অ্যামেক্স কার্ডে পেমেন্ট আরও সহজ করার লক্ষ্যে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে গত বুধবার একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ।

সিটি ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং অরূপ হায়দার এবং ফুডপ্যান্ডার ফাইন্যান্স ডিরেক্টর জামাল ইউসুফ জুবেরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

রাজধানীর গুলশান-১–এ সিটি ব্যাংক সেন্টারে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংক কার্ডসের প্রধান তৌহিদুল আলম, ফুডপ্যান্ডার এন্টারপ্রাইজ প্রধান জহির রায়হান, হেড অব অ্যাডস অ্যান্ড পার্টনারশিপ আদনান ফারুকীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এই চুক্তির আওতায় ফুডপ্যান্ডা প্ল্যাটফর্মে পেমেন্ট গেটওয়ে পার্টনার হিসেবে সিটি ব্যাংক সরাসরি যুক্ত হবে। এর ফলে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ব্যবহারকারীরা ফুডপ্যান্ডায় আরও দ্রুত এবং সহজে পেমেন্ট করতে পারবেন। পাশাপাশি অ্যামেক্স ব্যবহারকারীরা ফুডপ্যান্ডায় আকর্ষণীয় বিভিন্ন ডিল ও অফারও পাবেন।

সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠানের অংশীদারত্বের ফলে গ্রাহকেরা ঝামেলাবিহীন চেকআউট প্রক্রিয়া উপভোগ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল-ফার্স্ট গ্রাহকদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ