জয়পুরহাটে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল
Published: 12th, July 2025 GMT
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার শ্রীকর্ণদীঘি উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল করেছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম জিৎ চন্দ্র মহন্ত। সে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন ফার্ম মেশিনারি ট্রেডে এসএসসি পরীক্ষার্থী।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ১৪টি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে কেবল গণিতে অকৃতকার্য হয় সে। পরবর্তী বছর, অর্থাৎ ২০২৫ সালে শুধু গণিত বিষয়ে পুনরায় পরীক্ষায় অংশ নেয়।
গত বৃহস্পতিবার ফলাফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, সে গণিত ছাড়াও কৃষি বিষয়ে ফেল করেছে। অথচ তার প্রবেশপত্রে কৃষি বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
জিৎ চন্দ্র মহন্ত বলেন, ‘আমি ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় শুধু গণিতে ফেল করেছিলাম। সে অনুযায়ী ২০২৫ সালে শুধুই গণিত বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছি। কিন্তু এখন ফলাফলে দেখছি আমাকে কৃষি বিষয়েও ফেল দেখানো হয়েছে। কৃষি বিষয় আমার পরীক্ষার মধ্যে ছিলই না। এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল দেখে বিস্মিত হয়েছি।’
বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার সহকারী শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, ‘বোর্ডের কারিগরি ত্রুটির কারণে এমন হতে পারে। নম্বরপত্র দেওয়ার সময় সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করলেন স্ত্রী
গোপালগঞ্জে স্বামী অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম তাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মারধর, জীবননাশের হুমকি, প্রতারণার অভিযোগ করেছেন স্ত্রী নওরিন সিদ্দিকা। তবে এই অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন এস এম তাজউদ্দিন।
আজ শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ১১টায় গোপালগঞ্জ জেলা শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন গোপালগঞ্জ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন।
নওরিন সিদ্দিকা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘‘পরিবারিকভাবে ২০১০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার সিংগাতী গ্রামের মৃত আওয়াল সরকারের ছেলে এস এম তাজউদ্দিনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের এক বছর পর থেকে যৌতুকের দাবিতে আমার স্বামী তাজউদ্দিন বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে আমাকে নির্যাতন শুরু করেন। আমি সব নির্যাতন আমি সহ্য করে সংসার করেছি। আমার স্বামীর পরকীয়া আমার কাছে ধরা পড়ে যাওয়ায় আমি বাধা দেই। এরপর থেকে শুরু হয় আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। নির্যাতনের কারণে আমি রক্তাক্ত অবস্থায় বার বার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। সেই রেকর্ড আমার কাছে আছে।’’
আরো পড়ুন:
মুরাদনগরে নারী নির্যাতন ও ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে ‘দুই ভাইয়ের বিরোধ’
‘নারী-শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে কুইক রেসপন্স টিম মাঠে নামছে’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘আমার স্বামী ঘরের ভিতরে আটকিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন এবং শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। আশপাশের লোকজন টের পেয়ে ছুটে আসলে আমি বেঁচে যাই।’’
নওরিন সিদ্দিকা বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আমার দুই ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে গেছেন। আমার সঙ্গে সন্তানদের যোগাযোগ করতে দেন না।’’ স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গোপালগঞ্জ আদালতে মামলা করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমার স্বামী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী এলাকার ডিভোর্সি নারী শেখ আসমা সুলতানাকে বিয়ে করেছেন ২০২৪ সালের ৮ জুলাই। ওই বিয়ে করে তিনি আমার হোয়াটসঅ্যাপে আমাকে ডিভোর্সের কাগজ পাঠিয়েছেন, তাতে তারিখ দেয়া আছে ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ সাল।’’
নওরিন সিদ্দিকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের শেখ দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। এস এম তাজউদ্দিন চাকরিসূত্রে ঢাকায় অবস্থান করেন।
এ ব্যাপারে এস এম তাজউদ্দিন বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি যৌতুকের জন্য তার (নওরিন সিদ্দিকা) উপর নির্যাতন করিনি বরং উল্টো আমার নামে গোপালগঞ্জ আদালতে তিনটি মামলা দিয়েছেন। একটি মামলায় আমি অব্যাহতি পেয়েছি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘নওরিন সিদ্দিকা এখন আর আমার স্ত্রী নন। আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। তিনি যে সব অভিযোগ এনেছেন, তা পুরোপুরি মিথ্যা।’’
ঢাকা/বাদল/বকুল