শাওকীর ‘গুলমোহর’ দিয়ে শাশ্বতর ইচ্ছে পূরণ
Published: 6th, May 2025 GMT
প্রথমে ‘তাকদীর’, এরপর ‘কারাগার’। এই দুই সিরিজ দিয়ে দেশের ওটিটি জগতে রীতিমত আলোড়ন সৃস্টি করেছিলেন নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকী। প্রায় ৩ বছর পর তৃতীয় সিরিজ নিয়ে হাজির হচ্ছেন এই নির্মাতা। নাম ‘গুলমোহর’। এযাত্রায় তিনি পেয়েছেন ভারতের আলোচিত অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়সহ দেশের দুর্দান্ত শিল্পীদের।
‘গুলমোহর’ সিরিজে অভিনয়ের জন্য প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছিলেন টালিউড–বলিউডের এ অভিনেতা। গল্প শুনেই রাজি হয়ে যান ‘গুলমোহর’ সিরিজে কাজ করতে। এর সঙ্গে বাংলাদেশে শুটিং করার ইচ্ছাটা মিলে যাওয়ায় দর্শকরা প্রথমবারের মতো দেশের কোনা কনটেন্টে দেখতে যাচ্ছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা একটা পরিবারের গল্প। এতে অনেককিছু আছে, তবে আমার চরিত্রে আছে ইমোশন। এমন কাজ খুব কমই হচ্ছে আজকাল। এর সঙ্গে আরেকটা বিষয় আমাকে খুব আগ্রহী করেছে, সেটা হলো, বাংলাদেশে শুটিং। কাজের আগেই আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, শুটিং কোথায় হবে? ওরা বললো বাংলাদেশে। কাজ করতে রাজি হয় গেলাম।’
চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘গুলমোহর’ নির্মাণের পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছেন সৈয়দ আহমেদ শাওকী। এতে প্রথমবারের মতো কাজ করলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। ৫ মে রাতে প্রকাশ পেয়েছে ’গুলমোহর’ সিরিজের পোস্টার। যেখানে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্র সম্পর্কে।
এতে অভিনয় করেছেন সারা জাকের, ইন্তেখাব দিনার, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, সুষমা সরকার, মীর নওফেল আশরাফী জিসান, সারিকা সাবাহ, তৌফিকুল ইসলাম ইমন, মোস্তফা মনোয়ারসহ অনেকে।
মিস্ট্রি–ড্রামা ঘরানার সিরিজটির পোস্টার ক্যাপশন আরও একটু রহস্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে লেখা হয়েছে, ‘ক্ষমতার লোভে কেটে গেছে সম্পর্কের সুর!’ অবশ্য নির্মাতা আগেই জানিয়েছেন এটি একটি পরিবারের গল্প। তাহলে কী এ পরিবারকে ঘিরেই মিস্ট্রি আর ড্রামার আনাগোনা?
‘গুলমোহর’–এর সঙ্গে ক্ষমতা–লোভ, বিশ্বাস–অবিশ্বাস, সম্পর্ক, পরম্পরা–কর্মফলের মতো বিষয়গুলোকে জড়িয়েছেন অভিনয়শিল্পীরা। নির্মাতার মুন্সিয়ানায় এগুলো কীভাবে আসবে দর্শকদের সামনে।
অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার বলছেন, “গুলমোহর একটি পরিবারের মধ্যেকার বিশ্বাস–অবিশ্বাস, রহস্যে ঘেরা ষড়যন্ত্রের গল্প। আর শাওকী সেই গল্পকে এমনভাবে তুলে ধরেছে যে তাকে ম্যাজিশিয়ান বলেতই হয়।”
অভিনেতা মোস্তাফিজুর নূর ইমরানের মতে, ‘গুলমোহর’ হলো পরম্পরা অথবা কর্মের বয়ান, যার শেষে অবধারিতভাবে কর্মফল রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীলঙ্কা দলে প্রথমবার ডাক পেলেন এসহান, টি-টোয়েন্টিতে ফিরলেন রাজাপাকসে
আসন্ন পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য শ্রীলঙ্কার সহ-অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দাসুন শানাকা। গতিতে তোলপাড় করা তরুণ পেসার এহসান মালিঙ্গা প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন আর এই সিরিজে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও তিনি জায়গা পেয়েছেন। যা ত্রিদেশীয় সিরিজের আগেই অনুষ্ঠিত হবে।
২৩ বছর বয়সী মিডল-অর্ডার ব্যাটার পাভন রতনায়েকে যুক্ত হয়েছেন ওয়ানডে দলে। তাকে দলে নেওয়ার পেছনে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের চেয়ে বরং ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘমেয়াদি ধারাবাহিকতাই বড় ভূমিকা রেখেছে। যদিও জুলাইয়ের শেষ দিকে তিনি একটি লিস্ট-এ শতক হাঁকিয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছিলেন।
আরো পড়ুন:
ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সিতে খেলবেন তাসকিন!
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যুর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
অন্যদিকে, হাঁটুর চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় ওয়ানডে সিরিজে খেলতে পারছেন না দিলশান মাদুশাঙ্কা। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন মালিঙ্গা। একই সঙ্গে শ্বাসনালির সংক্রমণে ভুগছেন মাথিশা পাথিরানা। ফলে তিনি নেই টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে। পাথিরানার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আসিথা ফার্নান্দো।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রত্যাবর্তন ঘটেছে ভানুকা রাজাপাকসের। বছরের শুরুতে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তিনি। এরপর দুইটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও এশিয়া কাপ মিস করেন। তবে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এসএলসি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তার বিস্ফোরক পারফরম্যান্স (মাত্র চার ইনিংসে ১৬৩ স্ট্রাইক রেট) তাকে আবারও জাতীয় দলে ফিরিয়ে এনেছে। মাঝের সারিতে শক্তি যোগাতে এই অন্তর্ভুক্তি শ্রীলঙ্কার জন্য বড় স্বস্তি।
তবে বিস্ময়করভাবে বাদ পড়েছেন নুয়ানিদু ফার্নান্দো। এসএলসি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হলেও তার স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ১২৪। যা নির্বাচকদের চোখে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেনি।
বাঁহাতি স্পিনার দুনিথ ওয়েলালাগে এবারও মূল দলে জায়গা পাননি। তবে তিনি নেতৃত্ব দেবেন শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলকে। যারা অংশ নেবে দোহায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রাইজিং স্টারস টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে। নুয়ানিদু ফার্নান্দোকেও রাখা হয়েছে সেই দলে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে রাওয়ালপিন্ডিতে, যথাক্রমে ১১, ১৩ ও ১৫ নভেম্বর। এরপর ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ, রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরে। ফাইনাল নির্ধারিত হয়েছে ২৯ নভেম্বর।
শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে স্কোয়াড:
চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিসাঙ্কা, লাহিরু উদারা, কামিল মিশারা, কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, কামিন্দু মেন্ডিস, জানিথ লিয়ানাগে, পাভন রতনায়েকে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহেশ থিকশানা, জেফরি ভ্যান্ডারসে, দুষ্মন্ত চামিরা, আসিথা ফার্নান্দো, প্রমোদ মাদুশান ও এহসান মালিঙ্গা।
ত্রিদেশীয় সিরিজে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড:
চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, কামিল মিশারা, দাসুন শানাকা (সহ-অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, ভানুকা রাজাপাকসে, জানিথ লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহেশ থিকশানা, দুশান হেমান্থা, দুষ্মন্ত চামিরা, নুয়ান তুষারা, আসিথা ফার্নান্দো ও এহসান মালিঙ্গা।
ঢাকা/আমিনুল