগী যুবদল নেতা লিটন মাহমুদ মুরাদ। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের মিছিল ঠেকানোর কারণে যুবলীগ নেতা আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। আমাকে হাতুড়ি নিয়ে ধাওয়া দেয়। পালিয়ে আমি রক্ষা পাই। আমি এখনও হুমকির মধ্যে আছি। আমি যুবলীগ নেতা মিজানুরের শাস্তির দাবি জানাই।”
ছেলেকে হাতুড়ি দিয়ে ধাওয়া দেওয়ার ঘটনায় আতঙ্কিত লিটনের বাবা কফিল উদ্দিন বলেন, “আমার ছেলেকে যুবলীগ নেতা হত্যার চেষ্টা করলো। আমি এর বিচার চাই। জুলাই-আগস্টে তারা মানুষ হত্যা করছে। এখনও সেই চেষ্টা চালাচ্ছে।”
ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি মিজানুর লিটনকে হুমকি দিচ্ছেন। তাকে আটক করি। তারপর এলাকাবাসীর কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি, মিজানুর আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেটি নিয়ে যুবদল নেতা লিটনের সঙ্গে তার বিরোধ হয়। সেদিন রাতে লিটনের বাড়িতে আগুন দেয় মিজানুর। আর পর দিন লিটনকে হাতুড়িসহ ধাওয়া দেয় মিজানুর, তার ভাই ও ভাতিজা। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি দেখে মিজানুরের সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। পরে মিজানুরকে আটক করা হয়।”
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, “মিজানুর রহমান একসময় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সাবেক সংসদ সদস্য এমএ মালেকের অনুসারী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলামের সাথে রাজনীতি করতো। গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্টের যত অপকর্ম, সেগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিল। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ ঘোষিত হরতালের সময় সে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। এতে স্থানীয় ছাত্রদল যুবদলের নেতাকর্মীরা তাকে বাধা দেয়। পরবর্তীতে ২২ জুলাই সে যুবদলের এক নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে ধাওয়া দেয়।”
তিনি আরো বলেন, “খবর পেয়ে কাওয়ালীপাড়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সেখানে গিয়ে তার হাতে হাতুড়ি দেখতে পায়। তাকে নিবৃত করার জন্য আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, সে ছাত্রলীগ, যুবলীগের প্রভাব ব্যবহার করে নানা অপকর্মে জড়িত ছিল। ৫ আগস্ট ২০২৪ এ থানা এলাকায় মারামারি ও গোলাগুলিতে সে উপস্থিত ছিল বলেও জানা যায়। পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ধামরাইয়ে সাদ হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে। লিটনের করা অভিযোগটিও তদন্ত করা হচ্ছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, যুবলীগের ছত্রছায়ায় জালিয়াতি, হয়রানিসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিল মিজানুর রহমান।
স্থানীয় আতাউর রহমান বলেন, “মিজানুরের বোন জামাই আবুল নিজের জমি একটি ব্যাংকে রেখে ঋণগ্রহণ করে। পরে সেই তথ্য লুকিয়ে তিনি জমিটি একজনের কাছে বিক্রি করেন। ওই ব্যক্তি আগের দলিল চাইলে মিজানুর তাকে বলেন, দলিল আতাউরের কাছে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক বিচার বসে। সেখানেও মিজানুর দলিল আতাউরের কাছে রয়েছে দাবি করে তাকে হয়রানি করেন। পরে বিচার সংশ্লিষ্টরা দলিল উদ্ধার করতে গেলে সেটি বালিয়া কৃষি ব্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়। সেখানে দলিল জমা রেখে আবুল হোসেন ঋণগ্রহণ করেন।”
ঢাকা/আরিফ/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ছ ল র প রস ত ত ম জ ন র রহম ন য বল গ ন ত য বদল ন ত একপর য য় পরবর ত ত য বল গ র হ ত ড় সহ ল ইসল ম খবর প য় ল টন র হত য র ন ল টন আগস ট আওয় ম ব ষয়ট ল টনক
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লার সেই বিএনপিকর্মী ইব্রাহিম মারা গেছেন
ফতুল্লার বিএনপি কর্মী ইব্রাহিম (৫২) মারা গেছেন। সে ফতুল্লা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ছিলেন। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীনবস্থায় মারা যান।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে হাজিগঞ্জ জামে মসজিদে নিহতের নামাজের জানাজা শেষে পাঠানটুলি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত ইব্রাহিম ফতুল্লা থানার ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড হাজীগঞ্জের আব্দুল জলিলের পুত্র। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।
জানা যায়,২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে বিএনপির ডাকা মহা সমাবেশে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও যুবদলের ব্যানারে সে অংশগ্রহণ করে।
সমাবেশের শেষের দিকে মুল মঞ্চের পেছনের দিকে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা,কর্মীও সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ হয়। সে সময় পুলিশ বিএনপি নেতা- কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ইব্রাহিম পুলিশের হামলায় মারাত্নক আহত হয়ে রাস্তায় পরে থাকে। সে সময় সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। ঘটনার চারদিন পর তার সহোযোগিরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে খুঁজে পায়। দীর্ঘদিন সহোযোগিরা নিজেদের অর্থায়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর আল বারাকা নামের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা করায়।
পরবর্তীতে ইব্রাহিমকে নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন হলে বিএনপি নেতা ও শিল্পপতি আবু জাফর আহমেদ বাবুল তার চিকিৎসার দ্ধায়িত্ব নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পিজি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেই রোববার রাতে তিনি মারা যান।
ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ পারভেজ মিয়া জানান,নিহত ইব্রাহিম ২০২৩ সালে ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঘোষিত পল্টন পার্টি অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি ও ইউনিয়ন যুবদলের সাথে ঢাকায় গিয়েছিলেন ।
সমাবেশ চলাকালে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন টিপু ও নিহত ইব্রাহিম এবং তিনি সহ আরো নেতা-কর্মীরা পল্টন পার্টি অফিস সংলগ্ন চায়না টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ পুলিশ তাদের উপর চড়াও হয়। এতে করে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পরে।
অতর্কিত হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর প্রায় চার দিন পর পত্রিকার নিউজে দেখতে পায় ইব্রাহিম নামে একজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সেই সংবাদের পর তার পরিবারের লোকজন এবং ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রওশন আলী ঢাকা মেডিকেলে খোঁজ নেওয়ার পরে তারা নিশ্চিত হন যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে থাকা চিকিৎসারতি হচ্ছে তাদের নিখোঁজ ইব্রাহিম।
ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসা শেষ করে তাকে বাসায় আনা হয়। বাসায় আনার পরে উনি আবার অসুস্থ হয়ে পরে। ফলে ৮ নং ওয়ার্ডের সকল নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় পুনরায় তাকে মদনপুর আল বারাকা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় তিন মাস চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পরেন।
এমতাবস্থায় নাসিক ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক রিপন তাকে দেখতে আসলে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ পায়। প্রকাশিত সংবাদের পর বিএনপি নেতা শিল্পপতি প্রাইম বাবুল ভাই তার চিকিৎসার দ্ধায়িত্ব নেন।
বাবুল ভাই নিজে এসে তার দাত্ব নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পিজি হাসপাতালে ভর্তি করান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমান ১১ টা ৪০ মিনিটের সময় তিনি ইন্তেকাল করেন।