ধূমপানের বদভ্যাসের কথা খোলাখুলি স্বীকার করেছেন আমির খান। নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর সাবেক স্ত্রী কিরণ রাও সিগারেটের ধোঁয়া ভীষণ অপছন্দ করতেন। এবার অভিনেতা জানালেন ধূমপান ছাড়ার কথা। গতকাল মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন আমির। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের

গতকাল শুক্রবার ছেলে জুনায়েদ খানের নতুন রোমান্টিক–কমেডি সিনেমা ‘লাভইয়াপা’র ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠান ছিল। এ অনুষ্ঠানেই আমির ধূমপান ছাড়ার কথা বলেন। ষাটের দোরগোড়ায় এসে স্বাস্থ্য আর পরিবারের কথা চিন্তা করে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমির। অভিনেতা জানান, তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই ছেড়ে সিগারেটের নেশা ত্যাগ করার কথা ভাবছিলেন।

শুক্রবার রাতেও আমির স্বীকার করেছেন যে তিনি ধূমপান ‘উপভোগ করেন’, বছরের পর বছর ধরে এতে আসক্ত। তবে এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক তরুণ প্রজন্মকে বারবার স্মরণ করান ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’।

ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে আমির খান, খুশি কাপুর, অদ্বৈত চন্দন ও জুনায়েদ খান। এএনআই.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাফেলোতে মসজিদের সামনে দীর্ঘ সময় আইস পুলিশের অবস্থান

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো এলাকায় এক মসজিদের সামনে দুই গাড়ি নিয়ে অভিবাসন পুলিশ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান করেছে। পার্ক অ্যাভিনিউর তাকওয়া মসজিদ থেকে জোহর নামাজ শেষে মুসল্লিরা বের হওয়ার পথে সবাইকে ধরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এর মধ্যে ষাটোর্ধ্ব গ্রিনকার্ডধারী একজন বাংলাদেশিও ছিলেন।

৭ ডিসেম্বর বাফেলোয় দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই মসজিদের সামনে অবস্থান করে অভিবাসন পুলিশ। অবশ্য তাকওয়া মসজিদের সামনে থেকে কাউকে ধরে নিয়ে যেতে দেখা যায়নি।

ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত কর্নেল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী সাদিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাসা মসজিদের কাছেই। তুষারপাতে চারপাশ সাদা হয়ে গিয়েছিল। আমি ও আমার কাজিন আদ্রিয়া মাদিনা তুষারপাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি, মসজিদের কাছে এক বৃদ্ধ বাংলাদেশিকে কয়েকজন ঘিরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এর মধ্যে একজনের পোশাকে “পুলিশ” লেখা।’

সাদিয়া বলেন, ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই যা আইস নামে পরিচিত) সাধারণত ফোর্ড গাড়ি ব্যবহার করে। আমি ভিডিও করা শুরু করলে ওরা দ্রুত কথা শেষ করে চলে যায়। পরে আমার এক চাচা গাড়ি দুটিকে দূর থেকে ফলো করেন। তিনি দেখেছেন, গাড়ি দুটি ঘুরেফিরে এই অঞ্চলেই অবস্থান করছে।’

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নামাজে যাওয়ার সময় ওই দুটি গাড়িকে মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলাম। মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা অন্যান্য দেশের মুসলিমদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। আমার গ্রিনকার্ড সঙ্গে থাকায় তারা আর কিছু বলেনি।’

তাকওয়া মসজিদে জোহর ও মাগরিবের নামাজ আদায় করা নিয়মিত মুসল্লি ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর ছাত্র আবিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যার সময়ও ওই গাড়ি দুটিকে মসজিদের আশপাশে অবস্থান করতে ও ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। জোহরের নামাজের চেয়ে মাগরিবের নামাজের সময় মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা অনেক বেশি থাকে। এ জন্য আইস পুলিশ কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। সন্ধ্যার পর গাড়ি দুটিকে আর দেখা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ