করোনা মহামারির সময় লকডাউনে আটকে থাকা দুই নারীর সম্পর্কের গল্প নিয়ে ‘জয়া আর শারমিন’ নিনেমা নির্মাণ করেছেন পিপলু আর খান। শুক্রবার প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমার এক মিনিট ১৯ সেকেন্ডের ট্রেলার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিনেমার ট্রেলার প্রকাশ করে জয়া আহসান জানিয়েছেন, লকডাউনের দিনগুলোতে দুই নারীর আখ্যান। জয়া আর শারমিনের গল্প প্রেক্ষাগৃহে আসছে ১৬ মে।

ট্রেলারে করোনা মহামারীর সময় জয়া আহসান এবং মহসিনা আক্তারের জীবনের কিছু দৃশ্য উঠে এসেছে। শুরুর দিকে আনন্দ-আড্ডা, রান্না দিয়ে দুইজনকে দারুণ সময় পার করতে দেখা গেছে। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের জীবনে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং বাইরের দুনিয়া থেকে আসা দুঃসংবাদগুলো তাদের জীবনে নিঃশব্দে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা ও ভয় ঢুকিয়ে দেয়।

সিনেমায় জয়া আহসান, মহসিনা আক্তার ছাড়াও বিশেষ উপস্থিতিতে রয়েছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী।

এর আগে নির্মাতা পিপলু আর খান জানান, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে সারা হয়েছিল ‘জয়া আর শারমিন’ সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ। সীমিত লোকবল নিয়ে মহামারীর সময়ে শুটিং করা হয়েছিল সিনেমাটির। একাকীত্ব কীভাবে দুই নারীর সম্পর্কে ভরসা ও নির্ভরতার জন্ম দেয় সেই গল্প সিনেমায় বলা হয়েছে।

সিনেমা নিয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘দুজন নারীর অচেনা ভুবনের সিনেমা। আমাদের অন্তর্জগতের ঘাত-প্রতিঘাত আর অনুক্ত অনুভূতির ডকুমেন্টেশন। অদ্ভুত এক সময়ে শুট করা ছোট্ট একটি সিনেমা, তবে দর্শকের অনুভূতিতে নাড়া দেবে বলে আশা করি।’

সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্য যৌথভাবে লিখেছেন পিপলু আর খান ও নুসরাত ইসলাম। প্রযোজনা করেছেন পিপলু ও জয়া। সিনেমাটি মুক্তির জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জয় আহস ন আহস ন

এছাড়াও পড়ুন:

কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সামগ্রিক কল্যাণ অর্জন সম্ভব

পারিবারিক জীবন থেকে সমাজ জীবন ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে একমাত্র কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সামগ্রিক কল্যাণ অর্জন করা সম্ভব বলে 'কোরআন নাযিলের উদ্দেশ্য: সমাজ ও রাষ্ট্রে কোরআন থেকে কল্যাণ লাভের উপায়' শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা উল্লেখ করেছেন।

শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা সোসাইটি এই সেমিনারের আয়োজন করে। 

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মাওলানা আবদুস শহীদ নাসিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামিক এরাবিক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শামছুল আলম।

সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) আবদুস সালাম সরকারের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচনা উপস্থাপন করেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির প্রফেসর ড. শামসুদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. রফিকুল ইসলাম, ইসলামিক স্কলার ড. নাসিমা হাসান লেখক ও গবেষক ড. সাজেদা হোমায়রা এবং গবেষক ও শিক্ষক ড. আবদুল হালিম।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম। তিনি বলেন, কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী যদি আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করা না হয়, তবে আমাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে কোনোভাবেই পরিবর্তন আসবে না। জবাবদিহিতা হতে হবে আল্লাহর কাছে। আল্লাহভীতি না থাকলে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন সফল হতে পারেনা। 

তিনি আরও বলেন, পারিবারিক জীবন থেকেই কোরআন সুন্নাহ অনুসরণ করতে হবে। সমাজ জীবন আর রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে আমানতদারীতার সাথে কোরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে। একমাত্র কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সমাজ ও রাষ্ট্রে কল্যাণ লাভ করা সম্ভব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, কোরআনকে জানার জন্য মানুষদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। কোরআন প্রতিনিয়ত চর্চার বিষয়। কোরআনকে বাহন হিসেবে নিয়ে কীভাবে সমাজ পর্যন্ত পৌঁছানো যায় সে চেষ্টা আমাদের করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে আবদুস শহীদ নাসিম বলেন, কোরআন সম্পর্কে আমাদের ভয়াবহ অজ্ঞতা রয়েছে। এই অজ্ঞতা থেকে যদি বের হতে না পারি তাহলে কোরআন থেকে আমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারবো না। কোরআন শুধু খতম দিলে হবে না। কোরআন নাজিল হয়েছে জানা-বোঝা ও মানার জন্য। কোরআনের আদেশ-নিষেধ পালন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ