ধূমপানের বদভ্যাসের কথা খোলাখুলি স্বীকার করেছেন আমির খান। নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর সাবেক স্ত্রী কিরণ রাও সিগারেটের ধোঁয়া ভীষণ অপছন্দ করতেন। এবার অভিনেতা জানালেন ধূমপান ছাড়ার কথা। গতকাল মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন আমির। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের

গতকাল শুক্রবার ছেলে জুনায়েদ খানের নতুন রোমান্টিক–কমেডি সিনেমা ‘লাভইয়াপা’র ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠান ছিল। এ অনুষ্ঠানেই আমির ধূমপান ছাড়ার কথা বলেন। ষাটের দোরগোড়ায় এসে স্বাস্থ্য আর পরিবারের কথা চিন্তা করে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমির। অভিনেতা জানান, তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই ছেড়ে সিগারেটের নেশা ত্যাগ করার কথা ভাবছিলেন।

শুক্রবার রাতেও আমির স্বীকার করেছেন যে তিনি ধূমপান ‘উপভোগ করেন’, বছরের পর বছর ধরে এতে আসক্ত। তবে এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক তরুণ প্রজন্মকে বারবার স্মরণ করান ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’।

ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে আমির খান, খুশি কাপুর, অদ্বৈত চন্দন ও জুনায়েদ খান। এএনআই.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়ার জন্য শুক্রবার সারা দেশে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান সরকারের

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য সারা দেশে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। 

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সোয়া ৯টার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করে আগামী শুক্রবার বাদ জুমা দেশের সকল মসজিদে দোয়ার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

পাশাপাশি মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়ে সংশ্লিষ্ট ধর্মের রীতি ও আচার অনুযায়ী প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়েছে।

একই সঙ্গে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া ও প্রার্থনার জন্য অনুরোধ করে সরকার। 

এর আগে গত ২ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভা ডেকে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন জন্য জাতির কাছে দোয়া চেয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার।

এছাড়া, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার খোঁজ খবর নিতে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে যান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবার সার্বিক খোঁজ-খবর নেন। 

এর আগে মঙ্গলবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।

৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২৩ নভেম্বর দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, তার হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।

চিকিৎসকরা এখনো খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থাকে ‘গুরুতর’ হিসেবে বিবেচনা করছেন। 

ঢাকা/ইভা   

সম্পর্কিত নিবন্ধ