বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট নিশ্চিত’ করার ঘোষণার পর তাঁদের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে ব্যাপক প্রত্যাশা ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিনিধিত্বের বিষয় বিবেচনা এবং একই সঙ্গে প্রবাসী ভোটিংয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও সরকারের কাছে জমাকৃত প্রতিবেদনে একটি আলাদা অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করে সব প্রবাসী বাংলাদেশিকে যত দ্রুত সম্ভব ভোটার তালিকায় নিবন্ধন ও তাঁদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সুপারিশ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী ভোটিং শুরু করার জন্য কাজ করছে।

দেশের প্রধান নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২–এর ২৭(১) ধারার মাধ্যমে বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি ভোটারদেরকে ডাকযোগে ব্যালটে ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে ২০০৮ সালে উক্ত আইনি অধিকার দেওয়ার বছরেও প্রবাসীদের জন্য কখনোই পোস্টাল ভোটিং ব্যবস্থায় ভোট গ্রহণে কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে ২০০৮-২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো প্রবাসী ভোটার ভোট দিতে পারেননি।

২০০৮ সালে আইনি বিধান করার আগে দুজন নির্বাচন কমিশনার অনাবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাজ্য সফর করেন। ওই আলোচনায় বেশির ভাগ অনাবাসী বাংলাদেশি দূতাবাসে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করে ব্যক্তিগতভাবে ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া চালু করার পরামর্শ দেন। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতার কারণে এ প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে নূরুল হুদা কমিশন সংশ্লিষ্ট সবার অংশগ্রহণে একটি সেমিনার আয়োজন করে। এ সেমিনারের সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের সচিবের নেতৃত্বে একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়। ২০২০–এর নভেম্বর মাসে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।

প্রবাসী ভোটিং নিশ্চিত করতে নাসির কমিশন ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটি বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা, প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেসব দেশে অবস্থান করছেন, সেসব দেশের বাস্তবতা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ওই সব দেশের সময়ের ব্যবধান বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে প্রক্সি ভোটিং, পোস্টাল ভোটিং ও অনলাইন ভোটিং নিয়ে খসড়া প্রস্তাব তৈরি করে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট মতামত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দুটি দল ব্যতীত সব দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই প্রবাসী ভোটিং চালু করার পক্ষে। যদিও কোন পদ্ধতিতে এটি নিশ্চিত করা হবে, সে বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে। আমার জানামতে, কমিশন বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শক্রমে সম্ভাব্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে।

প্রবাসী ভোটিং খুব সহজ নয়। এর প্রতিটি পদক্ষেপেই চ্যালেঞ্জ আছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভোটার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া থেকেই চ্যালেঞ্জ শুরু হয়। ইন্টারন্যাশনাল আইডিইএর (২০২১-২২) এক জরিপ থেকে দেখা যায়, জরিপ করা ৮৭ শতাংশ দেশে প্রবাসী ভোটার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সক্রিয় নয়। ফলে অনেক ভোটারের ছবি তোলা বা বায়োমেট্রিক দেওয়ার জন্য দীর্ঘ পথ ভ্রমণ করে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে যেতে চান না। আবার নির্বাচন কমিশন কত সময়ের জন্য প্রবাসী হিসেবে নিবন্ধন দেবে, সেটা আরেক জটিলতা। কারণ, একজন প্রবাসী ভোটার নির্বাচনের অব্যবহিত আগে নিবন্ধিত হয়ে নির্বাচনের পরই স্থায়ীভাবে ওই দেশ ত্যাগ করতে পারেন। যে কারণে অনেক দেশ শুধু একটি নির্বাচনের জন্য, আবার কোনো কোনো দেশ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রবাসীদের নিবন্ধন দিয়ে থাকে। এসব জটিলতার কারণে উল্লিখিত জরিপ অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী প্রবাসী ভোটারদের গড় নিবন্ধন হার মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ।

শুধু নিবন্ধন নয়, প্রবাসী ভোটিংয়ের যে কয়টি পদ্ধতি আছে, তার প্রতিটির দুর্বলতা ও চ্যালেঞ্জ আছে। তারপরও কোনো কোনো দেশে প্রবাসীদের ভোট প্রদানের হার উল্লেখ করার মতো। ওই জরিপ অনুযায়ী এ রকম দেশের সংখ্যা মাত্র ২০ শতাংশ।

উদাহরণ হিসেবে স্লোভাকিয়া ও রাশিয়ার কথা বলা যেতে পারে। স্লোভাকিয়ায় ২০২০ সালের সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৪১৪ জন এবং সার্বিক ভোট প্রদানের হার ছিল ৬৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। ওই সময় দেশটির প্রবাসী ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ১১৬ জন এবং ভোট প্রদান করেছিল ৩ হাজার ৮৬১ জন ভোটার (৯৩.

৮০%)।

প্রবাসী ভোটার সংখ্যা কম থাকায় এবং তাদের অবস্থান অল্প কয়েকটি দেশে থাকায় সফলতার সঙ্গে দেশটি প্রবাসী ভোটিং কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পেরেছিল। অন্যদিকে রাশিয়ার ২০১৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১০ কোটি ৯০ লাখ ৮ হাজার ৪২৮ জন ও সার্বিক ভোট প্রদানের হার ছিল ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ওই সময় দেশটির প্রবাসী ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫৭ জন এবং ভোট প্রদান করেছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩৬৬ জন ভোটার (৯৮.০২%)। বলা বাহুল্য, রাশিয়ার ওই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের একজন সদস্য হিসেবে প্রবাসী ভোটিং পাইলটিং করার উদ্যোগের জন্য আমি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে সতর্কতার সঙ্গে অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা, যেসব দেশ সফলভাবে সম্পাদন করতে পেরেছে এবং যেসব দেশ এখনো সফল হতে পারেনি, সেসব দেশের বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিয়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে আশা করি।

অন্যদিকে যেসব দেশে প্রবাসীদের ভোট প্রদানের হার ২০ শতাংশের কম, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গুয়াতেমালা (১.১৫%), পর্তুগাল (১.৮৮%), আর্জেন্টিনা (২.৭৯%), আলজেরিয়া (৪.৬৮%) এবং ইউক্রেন (৭.২৭%)। ভোটার নিবন্ধন ও ভোট প্রদান প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জের কারণে ভোট প্রদানের হার এত কম।

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রবাসী ভোট গ্রহণকারী দেশ ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন। ভারত ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে, মালয়েশিয়া পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে, সিঙ্গাপুর ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে কিংবা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে, ইন্দোনেশিয়া ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে কিংবা ব্যালটের মাধ্যমে কিংবা মোবাইল ব্যালটের মাধ্যমে, থাইল্যান্ড ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে প্রধানত আগাম ভোটিংয়ের মাধ্যমে এবং ফিলিপাইন ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে কিংবা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে কিংবা সীমিত ইন্টারনেট ভোটিংয়ের মাধ্যমে ভোট প্রদান করে। এসব দেশে প্রবাসী ভোট প্রদানের হার আলাদাভাবে ৩৫ শতাংশের বেশি নয়।

উদাহরণ হিসেবে এশিয়ার দুটি দেশ নিয়ে আলোচনা করা হলো। ভারত ২০১০ সাল থেকে প্রবাসী ভোটিং চালু করে। ২০২৪ সালের এক পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ভারতের অনাবাসী জনসংখ্যা প্রায় ৩৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ১১ হাজার ৮৪৬ জন প্রবাসী ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছিল এবং তাদের ক্ষুদ্র একটা অংশ ভোট দিয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৯৯ হাজার ৮৪৪ এবং ২৫ হাজার ৬০৬ জন। আর ২০২৪ সালের নির্বাচনে এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৪ ও ২ হাজার ৯৫৮ জন (২.৪%)। দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণা থেকে দেখা যায়, ভোটাররা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে দূতাবাসে গিয়ে ভোট প্রদানে উৎসাহ দেখান না।

২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় সশস্ত্র বাহিনী, সরকারি কর্মচারী ও ছাত্রদের জন্য প্রবাসী ভোটিং চালু ছিল। ২০১১ সালে সংসদের সিলেক্ট কমিটি বিদেশে বসবাসকারী সব মালয়েশিয়ানের জন্য প্রবাসী ভোট চালু করার পরামর্শ দিলে আইন সংশোধন করা হয়।

নির্বাচন কমিশন ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি প্রবাসী ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। ২০১৩ সালের ২৮ এপ্রিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত দূতাবাসে ভোটাররা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেয়। বর্তমানে দেশটি অনলাইনে ভোটার নিবন্ধন ও পোস্টাল ভোটিং প্রক্রিয়ায় প্রবাসী ভোট নিশ্চিত করে। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রবাসী ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছিল ৫৪ হাজার জন।

সারা বিশ্বে বর্তমানে ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি বাংলাদেশি বসবাস করেন, যাঁদের বেশির ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বাংলাদেশি প্রবাসীরা বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে উত্তর আমেরিকায় আনুমানিক ১৩ লাখ ৮২ হাজার, মধ্যপ্রাচ্যে ৭৯ লাখ, ইউরোপে ১৮ লাখ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ১৭ লাখ, আফ্রিকায় তিন লাখ, ওশেনিয়ায় ১ লাখ ৩০ হাজার, দক্ষিণ এশিয়ায় এক লাখ, পূর্ব এশিয়ায় ৭৮ হাজার এবং দক্ষিণ আমেরিকায় ২ হাজার ৫০০ জন বসবাস করেন। বিশ্বব্যাপী বিস্তৃতির কারণে আগামী নির্বাচনে কোনোভাবেই সব দেশে প্রবাসী ভোটিং চালু করা সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য যে নির্বাচন কমিশন ২০২৩ সাল থেকে শুরু করে সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৯টি দেশে প্রবাসী ভোটারদের জন্য নিবন্ধন চালু করতে পেরেছে। জানামতে, আরও সাতটি দেশে শিগগিরই নিবন্ধন শুরু হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৪২ হাজারের মতো প্রবাসী ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বড় একটি অংশ ইতিমধ্যে ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, বিশেষ করে যাঁরা ২০০৮ সালের পর প্রবাসী হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।

প্রবাসী ভোটিং চালু করতে গেলে আইন সংশোধন, একটি নিবন্ধন প্ল্যাটফর্ম তৈরি, ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া নির্ধারণ ও প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি, ভোটার নিবন্ধন ও ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক প্রচারণাসহ ব্যাপকভিত্তিক এবং সময়সাপেক্ষ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়। এত ব্যাপকতা ও জটিলতার কারণে অ্যাঙ্গোলা ১৯৯২ প্রবাসী ভোটিংবিষয়ক আইন প্রণয়ন করে ২৯ বছর পর ২০২১ সালে আইনে সংশোধন এনে ২০২২ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রবাসী ভোটিং চালু করতে সমর্থ হয়। তা সত্ত্বেও দেশটির ৪ লাখ প্রবাসীর মধ্যে মাত্র ২২ হাজার মানুষ ওই নির্বাচনের জন্য নিবন্ধন করে।

আগেই বলেছি, প্রবাসী ভোটিংয়ের প্রতিটি পদ্ধতির দুর্বলতা ও চ্যালেঞ্জ আছে। যেমন বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে পোস্টাল ভোটিং করলে খরচ হবে ভোটারপ্রতি ৭০০ টাকা। কুরিয়ারের মাধ্যমে এই ব্যয় পাঁচ হাজার টাকার মতো। খরচের কারণে অনেক দেশ প্রবাসী ভোটারদের কাছ থেকে এই ব্যয় সংকুলান করে। এ ছাড়া পোস্টাল ব্যালটে বিশ্বব্যাপী গড় সিস্টেম লস ২৪ শতাংশ। শেষ মুহূর্তে কোনো আসনের প্রার্থিতায় পরিবর্তন এলে পোস্টাল ভোটিং অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।

প্রক্সি ভোটিংয়ের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে ভোটারের ইচ্ছার প্রতিফলন না ঘটার সম্ভাবনা এবং অন্তত একজনের কাছে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা করতে না পারা। তবে প্রক্সি ভোটিং সবচেয়ে সহজ এবং ব্যয়ও কম। অন্যদিকে দূতাবাসে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করে ব্যক্তিগতভাবে ভোট আয়োজনে অনেক দেশই অনুমোদন দেবে না।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের একজন সদস্য হিসেবে প্রবাসী ভোটিং পাইলটিং করার উদ্যোগের জন্য আমি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে সতর্কতার সঙ্গে অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা, যেসব দেশ সফলভাবে সম্পাদন করতে পেরেছে এবং যেসব দেশ এখনো সফল হতে পারেনি, সেসব দেশের বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিয়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে আশা করি।

আমরা যেন প্রবাসী ভোটিং চালু করতে গিয়ে হোঁচট না খাই ও তাড়াহুড়া না করি। মনে রাখতে হবে, পৃথিবীর অনেক দেশ বছরের পর বছর ধরে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার পর পাইলটিং শুরু করেছে।

ড. মো. আব্দুল আলীম নির্বাচন বিশেষজ্ঞ। সদ্য সাবেক নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ব চনব যবস থ ন শ চ ত কর প রব স দ র সব দ শ র ন প রব স হ জ র হয় অন ক দ শ য সব দ শ প রক র য় ব যবস থ দ শট র উল ল খ ব শ বব অন য য় ন করত বসব স দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে দুই প্রস্তাব

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে একমত বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ সব দল। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগ পদ্ধতিতে মতভিন্নতা রয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংসদের প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন প্রধান উপদেষ্টা।

বিএনপি এখনও প্রস্তাবের বিষয়ে অবস্থান জানায়নি। তবে অতীত বিতর্কের কারণে তত্ত্বাবধায়ক থেকে বিচার বিভাগকে দূরে রাখতে আপত্তি নেই দলটির। জামায়াত তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার আগের কাঠামো পুনর্বহাল চাইলেও এখন তারা নতুন প্রস্তাব দেবে। এনসিপি সংসদের নিম্নকক্ষের সর্বদলীয় কমিটি এবং উচ্চকক্ষের ভোটের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করতে চায়। চলতি সপ্তাহের সংলাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে ঐকমত্য কমিশন।

২০১০ সালে প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করলেও পরবর্তী দুই নির্বাচন এ ব্যবস্থায় হওয়ার পরামর্শ ছিল রায়ের পর্যবেক্ষণে। বিচার বিভাগকে তত্ত্বাবধায়ক থেকে দূরে রাখার নির্দেশনা ছিল আদালতের। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাই বাতিল করে দেয়।

দলীয় সরকারের অধীনে পরের তিন নির্বাচন ছিল বিতর্কিত। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর, ডিসেম্বরে হাইকোর্ট পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতার মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো আখ্যা দেয়। ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনায় বিএনপি ও জামায়াতের আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক, দুই ফর্মুলা
সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রস্তাব করেছিল– রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, সংসদের উভয় কক্ষের স্পিকার ও বিরোধীদলীয় ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা এবং সরকারি ও প্রধান বিরোধী দল ব্যতীত অন্য দলের একজন সদস্যকে নিয়ে গঠিত ৯ সদস্যের জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) নিয়োগ দেবে প্রধান উপদেষ্টা।

তবে বিএনপি এনসিসি গঠনে সায় দেয়নি। ফলে, গত বৃহস্পতিবারের সংলাপে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংসদের মেয়াদ অবসানের ১৫ দিন পূর্বে এবং মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে।

সংসদের মেয়াদ অবসানের ৩০ দিন পূর্বে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, নিম্নকক্ষের স্পিকার, নিম্নকক্ষের বিরোধীদলীয় ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী মনোনীত উচ্চকক্ষের একজন সদস্য,  বিরোধীদলীয় নেতা মনোনীত উচ্চকক্ষের একজন সদস্য, প্রধান বিরোধী দল ব্যতীত অন্যান্য বিরোধী দলের একজন উচ্চকক্ষের সদস্যকে নিয়ে সাত সদস্যের ‘নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বাছাই কমিটি’ গঠিত হবে।

কমিটি গঠনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা পদের জন্য সরকারি দল কিংবা জোট পাঁচজন উপযুক্ত ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করবে। প্রধান বিরোধী দল কিংবা জোটও পাঁচটি নাম প্রস্তাব করবে। সংসদের নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী অন্যান্য দল কিংবা জোট দু’জন করে মোট চারজনের নাম প্রস্তাব করবে। 

বাছাই কমিটি প্রস্তাবিত ১৪ ব্যক্তির নাম নিয়ে শুনানি হবে। যাতে উচ্চকক্ষের সদস্যরা অংশ নেবেন। শুনানি সম্পন্নের এক ঘণ্টার মধ্যে সরকারি দল কিংবা জোটের প্রস্তাবিত পাঁচজনের তালিকা থেকে প্রধান বিরোধী দল কিংবা জোট একজনের নাম বাছাই করবে। বিরোধী দল বা জোটের তালিকা থেকে একজনের নাম বাছাই করবে সরকারি দল বা জোট। অন্যান্য দল বা জোটের প্রস্তাবিত নাম থেকে সরকারি দল বা জোট একজনের এবং প্রধান বিরোধী দল বা জোট যে কোনো একজনের নাম বাছাই করবে। এই পদ্ধতিতে কোনো দল বা জোট অভিন্ন ব্যক্তির নামও প্রস্তাব করতে পারবেন।

এই পদ্ধতিতে যদি অভিন্ন ব্যক্তির নাম প্রস্তাবিত হয়, তবে তিনিই হবেন প্রধান উপদেষ্টা। আর যদি অভিন্ন ব্যক্তির নাম না আসে, তবে উচ্চকক্ষের সদস্যরা ‘র‍্যাঙ্ক চয়েজ’ বা ক্রমভিত্তিক পছন্দ পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে একজনকে  প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত করবেন। যাকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শপথ পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি। মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে, ১৫ দিনের মধ্যে বিলুপ্ত সংসদের উভয় কক্ষ একই পদ্ধতিতে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত করবে। ৯০ থেকে ১২০ দিন মেয়াদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হবেন, সর্বোচ্চ ১৫ জন।

দ্বিতীয় ফর্মুলায় বলা হয়েছে, সংসদ বিলুপ্তির ৯০ দিন পূর্বে উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান অথবা স্পিকার, ডেপুটি চেয়ারম্যান অথবা ডেপুটি স্পিকার, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা, সংখ্যালঘু দলের নেতা, উচ্চকক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী অন্যান্য দলের একজন প্রতিনিধি, নিম্নকক্ষের স্পিকার, সংসদ নেতা এবং নিম্নকক্ষের বিরোধী দলের নেতারা সমন্বয়ে একটি ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন’বিষয়ক সর্বদলীয়  কমিটি গঠন করা হবে।

কমিটির কাছে দলগুলো প্রধান উপদেষ্টার নাম প্রস্তাব করবে। নাম নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনার পর কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের জন্য একজনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সিদ্ধান্ত না হলে, উচ্চকক্ষের সদস্যরা ক্রমভিত্তিক পছন্দ পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে একজনকে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করবেন।

ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সমকালকে বলেছেন, র‌্যাঙ্ক চয়েজ পদ্ধতিতে, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাবিত নাম থেকে একজন না একজন নির্বাচিত হবেনই। অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে না। তবে দুটি ফর্মুলাই কমিশনের প্রস্তাব মাত্র। রাজনৈতিক দলগুলোও নিজ নিজ ফর্মুলা দেবে। এর পর আলোচনায় ঐকমত্যে একটি পদ্ধতি চূড়ান্ত হবে। 

বিএনপি নিজের কার্ড দেখাচ্ছে না
১০০ সদস্যের উচ্চকক্ষ গঠনে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল একমত হয়েছে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়কে একমত হলেও গঠন পদ্ধতি নিয়ে নিজেদের মতামত দিচ্ছে না। বরং অন্য দলগুলোর প্রস্তাব দেখার অপেক্ষায় রয়েছে। ত্রয়োদশ সংশোধনীর রিভিউ রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সালাহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেছেন, কমিশন যে দুটি ফর্মুলা দিয়েছে, তাতে উচ্চকক্ষের ভোটে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত হবেন। তাই আগে ঠিক করতে হবে, কীভাবে উচ্চকক্ষ গঠিত হবে।

জামায়াত, এনসিপিসহ ২২টি দল চায় প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন করা হবে। বিএনপি চায়, সংসদে দলগুলো প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন হবে। এনিয়ে চার দিন সংলাপ হলেও ঐকমত্য হয়নি।

অতীতে প্রধান বিচারপতিদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব দেওয়ায় বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা দেখা গেছে– এ যুক্তিতে এনসিপি, এবি পার্টি, গণঅধিকারসহ কয়েকটি দল বিচার বিভাগকে দূরে রাখার পক্ষপাতী। আগের নিয়মে কাউকে না পাওয়া গেলে রাষ্ট্রপতি হতেন প্রধান উপদেষ্টা। ২০০৬ সালের তিক্ত অভিজ্ঞতায় জামায়াত চায়, কোনোভাবেই রাষ্ট্রপতির প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ রাখা যাবে না।

সালাহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেছেন, আপিল বিভাগের রিভিউ শুনানিতে সংবিধানের ৫৮(ক), (খ) ও (গ) বহাল হবে বলে আশা করছেন। এতে প্রধান বিচারপতির প্রধান উপদেষ্টার হওয়ার সুযোগ থাকবে। তবে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে, বিচার বিভাগকে তত্ত্বাবধায়কের বাইরে রাখার প্রস্তাবটি ভালো। যদি সর্বসম্মতিক্রমে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের একাধিক বিকল্প পাওয়া যায়, বিএনপি গ্রহণ করবে। সব দল বিকল্প প্রস্তাব দেবে, বিএনপিও দেবে। আগে তিন-চারটি বিকল্প রেখে, এর পর বিচার বিভাগকে যুক্ত করার বিধান রাখা যেতে পারে। সবশেষ বিকল্প হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে রাখা যায়। তবে তা রাখার জন্য রাখা। 

অন্য দল কী বলছে
নিজেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপকার দাবি করে জামায়াত আগের পদ্ধতিই বহাল রাখার পক্ষে ছিল। দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের সমকালকে বলেছেন, জামায়াত চলতি সপ্তাহেই দলীয় প্রস্তাব দেবে। তবে রাষ্ট্রপতিকে কোনোভাবেই প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। বিচার বিভাগের পরিবর্তে গ্রহণযোগ্য বিকল্প পাওয়া গেলে জামায়াতের আলোচনায় আপত্তি নেই। 

এনসিপি ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ পালাবদলের রূপরেখা দিয়েছে জানিয়ে দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ নিয়ে একটি ১১ সদস্যের সংসদীয় সর্বদলীয় কমিটি গঠন হবে। কমিটি সরকারি দল, বিরোধী দল ও অন্য দলের প্রস্তাবিত তিনজন করে মোট ৯ জনের নাম থেকে একজনকে আট-তিন ভোটে প্রধান উপদেষ্টা মনোনয়ন দেবে। এই পদ্ধতি ব্যর্থ হলে উচ্চকক্ষের সদস্যদের ‘র‍্যাঙ্ক চয়েজ’ ভোটে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করা হবে।

আখতার হোসেন বলেছেন, অতীতে প্রধান বিচারপতিকে প্রধান উপদেষ্টা করায় বিচার বিভাগ কলুষিত হয়েছিল। এর পুনরাবৃত্তি রোধে সংসদের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে করোনায় একজনের মৃত্যু
  • বিরোধ নিষ্পত্তি না হলে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে চায় আইসিবি ফিন্যান্সিয়াল গ্রুপ, গভর্নরকে চিঠি
  • ‘৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে’ পল্লবীতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-গুলি,আহত এক
  • সুপারম্যান ট্রাম্প
  • ব্যবসায়ী হত্যার শাস্তি দাবি জবি ছাত্রদলের
  • কীভাবে একজন মানুষ এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে, পুরান ঢাকায় হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বাঁধন
  • পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের মারধরে মার্কিন নাগরিক নিহত, তদন্তের দাবি
  • জামা-জুতাও নিয়ে গেল ছিনতাইকারীরা, ভিডিও ভাইরাল
  • প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে দুই প্রস্তাব