ভায়োলেন্সে অ্যানিমেলকেও টপকে যাওয়া সিনেমাটির আয় কেমন হচ্ছে
Published: 4th, May 2025 GMT
‘হিট: দ্য থার্ড কেস’ বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছে। সেলেশ কোলানু পরিচালিত অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমাটি মুক্তির তৃতীয় দিনেই ভারতে আয় করেছে ১০.২৫ কোটি রুপি। স্যাকনিলকের তথ্যমতে, তিন দিনে ছবিটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৪১.৭৫ কোটি রুপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ছবিটি তেলেগু, তামিল, কন্নড়, হিন্দি ও মালায়ালম ভাষায় প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে। মুক্তির প্রথম শনিবার তেলেগু ভাষায় ছবিটির গড় দর্শক উপস্থিতি ছিল ৫২.
‘হিট: দ্য থার্ড কেস’-এ মুখ্য ভূমিকায় এসপি অর্জুন সরকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নানি। তার বিপরীতে এএসপি মৃদুলা চরিত্রে দেখা গেছে শ্রীনিধি শেঠিকে, যিনি ছবিতে নানির প্রেমিকার ভূমিকায় আছেন। ছবিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সূর্য শ্রীনিবাস, আদিল পালা, রাও রমেশ, সমুদ্রকণি, কোমালি প্রসাদ, নেপোলিয়ন ও রবীন্দ্র বিজয়।
‘হিট’ সিরিজের যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালে ‘হিট: দ্য ফার্স্ট কেস’ দিয়ে, যেখানে প্রধান চরিত্রে ছিলেন বিশ্বক সেন ও রুহানি শর্মা। এরপর ২০২২ সালে আসে দ্বিতীয় কিস্তি ‘হিট: দ্য সেকেন্ড কেস’, যেখানে অভিনয় করেন আদিভি শেশ ও মীনাক্ষী চৌধুরী।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্মীয় আবেগ পুঁজি করে স্থানীয় পর্যায়ে অপতথ্য ছড়ানো হয়: তথ্য উপদেষ্টা
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, বাংলাদেশের সমাজে যে ধর্মীয় আবেগ আছে, সেটাকে পুঁজি করে স্থানীয় পর্যায়ে অপতথ্য বেশি ছড়ানো হয়। এ বিষয়ে তথ্য কর্মকর্তাদের শক্ত ভূমিকা নিতে হবে। কারণ একটা অপতথ্য বা মিথ্যা খবর শুধু একজন ব্যক্তির ক্ষতি করে না, সমাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে দেয়। তথ্য কর্মকর্তাদের এমন ভূমিকা নিতে হবে যেন সামাজিক অস্থিরতা এবং ধর্মীয় সহিংসতা বা হানাহানির ঘটনা না ঘটে।
রোববার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ভেরিফিকেশন অ্যান্ড ফ্যাক্টচেকিং’–বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে যে গুজব–অপতথ্য আছে, সেটা শুধু ভারত থেকে আসে, এ রকম না। দেখা যাচ্ছে দেশেই অনেকে আছেন, যারা গত জুলাই–আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকে মনেপ্রাণে মেনে নিতে না পেরে গুজব এবং অপতথ্য ছড়িয়ে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘এমনভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে মনে হচ্ছে, জুলাই–আগস্টে কিছু ঘটে নাই। অপপ্রচার এমন হচ্ছে যে, বরং উল্টো ঘটনা ঘটছে। মনে হচ্ছে ছাত্ররা পুলিশকে মেরে জোর করে ক্ষমতা দখল করছে।’
অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অপতথ্য এবং সাইবার ক্রাইমের শিকার হবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর অপতথ্য ও গুজবের যে প্রচার হয়েছে, সেটা হয়েছে দেশের ভেতরের ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী ও দেশের বাইরের গোষ্ঠীগুলোর যৌথ প্রয়াসে।’
সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘একদল লোক বসে আছে এই সরকারকে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য। সরকারের সংস্কার কার্যক্রমগুলো তাদের সহ্য হচ্ছে না। কারণ, তারা এত খারাপ কাজ করে গেছে যে কাজগুলোকে আড়াল করার জন্য এই সরকারকে সরাসরি তারা প্রতিপক্ষ মনে করছে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নিজামূল কবীর, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মামুনুর রশীদ ভূঞা প্রমুখ।