অ্যামেক্স কার্ডে পেমেন্ট আরও সহজ করতে সিটি ব্যাংক ও ফুডপ্যান্ডার চুক্তি
Published: 4th, May 2025 GMT
অ্যামেক্স কার্ডে পেমেন্ট আরও সহজ করার লক্ষ্যে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে গত বুধবার একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ।
সিটি ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং অরূপ হায়দার এবং ফুডপ্যান্ডার ফাইন্যান্স ডিরেক্টর জামাল ইউসুফ জুবেরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
রাজধানীর গুলশান-১–এ সিটি ব্যাংক সেন্টারে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংক কার্ডসের প্রধান তৌহিদুল আলম, ফুডপ্যান্ডার এন্টারপ্রাইজ প্রধান জহির রায়হান, হেড অব অ্যাডস অ্যান্ড পার্টনারশিপ আদনান ফারুকীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই চুক্তির আওতায় ফুডপ্যান্ডা প্ল্যাটফর্মে পেমেন্ট গেটওয়ে পার্টনার হিসেবে সিটি ব্যাংক সরাসরি যুক্ত হবে। এর ফলে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ব্যবহারকারীরা ফুডপ্যান্ডায় আরও দ্রুত এবং সহজে পেমেন্ট করতে পারবেন। পাশাপাশি অ্যামেক্স ব্যবহারকারীরা ফুডপ্যান্ডায় আকর্ষণীয় বিভিন্ন ডিল ও অফারও পাবেন।
সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠানের অংশীদারত্বের ফলে গ্রাহকেরা ঝামেলাবিহীন চেকআউট প্রক্রিয়া উপভোগ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল-ফার্স্ট গ্রাহকদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের অপরিণামদর্শিতা ও অবহেলার কারণে সমস্যাগুলো ঘনীভূত হচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত, অবহেলা, ব্যর্থতা ও স্বজনপ্রীতির কারণে দেশের সমস্যাগুলো আরও ঘনীভূত হচ্ছে। ফলে বছর পার হলেও দেশের নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনও হুমকির মুখে পড়বে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে আয়োজিত ‘অভ্যুত্থান–উত্তর বাংলাদেশ: সংস্কার প্রস্তাবনার এক বছর’ শীর্ষক পর্যালোচনা সভায় এ কথা উঠে আসে। দলীয় কার্যালয়ে এই পর্যালোচনা সভার আয়োজন করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের পক্ষ থেকে চার দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে সংবিধান সংস্কারে রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ, সরকারের উপদেষ্টা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ, উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ও ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ তদন্ত করা এবং সংবিধান সংস্কারের প্রয়োজন নেই এমন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন শুরু করা।
বিভক্তি তৈরি করে অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান সংস্কারের সুযোগ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, অন্তর্বর্তী সরকার অতীতের সরকারগুলোর স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, লুটপাট ও পাচারের পথ বন্ধ করে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সংবিধান সংস্কারের পথে এগিয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে সরকার এই সুযোগ ব্যর্থ করার পথে হাঁটছে।’
সব সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়নি উল্লেখ করে হাসনাত কাইয়ূম বলেন, এখনই উদ্যোগ নিলে অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনেকাংশ পূরণ করা সম্ভব। দেশের বর্তমান সমস্যাগুলোকে ভবিষ্যতে ভয়াবহ সংকটে পরিণত হওয়া থেকে ঠেকানো সম্ভব। সরকার এই উদ্যোগ নিলে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সহায়তা করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন হাসনাত কাইয়ূম।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোরও উচিত ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে নিজেদের এক বছরের দলীয় কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করা।
বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা সত্ত্বেও জনসমর্থন কেন বেশি এবং সংস্কার নীতিতে চলা অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলোর জনসমর্থন কেন কম, সেটিও পর্যালোচনার আহ্বান জানান মজিবুর রহমান।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল শিকদারের সঞ্চালনায় সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া।
সভায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সমন্বয়ক সাকিব আনোয়ার, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইদুল খন্দকার, জাতীয় সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান, শেখ নাসিরউদ্দীন, ফরিদুল ইসলাম এবং রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক লামিয়া ইসলাম।