‘হিট: দ্য থার্ড কেস’ বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছে। সেলেশ কোলানু পরিচালিত এই অ্যাকশন থ্রিলার মুক্তির তৃতীয় দিনেই ভারতে আয় করেছে ১০.২৫ কোটি রুপি। ইন্ডাস্ট্রি ট্র্যাকার স্যাকনিলকের তথ্যমতে, তিন দিনে ছবিটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৪১.৭৫ কোটি রুপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ছবিটি তেলেগু, তামিল, কন্নড়, হিন্দি ও মালায়ালম ভাষায় প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে। মুক্তির প্রথম শনিবার তেলেগু ভাষায় ছবিটির গড় দর্শক উপস্থিতি ছিল ৫২.

৮৫ শতাংশ।

‘হিট: দ্য থার্ড কেস’-এ মুখ্য ভূমিকায় এসপি অর্জুন সরকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নানি। তার বিপরীতে এএসপি মৃদুলা চরিত্রে দেখা গেছে শ্রীনিধি শেঠিকে, যিনি ছবিতে নানির প্রেমিকার ভূমিকায় আছেন। ছবিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সূর্য শ্রীনিবাস, আদিল পালা, রাও রমেশ, সমুদ্রকণি, কোমালি প্রসাদ, নেপোলিয়ন ও রবীন্দ্র বিজয়।

‘হিট’ সিরিজের যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালে ‘হিট: দ্য ফার্স্ট কেস’ দিয়ে, যেখানে প্রধান চরিত্রে ছিলেন বিশ্বক সেন ও রুহানি শর্মা। এরপর ২০২২ সালে আসে দ্বিতীয় কিস্তি ‘হিট: দ্য সেকেন্ড কেস’, যেখানে অভিনয় করেন আদিভি শেশ ও মীনাক্ষী চৌধুরী।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চর ত র

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নির্বাচনে বিরোধীদের ভরাডুবি, লিবারেল পার্টিতে টানাপোড়েন

অস্ট্রেলিয়ায় সদ্য অনুষ্ঠিত ফেডারেল নির্বাচনে বিরোধী দল লিবারেল পার্টি তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরাজয়ের মুখে পড়েছে। শুধু দল নয়, নিজ আসনেও হেরে গেছেন দলনেতা পিটার ডাটন। তাই গত ২৪ বছর ধরে কুইন্সল্যান্ডের ডিকসন আসনের সংসদ সদস্য থাকা ডাটন এখন আর পার্লামেন্টের সদস্য নন।
 
বিবিসি জানায়, অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে তিনিই প্রথম বিরোধী দলনেতা যিনি নির্বাচনে নিজের আসন খুইয়েছেন। যা দেশটির রাজনীতিতে নজিরবিহীন। একে বলা হচ্ছে ‘ডাটন এক্সপেরিমেন্টে’র চূড়ান্ত ব্যর্থতা।

লিবারেল এমপি কিথ ওলাহান বলেছেন, ‘মানুষ আমাদের একটি বার্তা দিয়েছে, সেটি শুনতে হবে’। অনেকে মনে করছেন, ডাটনের ট্রাম্পসুলভ প্রচার ভোটারদের বিরক্ত করেছে। নির্বাচনে ভরাডুবির পর দলটি নিজেদের পুনর্গঠনের চাপে পড়েছে এবং ডাটনের পরিবর্তে নতুন নেতৃত্ব খুঁজছে।

রয়টার্স জানায়, নির্বাচনে বড় জয় পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে কাজ শুরু করেছে অ্যান্থনি আলবানিজের সরকার। রোববার সিডনির নিজ নির্বাচনী এলাকায় একটি কফি শপে সমর্থকদের সঙ্গে নাস্তা করে সাংবাদিকদের আলবানিজ বলেন, অস্ট্রেলিয়ান জনগণ বিভাজনের নয়, ঐক্যের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, নতুন সরকার গৃহনির্মাণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কাজ করবে।
 
এখন পর্যন্ত ৯০টির বেশি আসনে লেবার পার্টি এগিয়ে রয়েছে, যেখানে লিবারেল জোটের আসন সংখ্যা নেমে এসেছে ৪০টিরও নিচে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্বাচন শুধু এক দলের পরাজয় নয় বরং পুরো অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের ইঙ্গিত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ