স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশন সোমবার সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন পেশ করবেন।

রবিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

আরো পড়ুন:

স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠন জরুরি 
তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতি অনেকে সন্দেহের চোখে দেখছেন: কামাল আহমেদ

সাংবাদিকদের প্রশ্ন করা যাবে না, আমি এটা চাই না: তথ্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে গত বছরের ১৭ নভেম্বর ১২ সদস্যের স্বাস্থ্য খাতবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমিশন কাজ শেষ করতে না পারায় সরকার সময় এক মাস বাড়িয়ে ৩১ মার্চ করে। পরবর্তীতে আরো দুই সপ্তাহ সময় বাড়ানো হয়।

কমিশনে সদস্যপদে আরো রয়েছেন জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ইনফরমেটিক অধিদপ্তরের অধ্যাপক ডা.

মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক লিয়াকত আলী, গাইনোকলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, শিশু স্নায়ুতন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান, সাবেক সচিব এম এম রেজা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল) অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, আইসিডিডিআরবির ডা. আজহারুল ইসলাম, স্কয়ার হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, গ্রীন লাইফ সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের চিফ কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, আইসিডিডিআর’বির শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য বিভাগের বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শিক্ষার্থী উমায়ের আফিফ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকার ক্ষমতা আসার পর থেকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের দাবি ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় এ কমিশন গঠন করা হয়।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশিদের জন্য ইউএই’র ভিসা পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি

বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে টেকসই কূটনৈতিক সংলাপের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা ইস্যু পুনরায় শুরু করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইউএই’র বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আলহমুদি রোববার ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউএই সরকারের সঙ্গে লুৎফে সিদ্দিকীর সক্রিয় সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন, যার মধ্যে অর্ধ-ডজনেরও বেশি মন্ত্রী পর্যায়ের সফর রয়েছে। যেখানে ভিসা সহজ করা থেকে শুরু করে বিনিয়োগ সহযোগিতার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

রাষ্ট্রদূত আলহমুদি বিশেষ দূতকে জানান যে, ঢাকায় ইউএই দূতাবাস বর্তমানে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে। এর পাশাপাশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের জন্য দলীয় ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হয়েছে, যা ব্যক্তি পর্যায়ে যোগাযোগ এবং বাণিজ্য বিনিময়কে ত্বরান্বিত করছে।

এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির অংশ হিসেবে ইউএই মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মসংস্থানের জন্য অনলাইন ভিসা সিস্টেম পুনরায় চালু করেছে।

ফলে মার্কেটিং ম্যানেজার ও হোটেলকর্মীদের মতো পেশাজীবীদের জন্য সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য ৫০০ ভিসা ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে এবং আরও ১,০০০ ভিসা অনুমোদিত হয়েছে যা অচিরেই ইস্যু করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আশা করা হচ্ছে, সময়ের সাথে সাথে ইউএই ধীরে ধীরে ভিসা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা আরও শিথিল করবে। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উত্থাপিত মানবিক ও সহানুভূতিশীল মামলাগুলোর প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শনের প্রতিশ্রুতি দেন।

বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এই  অগ্রগতিকে স্বাগত জানান এবং রাষ্ট্রদূত আলহমুদির উন্মুক্ততা ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সেপা) নিয়ে আলোচনার সূচনার জন্যও কৃতজ্ঞতা জানান এবং উল্লেখ করেন যে উভয় পক্ষ ইতিমধ্যে আলোচনার রূপরেখা নিয়ে একমত হয়েছে।

এই মাসের শেষের দিকে ইউএই মন্ত্রী পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে, যা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ