ছেলেকে পাশে রেখে ধূমপান ছাড়ার ঘোষণা আমির খানের
Published: 11th, January 2025 GMT
ধূমপানের বদভ্যাসের কথা খোলাখুলি স্বীকার করেছেন আমির খান। নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর সাবেক স্ত্রী কিরণ রাও সিগারেটের ধোঁয়া ভীষণ অপছন্দ করতেন। এবার অভিনেতা জানালেন ধূমপান ছাড়ার কথা। গতকাল মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন আমির। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
গতকাল শুক্রবার ছেলে জুনায়েদ খানের নতুন রোমান্টিক–কমেডি সিনেমা ‘লাভইয়াপা’র ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠান ছিল। এ অনুষ্ঠানেই আমির ধূমপান ছাড়ার কথা বলেন। ষাটের দোরগোড়ায় এসে স্বাস্থ্য আর পরিবারের কথা চিন্তা করে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমির। অভিনেতা জানান, তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই ছেড়ে সিগারেটের নেশা ত্যাগ করার কথা ভাবছিলেন।
শুক্রবার রাতেও আমির স্বীকার করেছেন যে তিনি ধূমপান ‘উপভোগ করেন’, বছরের পর বছর ধরে এতে আসক্ত। তবে এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক তরুণ প্রজন্মকে বারবার স্মরণ করান ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’।
ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে আমির খান, খুশি কাপুর, অদ্বৈত চন্দন ও জুনায়েদ খান। এএনআই.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাহফুজ ও আসিফের বিরুদ্ধে মিছিল, নেতৃত্বে এনসিপি থেকে বহিষ্কৃত মুনতাসির
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এর তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ঢাকার সড়কে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এ বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে বহিষ্কৃত মুনতাসির মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে এই বিক্ষোভ হয়। মিছিলের ব্যানারে আয়োজক হিসেবে লেখা ছিল ‘তৃণমূল এনসিপি’। এর আগে বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে ‘তৃণমূল এনসিপি’ গঠনের ঘোষণা দেন মুনতাসির মাহমুদ।
মিছিলের পর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। সেখানে মুনতাসির মাহমুদ বলেন, দুজন ছাত্র উপদেষ্টা (মাহফুজ ও আসিফ) জুলাইয়ের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সরকারে গেলেও তাঁরা জুলাইয়ের প্রতিশ্রুতি রাখেননি। তাঁরা ‘সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে জুলাইয়ের সঙ্গে গাদ্দারি’ করেছেন। তাই সুনির্দিষ্ট দাবি হলো, তাঁরা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে যত নিয়োগ হয়েছে, যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যেসব টেন্ডার দেওয়া হয়েছে, সেগুলোতে কারা কাজ পেয়েছেন, কিসের বিনিময়ে পেয়েছেন, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।
মুনতাসির আরও বলেন, দুই ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করে বলেছেন, তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। কিন্তু জেন-জি প্রজন্ম জানে, দুর্নীতির টাকা কেউ অ্যাকাউন্টে রাখে না। এই টাকা তাঁরা কোথায় পাচার করেছেন, নাকি বিটকয়েনে রেখেছেন, সেটা দুদককে তদন্ত করে বের করতে হবে।
প্রসঙ্গত, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর মুনতাসির মাহমুদ রেড ক্রিসেন্টে উপপরিচালক পদে চাকরি পেয়েছিলেন। আর উপদেষ্টা মাহফুজের ভাই মাহবুব আলম রেড ক্রিসেন্টের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রেড ক্রিসেন্টে মুনতাসির মাহমুদের চাকরিটি ছিল অস্থায়ী। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কয়েক দিন ধরে রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে রাজধানীর মগবাজারে প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ করছিলেন মুনতাসির।
আরও পড়ুনবিদায়ী দুই উপদেষ্টা সরকারে থেকে কেমন করলেন৯ ঘণ্টা আগেএনসিপির পক্ষ থেকে নিষেধ করার পরও গত ১২ অক্টোবর লোকজন নিয়ে মুনতাসির সেখানে বিক্ষোভ করেন। ওই দিন রেড ক্রিসেন্টের বোর্ড সভায় তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। বোর্ড সভায় উপদেষ্টার ভাই মাহবুব আলমও ছিলেন। সভার পর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে বের হতে গেলে তাঁকে অবরুদ্ধ করেন মুনতাসির মাহমুদের অনুসারীরা।
সেদিনই মুনতাসিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও পদ থেকে অব্যাহতির চিঠি ফেসবুকে প্রকাশ করে এনসিপি। এর পর থেকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্টে বিভিন্ন অভিযোগ করছিলেন মুনতাসির। সম্প্রতি এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের বিরুদ্ধেও তিনি দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন ফেসবুকে।
আরও পড়ুনমাহফুজ ও আসিফ কি স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন নাকি কোনো দলে যাচ্ছেন৭ ঘণ্টা আগে