ধূমপানের বদভ্যাসের কথা খোলাখুলি স্বীকার করেছেন আমির খান। নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর সাবেক স্ত্রী কিরণ রাও সিগারেটের ধোঁয়া ভীষণ অপছন্দ করতেন। এবার অভিনেতা জানালেন ধূমপান ছাড়ার কথা। গতকাল মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন আমির। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের

গতকাল শুক্রবার ছেলে জুনায়েদ খানের নতুন রোমান্টিক–কমেডি সিনেমা ‘লাভইয়াপা’র ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠান ছিল। এ অনুষ্ঠানেই আমির ধূমপান ছাড়ার কথা বলেন। ষাটের দোরগোড়ায় এসে স্বাস্থ্য আর পরিবারের কথা চিন্তা করে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমির। অভিনেতা জানান, তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই ছেড়ে সিগারেটের নেশা ত্যাগ করার কথা ভাবছিলেন।

শুক্রবার রাতেও আমির স্বীকার করেছেন যে তিনি ধূমপান ‘উপভোগ করেন’, বছরের পর বছর ধরে এতে আসক্ত। তবে এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক তরুণ প্রজন্মকে বারবার স্মরণ করান ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’।

ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে আমির খান, খুশি কাপুর, অদ্বৈত চন্দন ও জুনায়েদ খান। এএনআই.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জাতিসংঘ সংস্থাসমূহের সহযোগিতার আশ্বাস

বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ, মানসিক স্বাস্থ্য এবং আঘাত প্রতিরোধে বহুখাতীয় কর্মঅগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ উদ্যোগে জাতিসংঘ সংস্থাসমূহের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

সভায় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা সরকারের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের জাতীয় বহুখাতীয় কর্মপরিকল্পনা (মাল্টিসেক্টোরাল অ্যাকশন প্ল্যান) ও ‘যৌথ ঘোষণা’র সঙ্গে তাদের কর্মসূচি সামঞ্জস্যপূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পুরাতন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। 

সভায় সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা: ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর’স অফিস, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, ডব্লিউএফপি, ইউএনএফপিএ, এফএও, আইওএম, আইএলও, ইউএনওপিএস এবং ইউএনআইডিও-এর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশ বা এর বেশি মৃত্যুর জন্য হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসতন্ত্রের রোগ এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাসহ অসংক্রামক রোগসমূহ দায়ী। যার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি অকালমৃত্যু। এই ক্রমবর্ধমান রোগ দেশের অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা, পরিবারিক আর্থিক নিরাপত্তা এবং জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে।

পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলাদেশ সরকার ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে ৩৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের যৌথ অংশগ্রহণে একটি ‘যৌথ ঘোষণা’ স্বাক্ষর করে। এই ঘোষণাকে অসংক্রামক রোগ, মানসিক স্বাস্থ্য এবং আঘাত প্রতিরোধে একটি সমন্বিত ‘হোল-অব-গভর্নমেন্ট’ পদ্ধতির ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বলেন, ‘যৌথ ঘোষণা’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী বহুখাতীয় ভিত্তি গড়ে তুলেছে। তবে এর সফল বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘ ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বিত, সুসংগঠিত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সহায়তা অপরিহার্য। 

তিনি উল্লেখ করেন, ২০টিরও বেশি জাতিসংঘ সংস্থা খাদ্য ব্যবস্থা, শিক্ষা, নগরায়ন, জলবায়ু সহনশীলতা, শ্রম, লিঙ্গ সমতা এবং সামাজিক সুরক্ষাসহ এমন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে, যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অসংক্রামক রোগের নির্ধারকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পুনরাবৃত্তি এড়াতে এবং সব মন্ত্রণালয়ে অভিন্ন বার্তা পৌঁছাতে আরো সমন্বয় জোরদারের আহ্বান জানান তিনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ উপপ্রতিনিধি ডা. রাজেশ নারওয়াল- সরকার এবং জাতিসংঘ অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বিত ও বহুখাতীয় প্রতিক্রিয়া গড়ে তুলতে কারিগরি সহায়তা ও নীতিগত পরামর্শ প্রদানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

তিনি বলেন, অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় ‘হেলথ ইন অল পলিসিজ’ নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যা সব খাতের ধারাবাহিক ও সক্রিয় সম্পৃক্ততা দাবি করে।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা সমন্বয় জোরদার, যৌথ কর্মসূচি শক্তিশালীকরণ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ও সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা (ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ) অর্জন ত্বরান্বিত করতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঢাকা/এএএম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ