প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা একটি অপরিহার্য বিষয়। যদি বিচার বিভাগ স্বাধীন না হয়, তাহলে কোনো খাতের সংস্কার কার্যক্রমই স্থায়িত্ব পাবে না। বিচার বিভাগে সংস্কারের ওপর ভিত্তি করে আরও বৃহত্তর সংস্কারের কাঠামো নির্মিত হতে পারে।

রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন অনুষদের মিলনায়তনে সপ্তম এ কে খান মেমোরিয়াল ল লেকচারে ‘রিমেইনিং দ্য ফিউচার অব জাস্টিস’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। আইন অনুষদ এবং এ কে খান ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

মূল বক্তা সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সংবিধান ও গণতন্ত্রের মধ্যে সুষম ভারসাম্য বজায় রাখা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, যা অ্যারিস্টটলের ‘আইনের শাসন, ব্যক্তির শাসন নয়’ এই আদর্শ দ্বারা পরিচালিত হতে হবে।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্রমবিকাশ বিচার প্রক্রিয়ায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে, যার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব। বিচার ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই প্রযুক্তিনির্ভর নতুন বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতার ওপর। প্রযুক্তিগত এই পরিবর্তনগুলোকে কেবল বাধা হিসেবে দেখলে চলবে না, সেগুলোকে উদ্ভাবনের অনুঘটক হিসেবেও বিবেচনা করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এম জাফর উল্লাহ তালুকদার। অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, প্রো-ভিসি অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, অধ্যাপক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, এ কে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সচিব সালাহউদ্দিন কাসেম খান এবং ট্রাস্টি এ এম জিয়াউদ্দিন খান।


 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের ভিসা নীতি থেকে অদ্ভুত সময়সূচি: ক্লাব বিশ্বকাপে ফাঁকা গ্যালারির যত কারণ

‘পরিবেশটা কেমন জানি লাগছিল। একটু অদ্ভুত!’

গত সোমবার আটলান্টার মার্সিডিজ–বেঞ্জ স্টেডিয়ামে লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির (এলএএফসি) বিপক্ষে ম্যাচটা শেষে বলেছিলেন চেলসির কোচ এনজো মারেসকা।

কেন অদ্ভুত লাগছিল? মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৭০ হাজারের বেশি। চেলসি-এলএএফসির ম্যাচ দেখতে সেদিন গ্যালারিতে ছিলেন মাত্র ২২ হাজার দর্শক! মানে তিন ভাগের এক ভাগ মাঠও ভরেনি। ইউরোপজুড়ে ভরা গ্যালারির উন্মাদনায় খেলে অভ্যস্ত চেলসি এ রকম ফাঁকা মাঠে খেলছে, কোচের কাছে তো অদ্ভুত লাগবেই। অথচ ম্যাচটা ছিল ক্লাব বিশ্বকাপের!

প্রাক্‌-মৌসুম প্রীতি ম্যাচ খেলতে সর্বশেষ চেলসি যেবার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিল, গড়ে প্রতি ম্যাচে দর্শক হয়েছিল ৫০ হাজারের মতো। অথচ সেই চেলসির ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচে দর্শক মাত্র ২২ হাজার। ভাবা যায়!

শুধু ওই ম্যাচ নয়, এখন পর্যন্ত ক্লাব বিশ্বকাপের বেশির ভাগ ম্যাচেই গ্যালারি খাঁ খাঁ করছে! আটলান্টা, সিয়াটল, নিউ জার্সি, অরল্যান্ডো—সব মাঠে একই দৃশ্য। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ১২টি ম্যাচের মধ্যে কোনোটিতেই স্টেডিয়াম পূর্ণ হয়নি, এমনকি অর্ধেকও ভরেনি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে!

ক্লাব বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামের গ্যালারি এমন ফাঁকাই থাকছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ