গরমে ঘরে-কিংবা বাইরে যেখানেই থাকুন না কেন শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়। এই সময়ে পানিশূন্যতা তৈরির ঝুঁকি বেশি। তাই অতিরিক্ত গরম আবহাওয় এবং পানিশূন্যতা দুইই অন্তঃসত্ত্বা নারীর সুস্থতার জন্য বড় বাধা। হবু মায়েরা তাই কী কী সতর্কতা মেনে চলবেন, সেই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ জেনে নিন। 

চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ হবু মায়েদের উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। পানির ঘাটতি পূরনের জন্য পরিমাণ মতো পানি মেপে পান করতে পারেন। বেশি পানি পান করতে হবে তার অর্থ এই  নয় যে অতিরিক্ত পানি পান করবেন। অতিরিক্ত পানি পান করলে উল্টো শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে। দিনে দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করুন। যাদের শারীরিক পরিশ্রম বেশি হয় তারা আরেকটু বেশি পানি পান করতে পারেন।’’

পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীর শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিয়ে  এর প্রভাব ভ্রুণের ওপরও পড়ে। মায়ের শরীরের অ্যামনিয়োটিক ফ্লুইড কমে যেতে থাকে। ফলে সময়ের আগেই সন্তান জন্মের আশঙ্কা বেড়ে যায়। এছাড়াও সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে হবু মায়ের বমি ভাব, ক্লান্তি, মাথাযন্ত্রণা এবং পেশিতে টান ধরার সমস্যা দেখা দিতে পারে। হতে পারে খিঁচুনির মতো সমস্যাও। দেখা দিতে পারে বদহজমের সমস্যা। পানির ঘাটতি থেকে একজন হবু মা মাথা ঘোরা, চোখে অন্ধকার দেখার মতো সমস্যায় পড়তে পারেন।’’

আরো পড়ুন:

ফিট থাকতে সকালে নাস্তা গ্রহণের আগে-পরে পাঁচটি কাজ করতে পারেন

যে ভুলে দাঁতের ক্ষয়রোধ করা সম্ভব না

করণীয় কী

এক.

কমলালেবুর রস খেতে পারেন।

দুই. লেবু, চিনি ও পানি সহযোগে শরবত তৈরি করে পান করতে পারেন।

তিন. পানিতে শসার টুকরো, আদাকুচি ও পুদিনা পাতা এক ঘণ্টার জন্য ভিজিয়ে রেখে ওই পানি পান করতে পারেন। 

চার. খেতে পারেন শসার শরবত।

পাঁচ. মৌসুমী ফল তরমুজ বা তরমুজের শরবতও খেতে পারেন। 

ছয়. নিয়মিত খাবারে যোগ করতে পারেন পাতলা ডাল, সবজির ঝোল, কম মশলা দেওয়া মাছের ঝোল, সবজি দিয়ে চিকেন স্ট্যু। 

উল্লেখ্য, ক্ষুধা না পেলে জোর করে খাবেন না। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। একবারে অনেক খাবার না খেয়ে সারা দিন অল্প অল্প করে খেতে পারেন। চা-কফি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। আরও বিস্তারিত জানতে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ন করত প ন কর সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় বাস–মোটরসাইকেল সংঘর্ষে একজন নিহত

চট্টগ্রামের পটিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত ও এক নারী আহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে পটিয়া কুসুমপুরা মনসা হাসপাতাল এলাকায় চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ ইয়াছিন (৪০)। তিনি পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ হরিণখাইন গ্রামের বাসিন্দা। পটিয়ার ফকিরা মসজিদ বাজারে ‘আজমীর ডেকোরেশন’ নামে একটি দোকান রয়েছে তাঁর। আহত নারীর নাম শিরিন আক্তার (৩০)। তিনি নিহত ইয়াছিনের আত্মীয়। তাঁরা দুজনই মোটরসাইকেলটিতে ছিলেন।

নিহত মোহাম্মদ ইয়াছিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরায় হাসপাতালে জরুরি বিভাগে হামলার ঘটনায় মামলা, বিএনপি থেকে একজন বহিষ্কার
  • এক কড়াইয়ে রুটি সেঁকা ও তরকারি রান্নার ভিডিও ভাইরাল
  • কোকেন, কান্না আর হুমার হারিয়ে যাওয়া: ওয়াসিম আকরামের জীবনের অন্ধকার অধ্যায়
  • শত শত সিনেমার সেই ‘চেনা মুখ’ এখন কোথায়
  • খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: খেলার মাঠে নেপথ্যের নায়ক আনসার ভাই
  • সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা ও ভাঙচুর
  • অভিনয়ের প্রতি তটিনীর দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ
  • স্ক্যাবিস কেন ভালো হচ্ছে না 
  • পটিয়ায় বাস–মোটরসাইকেল সংঘর্ষে একজন নিহত